শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

গুজরাট সেতু বিপর্যয় থেকে শিক্ষা! রাজ্যের কেবল ব্রিজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব নবান্নের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ০৪:২৮ পিএম | আপডেট: অক্টোবর ৩১, ২০২২, ১০:২৮ পিএম

গুজরাট সেতু বিপর্যয় থেকে শিক্ষা! রাজ্যের কেবল ব্রিজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব নবান্নের
গুজরাট সেতু বিপর্যয় থেকে শিক্ষা! রাজ্যের কেবল ব্রিজগুলির পরিস্থিতি নিয়ে রিপোর্ট তলব নবান্নের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রবিবার সন্ধের সময় গুজরাটের মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে ভেঙে পড়ে শতাব্দী প্রাচীন কেবল ব্রিজ। এই দুর্ঘটনায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। এই পরিস্থিতিতে এবার গুজরাটের সেতু বিপর্যয় থেকে শিক্ষা নিয়ে সতর্ক হচ্ছে নবান্ন। এ রাজ্যের বিজ্রগুলির অবস্থা নিয়ে সাততাড়াতাড়ি রিপোর্ট চাইল রাজ্যের প্রশাসনিক ভবন। জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার, দার্জিলিং-সহ কয়েকটি জেলায় ঝুলন্ত ব্রিজ রয়েছে। সেগুলির অবস্থা কী, তা নিয়ে আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে বিস্তারিত রিপোর্ট পাঠানোর নির্দেশ দেওয়া হয়েছে উক্ত প্রতিটি জেলার পূর্ত দফতরের ইঞ্জিনিয়ারদের।

এর পাশাপাশি রাজ্যে যেসব উড়ালপুল রয়েছে, সেগুলির বর্তমান অবস্থা নিয়েও রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে। জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার বিকেল ৪ টে নাগাদ ইঞ্জিনিয়ারদের নিয়ে বৈঠকে বসেছেন রাজ্যের পূর্তমন্ত্রী পুলক রায়। উল্লেখ্য, শহরের বিভিন্ন উড়ালপুলের সংস্কার করা হয়েছে। কিন্তু জেলা স্তরে উড়ালপুলগুলিতে সেভাবে রক্ষণাবেক্ষণ হয় কিনা, সেসবের বিস্তারিত রিপোর্ট চাইল পূর্ত দফতর।

ভয়ঙ্কর দুর্ঘটনা ঘটে গেছে গুজরাটে। রবিবার সন্ধের সময় এই রাজ্যের মোরবি জেলার মচ্ছু নদীতে ভেঙে পড়ে শতাব্দী প্রাচীন কেবল ব্রিজ। এই দুর্ঘটনায় ক্রমশ বেড়েই চলেছে মৃতের সংখ্যা। প্রধানমন্ত্রী সফরকালের মাঝেই মোরবিতে মচ্ছু নদীর উপরে কেবল সেতু ভেঙে পড়ে প্রাণ হারিয়েছেন এখনও পর্যন্ত ১৪১ জন। মৃতের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে। পাশাপাশি জানা গিয়েছে, অনেকের খোঁজ নেই। দুর্ঘটনার সময় শতাধিক মানুষ ছিলেন ওই ব্রিজে। বেশ কিছু মানুষের নদীতে তলিয়ে যাওয়ার আশঙ্কাও করা হচ্ছে। জানা গিয়েছে, ওই সময় ব্রিজে প্রায় ৫০০ জন ছিলেন। স্থানীয় সূত্রে দাবি করা হচ্ছে, অতিরিক্ত ওজন নিতে না পারার কারণেই ব্রিজটি ভেঙে পড়ে।

প্রসঙ্গত, সেতুটি সারানোর কাজ চলছিল। দিন পাঁচেক আগে নতুন করে খুলে দেওয়া হয়েছিল ওই সেতু। আর তারপরই রবিবার সন্ধ্যায় এই দুর্ঘটনা ঘটে। মোরবির এই কেবল ব্রিজ বহু বছর আগে নির্মিত হয়েছিল। গুজরাটে এই সেতু বা ব্রিজ অত্যন্ত জনপ্রিয়। সম্প্রতি মেরামতের জন্য বন্ধ ছিল বেশ কিছুদিন ধরে। ওধভজি পটেলের মালিকানাধীন ওরেভা গ্রুপকে মেরামতের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল। কয়েক কোটি টাকা খরচ করে সেতুটি মেরামত করা হয়েছে। পরে ২৬ অক্টোবর পুনরায় সেতুটি চালু করা হয়। তবে, জানা গিয়েছে, শতাব্দী প্রাচীন সেতুটির সংস্কারের পর পুনরায় চালু করার আগে কোনও সুরক্ষা শংসাপত্রও পর্যন্ত নেওয়া হয়নি। বিপর্যয়ের নেপথ্যে গাফিলতির প্রমাণও মিলেছে। ভারবহন ক্ষমতার অতিরিক্ত মানুষ উঠেছিলেন। ব্রিজে লাথি মারা হয়েছিল। ঝাঁকানোও হয়েছিল বলেও অভিযোগ। সেই সঙ্গে উঠেছে দুর্নীতির অভিযোগও।

এদিকে, এই দুর্ঘটনা নিয়ে রাজনৈতিক তরজাও শুরু হয়ে গিয়েছে। এসবের মধ্যেই সতর্কতা অবলম্বন করেছে নবান্ন। গুজরাটের মোরবির মতোই এ রাজ্যের ঝুলন্ত সেতুগুলির অবস্থা কীরকম? পরিকাঠামো কতোটা ঠিক রয়েছে? সমস্ত জানতে চেয়ে রিপোর্ট জমা করতে বলেছেন পূর্তমন্ত্রী।