শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য বড় ঘোষণা! আজ থেকেই পঠন-পাঠন পদ্ধতিতে বদলের নির্দেশ

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ৬, ২০২২, ০৯:৩৬ এএম | আপডেট: মে ৬, ২০২২, ০৩:৪১ পিএম

বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য বড় ঘোষণা! আজ থেকেই পঠন-পাঠন পদ্ধতিতে বদলের নির্দেশ
বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য বড় ঘোষণা! আজ থেকেই পঠন-পাঠন পদ্ধতিতে বদলের নির্দেশ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ করোনা আবহ কাটিয়ে কয়েকদিন হল স্কুলমুখী হয়েছে ছাত্রছাত্রীরা। কিন্তু গরমের দাপট ক্রমশই বাড়তে থাকায় ইতিমধ্যেই সরকারি স্কুলগুলিতে ছুটি ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু সরকারি নির্দেশের পরেও বেসরকারি স্কুলগুলি কেন খোলা? এই নিয়ে উঠছিল প্রশ্ন। সেই প্রসঙ্গে এবার বেসরকারি স্কুলগুলির জন্য গুরুত্বপূর্ণ ঘোষণা করল স্কুল শিক্ষা দফতর। শুক্রবার থেকেই বন্ধ করতে হবে বেসরকারি স্কুলের দরজা, প্রয়োজনে চলবে অনলাইন ক্লাস। কিন্তু কোনওক্রমেই স্কুল খোলা রাখা যাবে না।

জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই বেসরকারি স্কুলগুলিকে এই মর্মে নির্দেশিকা পাঠিয়েছে বিকাশ ভবন। সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গেলেও এখনই স্কুল ছুটি দিতে নারাজ বেসরকারি স্কুলগুলি। তাদের দাবি, মাত্র কয়েকদিন হল স্কুল খুলেছে। ঘরের চার দেওয়ালের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়ে ফের ক্লাসরুমে বসে ক্লাস করার সুযোগ পেয়েছে পড়ুয়ারা। এর মধ্যে যদি আবার স্কুল বন্ধ করে দেওয়া হয় তাহলে ফের তাদের পড়াশোনার প্রতি অনীহা তৈরি হতে পারে।

কিন্তু বেসরকারি স্কুলগুলির যুক্তি মানতে চায়না রাজ্য। এই বিষয়ে বিকাশ ভবন স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছে যে বেসরকারি স্কুল কর্তৃপক্ষ অনলাইন ক্লাসের মাধ্যমে পঠনপাঠন চালু রাখতে পারে। কিন্তু সরকারি নির্দেশিকা অগ্রাহ্য করে অফলাইনে কোনওভাবেই ক্লাস নিতে পারবে না তারা। সরকারি হোক বা বেসরকারি, রাজ্যের প্রতিটি স্কুলকেই যে সরকারের নির্দেশ মেনে চলতে হবে তা স্পষ্ট জানিয়ে দিয়েছে স্কুল শিক্ষা দফতর।

জানা গিয়েছে, অধিকাংশ বেসরকারি স্কুলগুলি ইতিমধ্যেই অনলাইনে ক্লাস চলার কথা ঘোষণা করে দিয়েছে। সরকারি নির্দেশিকা মেনেই স্কুল বন্ধ রাখছে তারা। কিন্তু এমন অনেক বেসরকারি স্কুল আছে যারা এখনও অফলাইন পঠনপাঠন অব্যাহত রেখেছে। তাদের পক্ষ থেকে অনলাইন ক্লাস প্রসঙ্গে কোনও নোটিশ দেওয়া হয়নি। সেক্ষেত্রে ধন্দে পড়েছেন অভিভাবকরা। সরকারি নির্দেশিকা পাওয়ার পরও কি তারা সন্তানদের স্কুলে পাঠাবেন? এই নিয়ে দোটানায় রয়েছেন তারা।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, গত ২ মে থেকে সরকারি স্কুলগুলিতে গরমের ছুটি পড়ে গিয়েছে। ছুটি চলবে আগামী ১৫ জুন পর্যন্ত। কিন্তু তার পরেও যে বেসরকারি স্কুলগুলি অফলাইন ক্লাস জারি রেখেছিল সেই খবর বিকাশ ভবনের কানে পৌঁছতেই এই নির্দেশিকা জারি করা হয়েছে। গরমের প্রকোপ বাড়তেই মূলত গরমের ছুটি এগিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছিল সরকার। যদিও আবহাওয়ার অনেকটাই পরিবর্তন হয়েছে। তাহলে এরপরেও গরমের ছুটি এগিয়ে আনার পেছনে কি যুক্তি? এই প্রশ্ন তুলেছেন অভিভাবকদের একাংশ।

অন্যদিকে অফলাইন বনাম অনলাইন ক্লাস নিয়ে শিক্ষকমহলে বহুদিন আগে থেকেই দ্বিমত তৈরি হয়েছে। অধিকাংশের বক্তব্য দীর্ঘ দুই বছর পর স্কুলে ফিরেছে পড়ুয়ারা। এর মধ্যে আবার স্কুল বন্ধ হলে পড়াশোনার স্বাভাবিক ছন্দ নষ্ট হবে। বিশেষ করে গ্রামের দিকের ছাত্র-ছাত্রীদের অনলাইন ক্লাসের প্রতি ঝোঁক বরাবরই কম। তাই এই লম্বা ছুটিতে পড়াশোনার প্রতি তাদের মনোযোগ বিঘ্নিত হতে পারে।