বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যপাল! কী বললেন জগদীপ ধনখড়?

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ২১, ২০২২, ০৮:০৫ পিএম | আপডেট: জুন ২২, ২০২২, ০২:০৬ এএম

নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যপাল! কী বললেন জগদীপ ধনখড়?
নিয়োগ দুর্নীতি থেকে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রী ইস্যুতে মুখ খুললেন রাজ্যপাল! কী বললেন জগদীপ ধনখড়?

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর জন্য বিল এনেছে তৃণমূল কংগ্রেস শাসিত রাজ্য সরকার। এবার বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে রাজ্যপালের পরিবর্তে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী। মঙ্গলবার এই বিলের প্রসঙ্গে মুখ খুললেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। এদিন রাজভবনে দাঁড়িয়ে রাজ্যপাল বলেন, ‘নজর ঘোরানোর চেষ্টা হচ্ছে। আমি খুব মন দিয়ে বিলগুলি দেখব। পক্ষপাতিত্ব করব না। গ্রহণযোগ্য মনে হলে গ্রহণ করব। না হলে রাজ্য সরকারের সঙ্গে কথা বলব।’

এদিনই রাজ্য বিধানসভায় স্বাস্থ্য বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য বদলের জন্য বিল পাশ হয়। এর প্রতিবাদে বিজেপির বিধায়করা রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের সঙ্গে দেখা করে অভিযোগ জানান। এদিন বিজেপি বিধায়কদের নিয়ে সাংবাদিক বৈঠক করেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়। সূত্রের খবর, বিধানসভায় যে একাধিক বিল আজ পাস হয়েছে, সে বিষয়েও তাঁরা আলোচনা করেন। এদিন সাংবাদিক বৈঠকে নানা বিষয়ে মুখ খোলেন রাজ্যপাল।  

এদিন সরাসরি রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেন রাজ্যপাল। তিনি বলেন, ‘রাজ্যে হিংসার ঘটনায় আমি উদ্বিগ্ন। রাজ্যে ভোট পরবর্তী হিংসা চলছে। রাজ্য সরকার যথাযথ পদক্ষেপ নিচ্ছে না। গণতন্ত্রে হিংসার কোনও স্থান নেই।’ রাজ্যের তৃণমূল শাসিত সরকারকে আক্রমণ করে তিনি বলেন, ‘সিন্ডিকেট ও মাফিয়া রাজ চলছে বাংলায়। সরকার কোনও ব্যবস্থা নেয়নি। মানবাধিকার লঙ্ঘন করা হচ্ছে। কীভাবে সরকারি সম্পত্তি নষ্ট করা হচ্ছে। যারা ভাঙছে তারা ভারতীয় নয়। রাজ্যের গণতন্ত্র ধুঁকছে। পুলিস প্রশাসন দ্রুত ব্যবস্থা নিক।’ 

এখানেই শেষ নয়, এদিন রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড় রাজ্যে এসএসসি ও প্রাইমারি টেটে নিয়োগ নিয়োগ নিয়ে যে দুর্নীতি হয়েছে এবং সেই নিয়োগ দুর্নীতি মামলা নিয়ে রাজ্যে যে চাপানউতোর চলছে তা নিয়েও সোচ্চার হয়েছেন। তাঁর বক্তব্য, ‘যাঁদের চাকরি দেওয়া হচ্ছে তারা কোনওদিন পরীক্ষাই দেয়নি। সেসব বাদ দিয়ে রাজ্যপালকে অপসারণের তৎপরতা চলছে। আচার্য পদ থেকে অপসারণের তৎপরতা চলছে।’

প্রসঙ্গত, রাজ্যপালের বদলে মুখ্যমন্ত্রীকে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে বসানোর জন্য বিল আনা হয়েছে। চিরকুটে ভোটগ্রহণের মাধ্যমে বিধানসভায় পাসও হয়েছে ওয়েস্ট বেঙ্গল ইউনিভার্সিটি অফ হেলথ সায়েন্স অ্যামেন্ডমেন্ট বিল ২০২২। এই বিল পেশ করেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বিধানসভায় এদিন উপস্থিত ছিলেন ১৮৬ জন বিধায়ক।

প্রথমে চিরকূটের বদলে মেশিনে ভোট প্রক্রিয়া হয় বিজেপি বিধায়কদের আর্জি মেনে। কিন্তু তাতে গড়মিল দেখা যায়। ফলে ফের চিরকূটেই ভোট হয়। চিরকূটে নেওয়া ভোটের ফলে দেখা যায়, বিলের পক্ষে ১৩৪টি , বিপক্ষে ৫১টি ভোট পড়ে। এদিকে, ভোটদানে বিরত থাকেন আইএসএফ নওসাদ সিদ্দিকি। এর বিরুদ্ধেই সরব হন বিরোধী বিধায়করা। এরপর সাততাড়াতাড়ি রাজভবনে গিয়ে রাজ্যপালের কাছে নালিশ জানান শুভেন্দু অধিকারী, অগ্নিমিত্রা পালরা।