বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

দমদমে ঘনীভূত রহস্য! একই বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের পচাগলা দেহ

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ১, ২০২২, ০২:৪১ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১, ২০২২, ০৮:৪১ পিএম

দমদমে ঘনীভূত রহস্য! একই বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের পচাগলা দেহ
দমদমে ঘনীভূত রহস্য! একই বাড়ি থেকে উদ্ধার মা ও ছেলের পচাগলা দেহ / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ বন্ধ ঘর থেকে মা ও ছেলের মৃতদেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য। ঘটনাটি ঘটেছে দমদমের নবপল্লী এলাকায়। এলাকায় দুর্গন্ধ ছড়াতেই সন্দেহ হয় প্রতিবেশীদের। এরপর বৃহস্পতিবার দমদম থানার পুলিশের তৎপরতায় একইসঙ্গে উদ্ধার করা হয় মা ও ছেলের পচা গলা দেহ।

জানা গিয়েছে, মৃতদের নাম শ্রাবণী পাল ও সন্দীপ পাল। তাঁরা উভয়েই হাওড়ার আন্দুলের বাসিন্দা। সূত্রের খবর, মাস ছয়েক আগে দমদমের নবপল্লী এলাকায় একটি বাড়ি ভাড়া নিয়ে থাকতে শুরু করেন। প্রতিবেশীরা জানান, গত বেশ কয়েকদিন ধরে মা-ছেলে কাউকেই বাড়িতে ঢুকতে বা বাড়ি থেকে বের হতে দেখা যায়নি। এমনকি জানা গিয়েছে, প্রথম তিন মাসের বাড়ি ভাড়া মেটালেও পরের তিন মাস ভাড়ার টাকা তাঁরা দিতে পারেননি। বাড়িওয়ালাকে তাঁরা জানিয়েছিলেন যে বেশ কয়েকদিন তাঁরা বাড়িতে থাকবেন না।

সেই থেকেই কোনওরকম যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি শ্রাবণী পাল ও সন্দীপ পালের সঙ্গে। পরে প্রতিবেশীদের মধ্যে সন্দেহ বাড়তে থাকে। এরপর বৃহস্পতিবার সকালে সন্দীপের মামা বাড়িতে এলে রহস্য উদঘাটিত হয়। ওই বাড়ির দোতলার একটি ঘর থেকে মা ও ছেলের পচা গলা দেহ দেখতে পান তিনি। দরজা খুলতেই দুর্গন্ধ ছড়িয়ে পড়ে এলাকায়। তড়িঘড়ি পুলিশে খবর দেন বাড়ির মালিক। ঘটনাস্থলে পৌঁছে মৃতদেহ দুটি উদ্ধার করে দমদম থানার পুলিশ। পাশাপাশি মিলেছে একটি সুইসাইড নোটও।

পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, দেনায় জর্জরিত হয়ে পড়েছিলেন মা ও ছেলে। আর তার থেকে বাঁচতে আত্মহত্যার পথ বেছে নিয়েছেন তাঁরা। পুলিশের অনুমান, প্রায় সপ্তাহ খানেক আগেই মৃত্যু হয়েছে দু’জনের। ফ্যানের সঙ্গে গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মঘাতী হয়েছেন সন্দীপ পাল। অন্যদিকে মায়ের মৃত্যুর কারণ সঠিকভাবে জানা যায়নি। তা নিয়ে ঘনীভূত হয়েছে ধোঁয়াশা। সেক্ষেত্রে অনেকে মনে করছেন মাকে খুন করেই আত্মহত্যা করেছেন ছেলে।

স্থানীয় বাসিন্দাদের সূত্রে জানা গিয়েছে, বেশ কয়েক মাস হয়ে গিয়েছে তাঁরা এলাকায় এসেছেন। কিন্তু এলাকার কারুর সঙ্গেই বেশি মেলামেশা করতে দেখা যেত না মা-ছেলেকে। তাই মা ও ছেলের ব্যাপারে এলাকাবাসীরা সেভাবে কিছু জানেন না বলেই খবর। তাদের মধ্যে এক স্থানীয় বাসিন্দা জানিয়েছেন, তিনি আত্মঘাতী মা ও ছেলের সম্পর্কে কিছুই জানেন না। এমনকি ছেলেটি কোথায় চাকরি করতেন বা আদৌ করতেন কিনা সেই বিষয়েও কোনও ধারণা নেই। ইতিমধ্যেই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। রহস্য উদ্ঘাটনে স্থানীয় বাসিন্দা ও পরিবারের সদস্যদের চলছে জিজ্ঞাসাবাদ।