বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

স্কুল পড়ুয়া-সহ ‘উধাও’ তিনটি স্কুলবাস! অবশেষে স্বস্তি, ২ ঘণ্টা পর ফিরল তারা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ৮, ২০২২, ০৫:১৬ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ৮, ২০২২, ১১:১৬ পিএম

স্কুল পড়ুয়া-সহ ‘উধাও’ তিনটি স্কুলবাস! অবশেষে স্বস্তি, ২ ঘণ্টা পর ফিরল তারা
স্কুল পড়ুয়া-সহ ‘উধাও’ তিনটি স্কুলবাস! অবশেষে স্বস্তি, ২ ঘণ্টা পর ফিরল তারা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আজ করোনার পর প্রথম স্কুল খুলেছিল সল্টলেক শিক্ষা নিকেতনের। আর খুলতেই চাঞ্চল্যকর ঘটনা ঘটল। মহিষবাথানে সল্টলেক শিক্ষা নিকেতন স্কুলের পড়ুয়ারা নিখোঁজ হয়ে গেছে এমন খবর সামনে আসে। স্কুল ছুটি হয়েছিল দুপুর ১২ টায়। যদিও অভিভাবকদের দাবি, আজ ১১টা বেজে ১৫ মিনিটে স্কুল ছুটি হয়ে যায়। কিন্তু তারপর অনেকক্ষণ পেরিয়ে গেলেও, পড়ুয়ারা তাদের বাড়ি না ফেরায়, অভিভাবকরা চিন্তায় পড়েন। বাস চালকদের ফোন করলে, তাঁদের ফোন সুইচ অফ আসে। একসঙ্গে তিনটি বাস ‘উধাও’ হওয়ায় আতঙ্ক ছড়ায়। অবশেষে মিলল স্বস্তি। ২ ঘণ্টা দেরি করে যে যার বাড়ি ফিরল স্কুলের পড়ুয়ারা। 

ঠিক কী ঘটেছিল? অভিযোগ, এদিন ছুটির পর, ৩ টি বাসে করে স্কুল থেকে বেরোয় পড়ুয়ারা। কিন্তু অনেকক্ষণ কেটে গেলেও, তারা না ফেরায় স্কুলে খোঁজ নেন। তখন স্কুল থেকে জানানো হয় যে, বাস বেরিয়ে গেছে। এরপর স্কুলের বাস চালকদের ফোন করা হলে, তাঁদের ফোন অফ পাওয়া যায়। এরপরই স্কুলে গিয়ে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন পড়ুয়াদের অভিভাবকরা। অভিভাবকদের অনেকেই আতঙ্কে কান্নায় ভেঙে পড়েন। জানা গিয়েছে, বাস তিনটিতে প্রথম শ্রেণি থেকে অষ্টম শ্রেণি পর্যন্ত পড়ুয়ারা ছিল। ঘটনাস্থলে ইলেকট্রনিক্স কমপ্লেক্স থানার পুলিশ পৌঁছয়। 

এদিকে, অভিভাবকদের দাবি, স্কুলে পৌঁছানো থেকে বাড়ি ফেরা পর্যন্ত স্কুলের দায়িত্ব। কিন্তু সেই দায়িত্ব বা সে ব্যাপারে কোনও কথাই বলতে চায়নি স্কুল কর্তৃপক্ষ। এরপরই অভিভাবকরা বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন। সিসিটিভি ফুটেজ খতিয়ে দেখারও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।

পড়ুয়া থেকে পুলিশ এবং স্কুল, সবাই যখন চিন্তিত, সেই পরিস্থিতিতে ২ ঘণ্টা দেরিতে বাড়ি পৌঁছায় পড়ুয়ারা। স্বস্তিতে ফিরে পান অভিভাবকরা। এদিকে, এই ঘটনা প্রসঙ্গে স্কুল কর্তৃপক্ষের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে যে, প্রধানত দুটো কারণে এই গোলযোগ। প্রথমত, বাস ছেড়েছে দেড় ঘণ্টা পরে। আর দ্বিতীয়ত, পড়ুয়ারা নিজেদের নির্দিষ্ট বাসে ওঠেনি, ভুলবশত তারা অন্য বাসে উঠে পড়েছিল। ফলে তাদের গোটা শহর ঘুরিয়ে তাদের গন্তব্যে নামাতে হয় বাসচালকদের। কিন্তু কেন বাসচালকদের ফোন সুইচ অফ ছিল সে বিষয়ে কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি স্কুল কর্তৃপক্ষ।