শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে আইনি পদক্ষেপ, প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল হবে! কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২২, ০৮:০৩ পিএম | আপডেট: মে ১২, ২০২২, ০২:০৩ এএম

স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে আইনি পদক্ষেপ, প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল হবে! কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর
স্বাস্থ্যসাথী কার্ড না নিলে আইনি পদক্ষেপ, প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল হবে! কড়া বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এটাই প্রথমবার নয়, এর আগেও একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে রাফ অ্যান্ড টাফ হবে রাজ্য।’ পাশাপাশি এও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই কার্ড ফেরালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে বাতিল করাও হতে পারে বেসরকারি হাস্পাতালের লাইসেন্সও। 

এদিন নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে আলোচনা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত জেলার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কলেজে সুপাররা।

মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, ‘অনেক বেসরকারি হাসপাতাল স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না। কী কারণে তারা এই কার্ড নিচ্ছে না, তা তাদের জানাতে হবে। বিষয়টা আমরা দেখছি।’ এরপরেই তিনি জানান ‘স্বাস্থ্য দফতরকে বলা হয়েছে, যারা স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিচ্ছে না তাদের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়া হবে। প্রয়োজনে লাইসেন্সও বাতিল করা হবে।’ এর পাশাপাশি স্বাস্থ্যক্ষেত্রে যে সমস্ত পদ শূন্য রয়েছে, তা দ্রুত পূরণ করার নির্দেশ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। 

উল্লেখ্য, রাজ্যের স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের সুবিধা ভিন রাজ্যেও মেলে। এ প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী রাজ্যের দেওয়া স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে রাজ্যেই চিকিৎসা করানোর পরামর্শ দিলেন। তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ডে অন্য রাজ্যে চিকিৎসা করালে, আমাদের এখানকার টাকা অন্য রাজ্যে চলে যায়। আমি চাইব, আমাদের এখানকার টাকা এখানেই থাকুক।’

এদিনের বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্য পুলিশ, কলকাতা পুলিশ, জেলা প্রশাসনকে রক্তদান শিবির করার উপর জোর দিতে হবে। রক্তদান শিবির করার জন্য উৎসাহ দিতে হবে ক্লাবগুলোকেও। মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালদহ, দক্ষিন ২৪ পরগণা, জলপাইগুড়ি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনার টিকাকরণের হার এখনও ৯০ শতাংশের নিচে। তাই এই জেলাগুলিতে টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। 

মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করার প্রবণতা কমাতে হবে। করোনা রোগী নয়, এমন রোগীদের চিকিৎসায় কোনোরকম গাফিলতি করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর পরিকাঠামো আরও ভাল করতে হবে। এখানেই শেষ নয়, তিনি হাসপাতালগুলিতে সারপ্রাইজ ভিজিট করতে হবে এবং অতি অবশ্যই ডেঙ্গু ও ম্যালেরিয়া প্রতিরোধে এখন থেকেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে।