বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

পুজোর একমাস আগেই উৎসবে মাতল কলকাতা, দেখুন শোভাযাত্রার নানা মুহূর্ত

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২, ০৩:৪৩ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১, ২০২২, ০৯:৫০ পিএম

পুজোর একমাস আগেই উৎসবে মাতল কলকাতা, দেখুন শোভাযাত্রার নানা মুহূর্ত
পুজোর একমাস আগেই উৎসবে মাতল কলকাতা, দেখুন শোভাযাত্রার নানা মুহূর্ত

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শহর কলকাতা বরাবরই উৎসববিলাসী। উৎসবে মাততে কলকাতার জুড়ি মেলা ভার। আর বাঙালির সবথেকে বড় উৎসব দুর্গাপুজো। সারা বাংলার পাশাপাশি কলকাতাড় দুর্গাপুজো মানেই একদম জমজমাট ব্যাপার। তবে, পুজোর এখনও একমাস বাকি। এদিকে, তার আগেই উৎসবে মাতল কলকাতা। এদিন জোড়াসাঁকো থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা শুরু হয়। এই শোভাযাত্রার অগ্রভাগে অবশ্যই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ৭ টি ওয়ার্ডের মধ্যে দিয়ে শোভাযাত্রা এগিয়ে যায়। এই শোভাযাত্রা দেখতে আজ অগণিত মানুষ রাস্তায় নামেন। মানুষের ভিড় চোখে পড়ার মতো।

ইউনেস্কোর হেরিটেজ স্বীকৃতিকে ধন্যবাদ জানিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই পদযাত্রার ডাক দিয়েছেন। এই পদযাত্রায় তাঁর সঙ্গে পা মেলালেন বহু বিশিষ্টজনেরা। দুর্গাপুজোর সেই চেনা ছবি পুজোর একমাস আগেই শহরকে উৎসবমুখর করে তুলল। শুরুর দিকে বৃষ্টি হলেও, পরে আকাশ পরিষ্কার হওয়ায় মিছিলে অংশগ্রহণকারীদের উৎসাহ আরও দ্বিগুন হয়ে ওঠে।

এদিন এই শোভাযাত্রার মাঝে মাঝে একাধিক জায়গায় থামেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ছবি তোলেন বিভিন্ন মুহূর্তের। রেড রোডের দিকে শোভাযাত্রা যতোই এগোতে থাকে, ততই যেন উৎসবের এই রং আরও গাঢ়ো হতে থাকে।

বিশ্ব সেরা বাংলার এই হেরিটেজ স্বীকৃতিকে উদযাপন করতে প্রতিটি পুজো কমিটি নিজেদের মতো করে শোভাযাত্রায় সামিল হন এদিন। পুজো কমিটিগুলি তাঁদের ব্যানারের সঙ্গে সঙ্গে নিজেদের থিম, সংস্কৃতি ইত্যাদি ফুটিয়ে তুলেছেন পোশাকের মাধ্যমে। রয়েছে রঙিন ছাতা, ফেস্টুন। কেউ ধুনুচি হাতে নাচছেন, কেউ আবার সেজেছেন মা দুর্গা। কেউ আবার সঙ্গে এনেছেন দুর্গাপ্রতিমার রেপ্লিকা। আবার কোথাও রাস্তার ধারে ছোট ছোট মঞ্চ তৈরি পুজোর গান বাজানো হচ্ছে। মুখ্যমন্ত্রীর পুজোর গান বাজছিল মিছিলজুড়ে। এদিন রঙিন পাখা হাতে নিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে দেখা গিয়েছে সকলকে অভিবাদন জানাতে।

এদিন এই বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা উপলক্ষে নিরাপত্তার বেষ্টনীতে মুড়ে ফেলা হয় কলকাতা শহরকে। পদযাত্রায় মোতায়েন হয়েছে অতিরিক্ত পুলিশবাহিনী। লালবাজার সূত্রে জানা গিয়েছে, রেড রোড চত্বরকে মোট ১০টি সেক্টরে ভাগ করা হয়েছে। প্রত্যেক সেক্টরের দায়িত্বে রয়েছেন একজন করে ডিসি পদমর্যাদার অফিসার। গিরিশ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত নিরাপত্তার দায়িত্বে রয়েছেন ১২ জন পুলিশ আধিকারিক। এছাড়াও ৫৫টি পুলিশ পিকেট বসানো হয়েছে।