বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

DA মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! আগামী তিন মাসের মধ্যেই মেটাতে হবে বকেয়া, নির্দেশ হাইকোর্টের

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ২০, ২০২২, ১২:৩৪ পিএম | আপডেট: মে ২০, ২০২২, ০৬:৩৪ পিএম

DA মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! আগামী তিন মাসের মধ্যেই মেটাতে হবে বকেয়া, নির্দেশ হাইকোর্টের
DA মামলায় বড় ধাক্কা রাজ্যের! আগামী তিন মাসের মধ্যেই মেটাতে হবে বকেয়া, নির্দেশ হাইকোর্টের

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ DA মামলায় কলকাতা হাইকোর্টে বড়সড় ধাক্কা খেল রাজ্য। রাজ্যের আবেদন খারিজ করে স্যাটের রায় বহাল রাখল হাইকোর্টের বিচারপতি হরিশ টন্ডন এবং বিচারপতি রবীন্দ্রনাথ সামন্তর ডিভিশন বেঞ্চ। আদালত জানায়, আগামী তিন মাসের মধ্যেই মেটাতে হবে বকেয়া DA। শুধু তাই নয়, আদালতের কথায়, “মহার্ঘ ভাতা আইনত অধিকার, মৌলিক অধিকার।”

২০০৯ সালের জুলাই মাস থেকে প্রতিটি সরকারি কর্মচারীকে তার প্রাপ্য মহার্ঘভাতা দিতে হবে, এমনটাই নির্দেশ দিয়েছে আদালত। এছাড়াও হাইকোর্টের বক্তব্য, “DA হচ্ছে মৌলিক অধিকার। সরকারের যারা মূল শক্তি, তাঁদের দাবিকে এভাবে অস্বীকার করা যায় না। তাঁদের DA অস্বীকার করলে, সেটা ডিমোরালাইজ করা হবে। স্যাট যথাযথ রায় দিয়েছিল।”

সপ্তম পে কমিশন লাগু হওয়ার পর থেকে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মচারীরা ৩৪ শতাংশ হারে মোট মহার্ঘভাতা পেয়ে থাকেন। অন্যদিকে রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের প্রাপ্য মোট মহার্ঘভাতার পরিমাণ ৩১ শতাংশ। এদিন DA মামলার শুনানিতে আদালত জানায়, কেন্দ্রীয় হারে রাজ্য সরকারকেও মহার্ঘভাতা দিতে হবে। বিচারপতির এই সিদ্ধান্তের পরিপ্রেক্ষিতে রাজ্যের বক্তব্য অবশ্য কিছুটা অন্যরকম।

শুনানি চলাকালীন এদিন রাজ্য জানায়, বর্তমানে রাজ্যের তহবিলে টাকা নেই বললেই চলে। এই পরিস্থিতিতে সরকারি কর্মচারীদের উচ্চহারে DA দেওয়া সম্ভব হচ্ছে না। যদিও রাজ্যের এই যুক্তি কোনওভাবেই মেনে নেয়নি আদালত। এই অবস্থায় রাজ্যের ওপর চাপ এক প্রকার বাড়ল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞমহল।

উল্লেখ্য, ২০১৬ সালে কেন্দ্রীয় সরকারি কর্মীদের প্রাপ্ত DA-এর পরিমাণের সঙ্গে তুলনা করে এই মামলা দায়ের করে সরকারি কর্মচারীদের সংগঠন কনফেডারেশন অফ স্টেট গভর্নমেন্ট এমপ্লয়িজ। এরপর ২০১৯ সালের জুলাই মাসে স্যাট নির্দেশ দিয়েছিল, ছ‍‍`মাসের মধ্যে সরকারি কর্মচারীদের বকেয়া DA মেটাতে হবে। যদিও সেই নির্দেশ মেনে নেয়নি রাজ্য সরকার। পুনরায় রাজ্যের তরফ থেকে রিভিউ পিটিশন ফাইল করা হয়।

সেই মামলায় রাজ্যের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, দেশের বিভিন্ন রাজ্যে খরচ আলাদা হওয়ায় DA-ও ভিন্ন হওয়ার পেছনে যথেষ্ট যুক্তি রয়েছে। যদিও সে যুক্তি খারিজ করে দেয় কলকাতা হাইকোর্ট। অবশেষে সেই মামলাতে স্যাটের নির্দেশ বহাল রাখল হাইকোর্ট। দীর্ঘদিন ধরে আন্দোলনরত রাজ্য সরকারি কর্মচারীদের সংগঠনের সাফল্য মিলল। তবে এমনটাও শোনা যাচ্ছে, এই বিষয়ে রাজ্য সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হতে পারে।