শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন করণ আদানি! আসবে বিনিয়োগ, লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৮:১৪ পিএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১০, ২০২২, ০৮:৪৪ পিএম

নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন করণ আদানি! আসবে বিনিয়োগ, লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান
নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠক করলেন করণ আদানি! আসবে বিনিয়োগ, লক্ষ্য শিল্প ও কর্মসংস্থান

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আবারও একবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠকে আদানি। তবে, এবার মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠকে বসলেন গৌতম আদানির ছেলে তথা আদানি পোর্টের এক্সিকিউটিভ অফিসার করণ আদানি। 

বৃহস্পতিবার নবান্নে আসেন করণ আদানি এবং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে বৈঠক করেন। সূত্রের খবর, তাজপুরে রাজ্য সরকার যে বন্দর তৈরি করবে, সেখানে বিনিয়োগ করবে আদানিরা। মন করা হচ্ছে, সম্ভবত সেই বিষয়ে আলোচনা করতেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন আদানি গ্রুপের অন্যতম কর্ণধার। আজকের বৈঠকে ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদীও। তাজপুরে তৈরি হবে গভীর সমুদ্র বন্দর। এই নির্মাণের জন্য দরপত্র চেয়ে পশ্চিমবঙ্গ শিল্পোন্নয়ন নিগম আগেই বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেছে। এদিকে, ইতিমধ্যেই যেখানে গভীর সমুদ্রবন্দর তৈরি হবে সেই জায়গা পরিদর্শন করে গিয়েছেন আদানি শিল্পগোষ্ঠীর কর্মকর্তারা। উল্লেখ্য, গত বছরের শেষের দিকে, নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে গিয়েছিলেন খোদ গৌতম আদানি। সেই বৈঠকের পরেই রাজ্যে আদানিদের এই বিনিয়োগ নিয়ে জল্পনা বাড়ে। 

জানা গিয়েছে, রাজ্য সরকার দরপত্র চাওয়ার পর, উক্ত প্রকল্পে আগ্রহ দেখায় ১০ টি সংস্থা। সেগুলির মধ্যে চারটি সংস্থাকে বেছে নেয় রাজ্য সরকার। এর মধ্যে আদানি ছাড়াও বিদেশি সংস্থাও রয়েছে। ইতিমধ্যেই ওই চার সংস্থা তাজপুর এলাকা ঘুরে দেখে গিয়েছে। চলতি মাসের ১৫ তারিখে দরপত্র জমা দেওয়ার শেষ দিন। তার আগেই আরও একবার আদানিদের সঙ্গে বৈঠকে বসলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকের পর, মনে করা হচ্ছে যে, আদানিরাই ওই বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব পেতে পারে। যদিও নবান্নে পক্ষ থেকে এখনও এ বিষয়ে কিছুই জানানো হয়নি। 

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, তাজপুরে নির্মাণ হবে গভীর সমুদ্র বন্দর। আর সেই প্রকল্পের কাজ ইতিমধ্যেই শুরু করেছে রাজ্য সরকার। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে যে, এই প্রকল্পে প্রত্যক্ষভাবে ১০ হাজার মানুষের কর্মসংস্থানের সুযোগ তৈরি হবে। এক হাজার একর জমির উপর তৈরি হবে এই সমুদ্র বন্দর। প্রথম পর্যায়ে ছ’টি বার্থ ও পরের পর্যায়ে আরও ন’টি বার্থ তৈরি হবে এই বন্দরে।

সরকারি সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, বাংলা ছাড়াও ত্রিপুরা, অসম, মিজোরাম-সহ একাধিক রাজ্যে বাণিজ্যের মূল প্রবেশদ্বার হয়ে উঠবে এই তাজপুর বন্দর। এদিকে, পলি পড়ার কারণেই হলদিয়া বন্দরে বড় জাহাজ ঢুকতে পারছে না। তাই মাঝ সমুদ্রে গিয়ে ‘শিপ টু শিপ’ লোডিং করতে হচ্ছে, এর জেরে খরচও বাড়ছে। কিন্তু গভীর সমুদ্র বন্দর তৈরি হলে তাজপুরে সরাসরি বড় জাহাজ ঢুকতে পারবে বলেই দাবি করা হচ্ছে।