বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

সুপ্রীম রায়ে স্বস্তি, নাকি চাপ বাড়বে মানিকের?

মৌসুমী

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৯:৪৯ এএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ৩০, ২০২২, ০৩:৪৯ পিএম

সুপ্রীম রায়ে স্বস্তি, নাকি চাপ বাড়বে মানিকের?
সুপ্রীম রায়ে স্বস্তি, নাকি চাপ বাড়বে মানিকের?

আজই মেয়াদ শেষ হচ্ছে মানিক ভট্টাচার্যর রক্ষা কবচের। সর্বোচ্চ আদালত থেকে তাকে ২ দিনের স্বস্তি দেওয়া হয়েছিল। সেই মেয়াদ আজই শেষ। এবার সুপ্রিম কোর্ট কি নির্দেশ দেয় সেদিকেই তাকিয়ে সংশ্লিষ্ট মহল। আজ সুপ্রিম কোর্টের শুনানিতে কি স্বস্তি মিলবে? না কি চাপ আরও বাড়বে? সেই দিকেই তাকিয়ে রয়েছেন মানিক ভট্টাচার্য নিজেও।

ওএমআর সিট নষ্টের অভিযোগ উঠেছে, সেইসময় পর্ষদ সভাপতি ছিলেন মানিক ভট্টাচার্য।২০১৪ সালের টেট পরীক্ষার ওয়েমার শিট নষ্ট করার অভিযোগ উঠেছিল মানিক ভট্টাচার্যের বিরুদ্ধে। এ প্রসঙ্গে মূলত এদিন মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল সিবিআইয়ের। ওয়েমার শিট নষ্ট করার ক্ষেত্রে এড হক কমিটির কি ভূমিকা ছিল তা খতিয়ে দেখতেই জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতিকে।কিন্তু তিনি হাজিরা দেননি।

এদিকে, ওএমআর শিট নষ্ট সংক্রান্ত মামলায় বিচারপতি অভিজিত্‍ গঙ্গোপাধ্যায় নির্দেশ দিয়েছেন,১ নভেম্বর তদন্তে অগ্রগতির রিপোর্ট জমা দিতে হবে সিবিআই-কে। তাই সিবিআই সর্বাত্মক ভাবে চেষ্টা করবে মানিক ভট্টাচার্যকে ফের জিজ্ঞাসাবাদ করার জন্য নিজেদের হেফাজতে নিতে।

নিয়োগ দুর্নীতিতে গ্রেফতার করা হয়েছে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। তাকে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের সভাপতি পদ থেকে অপসারিত করার নির্দেশ দিয়েছিলেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। বিচারপতির সিঙ্গেল বেঞ্চের এই রায়কে বহাল রেখেছিল হাইকোর্টের বিচারপতি সুব্রত তালুকদার ও লপিতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ডিভিশন বেঞ্চ।

এরপর হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চের এই নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে সুপ্রিমকোর্টে যান মানিক ভট্টাচার্য। এবার শীর্ষ আদালতের তরফে বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রমনাথের ডিভিশন বেঞ্চ তাকে দুদিনের জন্য রক্ষাকবচ দিয়েছিলেন।

শীর্ষ আদালতের বিচারপতি অনিরুদ্ধ বসু এবং বিচারপতি বিক্রম নাথের ডিভিশন বেঞ্চ জানায়, দুদিনের রক্ষাকবচ দেওয়া হয়েছে মানিক বন্দ্যোপাধ্যায় কে। শুক্রবার পর্যন্ত তাকে গ্রেফতার করতে পারবে না সিবিআই। তবে মঙ্গলবার রাত আটটার মধ্যে মানিক ভট্টাচার্যকে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে। তবে শুধু হাজিরাই নয় তদন্তেও তাকে সহযোগিতা করতে হবে। প্রাক্তন পর্ষদ সভাপতি যদি তদন্তের সহযোগিতা না করেন তাহলে তাকে প্রয়োজনে গ্রেফতার করার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে শীর্ষ আদালতের তরফে।

কিন্তু, সেই হাজিরা দেননি মানিক। এদিকে আজই সুপ্রিম রক্ষাকবচের মেয়াদ শেষ। এদিনের শুনানিতে কি পুজোর সময় ফের স্বস্তি মিলবে? নাকি চাপ বাড়বে তৃণমূল বিধায়কের? সেদিকেই তাকিয়ে রাজ্য।