শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘সাংসদ-বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করুন বাড়ি-সড়ক প্রকল্পে’, অনুরোধ মমতার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ০৪:৩৬ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৮, ২০২২, ১০:৪৭ পিএম

‘সাংসদ-বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করুন বাড়ি-সড়ক প্রকল্পে’, অনুরোধ মমতার
‘সাংসদ-বিধায়ক তহবিলের টাকা খরচ করুন বাড়ি-সড়ক প্রকল্পে’, অনুরোধ মমতার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ সামনেই রয়েছে বড় লক্ষ্য। পঞ্চায়েত নির্বাচন। বস্তুত গ্রামীণ এলাকার কাজকর্ম-এর উপরেই পঞ্চায়েত ভোটের মূল্যায়ন হয়ে থাকে। আর এই বিষয়ে সাবধানী রাজ্যের শাসকদল। তাই আসন্ন পঞ্চায়েত নির্বাচনের আগে, গ্রামীণ এলাকায় উন্নয়নের কাজে বেশি করে জোর দিলেন মুখ্যমন্ত্রী তথা তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের বুথকর্মীদের নিয়ে সম্মেলনে সাংসদ, বিধায়কদের গাইডলাইন বেঁধে দিলেন দলের প্রধান। আজকের বৈঠকে বুথ এবং ব্লক স্তরের নেতাকর্মীদের উপস্থিত থাকতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল। এদিনের সভা থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একাধিক গুরুত্বপূর্ণ বার্তা দিয়েছেন দলের কর্মীদের উদ্দেশে।

এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কেন্দ্রের সরকারকে আক্রমণ করে বলেন, ‘আমার ৫০ লাখ অনুরোধ পড়ে রয়েছে বাংলার বাড়ি প্রকল্পে। কিন্তু, ওরা এর টাকা বন্ধ করে দিয়েছে। বিধায়ক এবং সাংসদদের অনুরোধ প্লিজ আপনারা এমপি এবং এমএলএ ল্যাডের টাকাটা বাংলার বাড়ির প্রকল্পে খরচ করুন। সেক্ষেত্রে যে ৫০ লাখ আবেদন পেন্ডিং রয়েছে তা করা সম্ভব হবে। এতে নিজের এলাকায় অনেক মানুষকে ঘর করে দিতে পারবেন। এটা গাইডলাইনে যোগ করে দেব।’

এদিন তৃণমূল সুপ্রিমো জেলা পরিষদ এবং পঞ্চায়েত সমিতির সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘আপনাদের যে ১৫ শতাংশ বরাদ্দ রয়েছে তা রাস্তা তৈরি এবং বাংলার বাড়ির কাজে ব্যবহার করুন। মানুষকে ভালোবাসলে তাঁরা ভালোবাসবে। তৃণমূলের ৯৯.৯ শতাংশ মানুষ সৎ। তাঁরা সমাজসেবা করতে চান। কারও কারও জন্য গোটা দলকে চোর বলে আক্রমণ করা হচ্ছে। এটা ঠিক নয়।’

আবার এদিন আগের বাম সরকারকে আক্রমণ করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন,’যাওয়ার আগে সব ফাইল উড়িয়ে দিয়ে গেছে। আমি চাইলে টেনে টেনে সব কটাকে জেলে ভরতে পারতাম। কিন্তু, আমরা বদলা নয়, বদল চাই। আমরা আমাদের কথা রেখেছিলাম। ওরা ওদের কথা রাখেনি। ওদের আমলের কাগজ কোথায়? একটা কাগজ পাই না। আমরা তো সব ডিজিটাল করে যাচ্ছি। সবকিছু অনলাইন হচ্ছে।’ তাঁর আরও বক্তব্য, ‘একটা দু’টো ভুল নীচু তলার কর্মীদের হতে পারে। অনেকে ইচ্ছা করে করে। বামেদের কারও চাকরি আমি খাইনি। তারাই তো এসব করে। সুতরাং তারা কিছু করলে আমাদের প্রস্তুতি নিতে হবে।’

তৃণমূল সুপ্রিমোর কথায়, ‘এখানে টিকিট পেতে লবি করতে হয় না। কাজ করতে হয়। কাজ করলেই টিকিট পাবেন।’ উল্লেখ্য, এদিন মুখ্যমন্ত্রী উল্লেখ করেন, ‘১১ নভেম্বর থেকে ৫ জানুয়ারি পর্যন্ত ভোটার লিস্টের কাজ শুরু হচ্ছে। ভুল সংশোধন, নতুন ভোটারদের নাম তোলা হবে। বছরে চার বার ভোটার লিস্ট নবীকরণ হবে। ১ জানুয়ারি, ১ এপ্রিল, ১ জুলাই, ১ অক্টোবর।’

প্রসঙ্গত আজই সন্ধের সময় রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট পর্যন্ত রাস্তার উদ্বোধন করবেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। পাশাপাশি এর সঙ্গেই ইন্ডিয়া গেটে নেতাজি সুভাষ চন্দ্র বসুর গ্রানাইটের মূর্তিও উন্মোচন করবেন প্রধানমন্ত্রী। দিল্লির রাইসিনা হিলসের উপরে রাষ্ট্রপতি ভবন থেকে ইন্ডিয়া গেট অবধি যে রাস্তার নাম রাজপথ, তারই নাম পরিবর্তন করে নতুন নাম হবে ‘কর্তব্য পথ’। এই উদ্বোধনে আমন্ত্রণ পেয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রসঙ্গে এদিন তিনি বলেন, ‘একটি আন্ডার সেক্রেটারি স্তরের আধিকারিক একটি চিঠি দিয়ে বলছেন আমাকে ছয়টায় উপস্থিত থাকতে। যেন চাকর-বাকর। কোন আন্ডার সেক্রেটারি এভাবে মুখ্যমন্ত্রীকে চিঠি লিখতে পারে না। বলে না বুদ্ধির বৃহস্পতি। আজ বৃহস্পতিবার। আমি আজ এখানে আসার আগে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর মূর্তিতে আবার মালা দিয়ে এলাম।’