শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন, FIR দায়ের ED-র! শুরু হল তদন্ত

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২৮, ২০২২, ০৩:৩২ পিএম | আপডেট: জুন ২৮, ২০২২, ০৯:৩৫ পিএম

SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন, FIR দায়ের ED-র! শুরু হল তদন্ত
SSC নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আর্থিক লেনদেন, FIR দায়ের ED-র! শুরু হল তদন্ত

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিতে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি খতিয়ে দেখবে ইডি! ববিতা সরকারের মামলায় এবার তদন্ত শুরু করল এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইতিমধ্যেই তথ্যপ্রমাণ জোগাড় করে, এফআইআর দায়ের করে তদন্তে নামল ইডি। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতির মূলে আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি তদন্ত করবে এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট।

কলকাতা হাইকোর্টের পর্যবেক্ষণ, নিয়োগ দুর্নীতিতে হয়তো আর্থিক লেনদেনের বিষয়টি জড়িয়ে রয়েছে। ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থাকে সেটাই খতিয়ে দেখার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আদালত জানিয়েছে, আর্থিক দুর্নীতির তদন্ত করবে ইডি। ওপর কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা সিবিআই- এর এফআইআর-এর সূত্র ধরেই তদন্ত করবে ইডি। এমনকি সিবিআই-এর এফআইআর-এর সূত্র ধরে ইডিও এফআইআর করবে। 

আদালতের এই নির্দেশের পরেই সিবিআই-এর থেকে তথ্য সংগ্রহ করতে শুরু করে ইডি বা এনফোর্সমেন্ট ডিরেক্টরেট। ইডি তদন্তের জন্য আলাদা দলও গঠন করে। এর পাশাপাশি ববিতা সরকারের কাছ থেকেও বেশ কিছু তথ্য- প্রমাণ নেয় ইডি। এরপরই এফআইআর দায়ের করে তদন্ত শুরু করল এই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। 

উল্লেখ্য, ইতিমধ্যেই এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় রাজ্যের শিক্ষা প্রতিমন্ত্রী পরেশ অধিকারীর কন্যা অঙ্কিতা অধিকারীর চাকরি পাচ্ছেন ববিতা সরকার। এখানেই শেষ নয়, বেতন বাবদ প্রথম কিস্তিতে যে ৭ লক্ষের বেশি টাকা আদালতের নির্দেশ মেনে ফেরত দিয়েছেন অঙ্কিতা, তাও পাবেন ববিতা। 

প্রসঙ্গত, ২০১৬ সালের ৪ ডিসেম্বর এসএসসি পরীক্ষা দিয়েছিলেন ববিতা সরকার। ২০১৭ সালে ২৭ নভেম্বর মেধাতালিকা প্রকাশ হয়। সেখানেই ওয়েটিং লিস্টে নাম ছিল ববিতার। নিয়ম অনুযায়ী, প্যানেল লিস্টে থাকা প্রার্থীদের চাকরির পর ওয়েটিং লিস্টের প্রার্থীদের ডাকা হয়। ববিতার নাম ছিল ওয়েটিং লিস্টের ২০ নম্বরে। কিন্তু দ্বিতীয় কাউন্সেলিংয়ের পর ববিতা হঠাৎই জানতে পারেন যে, তাঁর নাম চলে গিয়েছে ২১ নম্বরে এবং অঙ্কিতা অধিকারীর নাম আগে এসেছে। ববিতা দাবি করেছিলেন, মন্ত্রীকন্যা পরীক্ষায় পেয়েছিলেন ৬১ নম্বর । তাঁর প্রাপ্ত নম্বর ছিল ৭৭ । সেক্ষেত্রে তাঁর প্রশ্ন ছিল নম্বর বেশি থাকা সত্ত্বেও কেন তাঁকে নিয়োগ না করে মন্ত্রী কন্যাকে নিয়োগ করা হল? এই বিষয়েই তিনি আদালতের দ্বারস্থ হয়েছিলেন। সেই মামলার রায়ে ইতিমধ্যেই চাকরি খুইয়েছেন অঙ্কিতা।