বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বছরের শেষদিন কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে হকারদের জন্য বড় ঘোষণা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ১৪, ২০২২, ১০:৪৬ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ১৫, ২০২২, ০৪:৪৬ এএম

বছরের শেষদিন কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে হকারদের জন্য বড় ঘোষণা
বছরের শেষদিন কালীঘাটের মন্দিরে পুজো দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়, সঙ্গে হকারদের জন্য বড় ঘোষণা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এত বছর ধরে নববর্ষের আগের দিন যেভাবে কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিয়ে এসেছেন, এবারেও সেই ধারার অন্যথা হল না। আগামীকাল বাংলার নতুন বছর শুরু হতে চলেছে। তার আগে আজ অন্যান্যবারের মতো কালীঘাট মন্দিরে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

নববর্ষের প্রাক্কালে কালীঘাট মন্দিরে রাজ্যের সকল মানুষের শুভ কামনা করে পুজো দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। প্রতিবার অবশ্য একটু রাতের দিকে আসেন। কিন্তু এবছর সন্ধের সময়ই, পৌনে ছটা নাগাদ কালীঘাট মন্দিরে পৌঁছে পুজো দেন। এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ছিলেন তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মা লতা বন্দ্যোপাধ্যায়, আরেক ভ্রাতৃবধূ তথা কাউন্সিলর কাজরী বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের সকল মানুষকে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা জানিয়ে, মানুষের সুস্থতা কামনা করে বলেন যে, ‘রাজনীতির বাইরেও আমি মানুষ। রাজ্যের মানুষের জন্য পুজো দিই। শুভ আনন্দে জাগো। রাজনীতির কাজ মানুষের জন্য। সবাই ভালো থাকুক। এই প্রার্থনা করে প্রতিবার পুজো দিই।’ 

এদিন মুখ্যমন্ত্রী কালীঘাটের স্কাইওয়াকের কাজ নিয়েও কথা বলেন তিনি। বৃহস্পতিবার কালীঘাটে স্কাইওয়াকের কাজ কতদূর এগিয়েছে, সে বিষয়েও খোঁজখবর নেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও আরও যেসব জায়গায় সংস্কারের কাজ চলছে সেইসব কাজেরও খোঁজখবর নেন। উল্লেখ্য, ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে কালীঘাটে স্কাইওয়াক হচ্ছে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন যে, ‘কালীবাড়িতে ৩০০ কোটি টাকা খরচ করে স্কাইওয়াক (Skyway) তৈরি করা হচ্ছে। দক্ষিণেশ্বরের মতো করে। তবে  হকারদের কোনও চিন্তা নেই। কিছুদিনের জন্য সরতে হলেও প্রত্যেকের জন্য ব্যবস্থা করা হবে। সবাইকে ফিরিয়ে আনা হবে।’

এখানেই শেষ নয়, তাঁর আরও সংযোজন, ‘কাউকে উচ্ছেদ করা হবে না। তাই চিন্তার কিছু নেই। হকারদের জন্য হাজরা পার্কে স্টল করে দেওয়া হবে। আস্তে আস্তে ফিরবে হকাররা। কালীঘাটের কাজ খুব ভালো হয়েছে। দক্ষিণেশ্বর, চাকলা ধামেও কাজ ভালো হয়েছে।’
এরপর রাজ্যবাসীকে আবারও একবার নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান তিনি। বলেন, ‘বাংলার সকলের জন্য শুভ ও শান্তি কামনা করতে এসেছিলাম। আমি বহুবছর ধরেই নববর্ষের আগের দিন কালীঘাটে আসি। রাজ্যের মানুষের জন্য পুজো দিই। যতদিন বাঁচব ততদিন আসব। মায়ের কাছে প্রার্থনা করতে আসি, যাতে মানবিকতা বজায় থাকে। মনুষ্যত্ব বজায় থাকে।’

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, প্রতিবছরই মুখ্যমন্ত্রী এই দিনে কালীঘাটে পুজো দিতে আসেন। গত বছরও পায়ে চোট থাকা সত্ত্বেও গিয়েছিলেন মন্দিরে। হুইলচেয়ারে বসেই রাজ্যের মানুষের মঙ্গল কামনায় মায়ের পুজো দিয়েছিলেন।