শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

শুক্রবার সিঙ্গুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী, দর্শন করবেন সন্তোষী মায়ের মন্দির

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ২, ২০২২, ০৬:৪২ পিএম | আপডেট: জুন ৩, ২০২২, ১২:৪২ এএম

শুক্রবার সিঙ্গুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী, দর্শন করবেন সন্তোষী মায়ের মন্দির
শুক্রবার সিঙ্গুর সফরে মুখ্যমন্ত্রী, দর্শন করবেন সন্তোষী মায়ের মন্দির

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সিঙ্গুরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সম্পর্কের কথা নতুন করে বলার প্রয়োজন পড়বে না। সে কথা কমবেশী সকলেরই জানা। সিঙ্গুরের জমি আন্দোলনের হাত ধরেই রাজ্যের শাসনক্ষমতা কুক্ষিগত করেন তিনি। তাই সিঙ্গুরের সঙ্গে মুখ্যমন্ত্রীর নিবিড় যোগ। এবার সেই সিঙ্গুরেই আবার পা রাখতে চলেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো। শুক্রবারই তাঁর সিঙ্গুর যাওয়ার কথা।

সিঙ্গুরের কৃষকদের জমি ফেরত দিতে যে আন্দোলন শুরু হয়েছিল সেই আন্দোলনে দীর্ঘদিন অনশন করেছিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বৃহস্পতিবার ভবানীপুর কাঁসারিপাড়ায় শীতলা পূজোর অনুষ্ঠানে যোগদান করে মুখ্যমন্ত্রী সেই অনশন প্রসঙ্গে মুখ খোলেন। তিনি বলেন, ২৬ দিনের দীর্ঘ অনশনের সূচনার দিনই সন্তোষী মায়ের ব্রত করেছিলেন। মনে মনে প্রার্থনা করেছিলেন, যদি কৃষকরা তাঁদের জমি ফিরে পান তাহলে সন্তোষী মায়ের একটি ছোট্ট মন্দির প্রতিষ্ঠা করবেন এবং তাঁর ব্রত চালিয়ে যাবেন।

ইতিমধ্যেই মন্দির প্রতিষ্ঠার বেশ কয়েক সপ্তাহ অতিক্রান্ত। বর্তমানে সিঙ্গুরে বাজেমেলিয়া হাসপাতালের পাশেই মন্দিরটি রয়েছে। শুক্রবার সিঙ্গুরে গিয়ে এই মন্দির দর্শনে যাবেন তিনি। এই প্রথম প্রকাশ্যে সন্তোষী মায়ের ব্রত থেকে শুরু করে মন্দির প্রতিষ্ঠার কথা বললেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পাশাপাশি সব ধর্মই সমান বলে জানান তিনি। সর্বোপরি মানব ধর্মকেই সর্ববৃহৎ ধর্ম বলে উল্লেখ করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

প্রসঙ্গত ২০০৬ সালে বিধানসভা নির্বাচনে জেতার পর সিঙ্গুরে ন্যানো প্রকল্পের ঘোষণা করেন তৎকালীন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য। প্রকল্প বাস্তবায়নের জন্য শুরু হয় জমি অধিগ্রহণের কাজ। কিন্তু বহু চাষী তাঁদের জমি দিতে অস্বীকার করেন। তাঁদের পাশে দাঁড়িয়ে আন্দোলনে নামেন বিরোধী দল তৃণমূল কংগ্রেস। সেই আন্দোলনের জেরেই পিছু হটতে বাধ্য হয় টাটা গোষ্ঠী। অনেক টানাপড়েনের পর এই রাজ্য থেকে গুজরাটে সরে যায় ন্যানো প্রকল্প।

অনিচ্ছুক জমিদাতাদের নিয়ে রাজ্যব্যাপী আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। অনশনের ফল মেলে। সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়, বাম আমলে যেভাবে কৃষকদের জমি অধিগ্রহণ করা হয়েছিল তা একেবারেই অবৈধ। এরপরই ২০১১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বিপুল ভোটে জয়ী হয়ে মুখ্যমন্ত্রীর কুরসি দখল করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ‌পরবর্তীকালে কৃষকদের জমি ফিরিয়েও দেন মুখ্যমন্ত্রী।