বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

‘দস্যু রত্নাকরের পরিবারই তাঁর পাপের ভাগ নেয়নি, এ তো কোথাকার অনুব্রত’! তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: আগস্ট ১৩, ২০২২, ১১:০৬ এএম | আপডেট: আগস্ট ১৩, ২০২২, ০৫:১৪ পিএম

‘দস্যু রত্নাকরের পরিবারই তাঁর পাপের ভাগ নেয়নি, এ তো কোথাকার অনুব্রত’! তীব্র কটাক্ষ দিলীপের
‘দস্যু রত্নাকরের পরিবারই তাঁর পাপের ভাগ নেয়নি, এ তো কোথাকার অনুব্রত’! তীব্র কটাক্ষ দিলীপের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতিতে আগেই গ্রেফতার হয়েছে রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। বৃহস্পতিবার গরু পাচার মামলায় সিবিআই-এর হাতে গ্রেফতার হয়েছেন বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। একের পর এক দুর্নীতিতে জেরবার তৃণমূল কংগ্রেস। এইসব দুর্নীতিতে নাম জড়াচ্ছে শাসকদলের নেতা-মন্ত্রীদের নাম। এই পরিস্থিতিতে বিরোধীরা কোমর বেঁধে নেমে পড়েছেন শাসকদলকে কোণঠাসা করতে। 

অনুব্রত মণ্ডলের বিরুদ্ধে অভিযোগ যতো গুরুতর হোক না কেন, তৃণমূল কংগ্রেসের দক্ষ সংগঠক হিসেবে অনুব্রত মণ্ডলের অবদান যে কম নয়, সেকথা এক কথায় স্বীকার করে নিচ্ছেন দলের একটা বড় অংশ। সেই জন্যই অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর থেকেই প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস কি কেষ্টর এই দুঃসময়ে তাঁর পাশে থাকবে? এদিকে, এই প্রসঙ্গে বিজেপির প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের দাবি, কারও পাপের ভাগ কেউ নেয় না। উদাহরণ হিসেবে তিনি এও বলেছেন যে, দস্যু রত্নাকরের পরিবারও তাঁর পাপের ভাগ নেয়নি। এদিন সকালে নিউটাউন ইকোপার্কে প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে এমনই মন্তব্য করেন বিজেপির সর্বভারতীয় সহ-সভাপতি দিলীপ ঘোষ।

এদিন সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, ‘দেখুন রামায়ণে আছে, রত্নাকর যখন দস্যু ছিলেন, তখন মানুষ হত্যা করে পরিবার চালাতেন। ব্রহ্মা, বিষ্ণু তাঁকে প্রশ্ন করেছিলেন, তোমার পাপের ভাগিদার কে হবে? পরিবার কি পাপের ভাগ নেবে? পরিবার বলেছিল, আমাদের খাওয়ানোর দায়িত্ব তোমার। তোমার পাপের ভাগীদার তুমিই। তাঁর পরিবারই পাপের ভাগ নেয়নি। আর এ তো কোথাকার অনুব্রত মণ্ডল।’

এখানেই শেষ নয়, দিলীপ ঘোষের আরও দাবি, অনুব্রত মণ্ডল চুরি করে বাড়ি-ঘর বানিয়েছেন, সম্পত্তি বাড়িয়েছেন। তাঁর পাপের ভাগ পরিবারই নেবে না আর দল তো তা কোনভাবেই নেবে না। যদিও তৃণমূল কংগ্রেস এখনও পর্যন্ত অনুব্রত মণ্ডলকে নিয়েও কোনও সিদ্ধান্ত নেয়নি। দলের পক্ষ থেকে শুধু বলা হয়েছে, দল কোনও দুর্নীতিতে প্রশ্রয় দেবে না। কেউ মানুষের সঙ্গে প্রতারণা করলে, দল তাঁকে সমর্থন করবে না। 

এদিন দিলীপ ঘোষ আরও বলেন, ‘অনুব্রত মণ্ডল গ্রেফতার হওয়ার পর মুখ্যমন্ত্রী মৌন হয়ে আছেন। তাঁর কথায়, ২১ জুলাই যে সব কথা বলেছিলেন, সে গুলো মানুষ ফিরিয়ে দিচ্ছেন। মুখ্যমন্ত্রী যাঁদের ওপর ভরসা করে কথাগুলো বলেছিলেন তাঁরা ডুবিয়ে দিয়েছেন বলে দাবি দিলীপের।’