শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

‘কোনও চক্রান্ত হয়নি’! মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপর্যয় প্রসঙ্গে রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ০৫:৩৪ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৫, ২০২২, ১১:৩৪ পিএম

‘কোনও চক্রান্ত হয়নি’! মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপর্যয় প্রসঙ্গে রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রের
‘কোনও চক্রান্ত হয়নি’! মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিপর্যয় প্রসঙ্গে রিপোর্ট পেশ কেন্দ্রের

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্তরপ্রদেশ থেকে নির্বাচনী প্রচার সেরে ফেরার সময় হওয়া বিমান বিভ্রাটে কোনও চক্রান্ত বা গাফিলতি ছিল না। সোমবার অর্থাৎ আজ কলকাতা হাইকোর্টে জমা করা রিপোর্টে কেন্দ্রীয় বিমান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এমনটাই জানানো হয়েছে। সেই রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, ওইদিন মুখ্যমন্ত্রীর বিমান বিভ্রাটের পেছনে কোনরকম কোনও ষড়যন্ত্র ছিল না। যান্ত্রিক কারণেই ওই ঘটনা ঘটেছিল। এর পাশাপাশি কলকাতা হাইকোর্টে বিমান মন্ত্রকের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, একাধিক কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ওই ঘটনা নিয়ে তদন্ত চালিয়েছে। কিন্তু সেই তদন্তে কোনরকম ষড়যন্ত্র প্রকাশ পায়নি। কেন্দ্রের পক্ষ থেকে আর জানানো হয়েছে যে, কেন্দ্রের নিরাপত্তা মন্ত্রকের রিপোর্টে বিষয়টির উল্লেখ আছে। তবে, ওই রিপোর্টের গোপনীয়তা রক্ষা করা প্রয়োজন। তাই ওই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আনা সম্ভব নয়। তবে, আদালত চাইলে রিপোর্টটি শুধুমাত্র বিচারপতির কাছে পেশ করা যেতে পারে। এই গোটা বিষয় শোনার পর, কলকাতা হাইকোর্টের ডিভিশন বেঞ্চ এই মর্মে বিস্তারিত রিপোর্ট হলফনামা আকারে জমা করার নির্দেশ দিয়েছে। ১৮ জুলাই এই মামলার পরবর্তী শুনানি রয়েছে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত মার্চ মাসে উত্তরপ্রদেশের বারাণসীতে নির্বাচনী সফরে গিয়েছলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখান থেকে চাটার্ড ফ্লাইটে কলকাতায় ফেরার পথে সমস্যা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর বিমানে হঠাৎ করেই তীব্র ঝাঁকুনি হয়। এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়ার পক্ষ থেকে প্রাথমিকভাবে জানানো হয়েছিল যে, আবহাওয়া খারাপ থাকার কারণে এয়ার পকেটে পড়ে যায় মুখ্যমন্ত্রীর বিমান। কিন্তু বিষয়টিকে সেই সময় একেবারেই হালকাভাবে নিতে চায়নি নবান্ন। কারণ, মাঝ আকাশে আবহাওয়া প্রতিকূল থাকলে, সেটা যাত্রীদের আগাম জানানোর কথা। এরপরেই মুখ্যসচিব চিঠিতে জানতে চান যে, বিমানটির রুট ক্লিয়ারেন্স ছিল কিনা। 

এদিকে, ওই ঘটনা প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী বলেছিলেন, ‘বিমানটি এয়ার পকেটে পড়েনি। সামনে অন্য বিমান চলে এসেছিল। তাতেই ঘটে বিপত্তি।’ পাশাপাশি তিনি এও জানিয়েছিলেন যে, সেই ঘটনার জেরে তাঁর রক্তচাপ বেড়ে যায়। কোমরে চোটও পান তিনি। 

এই ধরনের ঘটনা এই প্রথমবার নয়। এর আগে ২০১৬ সালে একইভাবে বিমান বিভ্রাটের সম্মুখীন হয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তখনও অভিযোগ দায়ের হয়েছিল। তাই মামলাকারী বিপ্লব চৌধুরীর দাবি, আগের অভিযোগেরও যথাযথ তদন্ত হয়নি। তারপর ফের একই ঘটনা ঘটল। সেক্ষেত্রে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিরাপত্তার কী ব্যবস্থা করা হয়েছে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে, তা জানতে চেয়েই মামলা করা হয়েছিল। দুটি ক্ষেত্রেই কোনও ষড়যন্ত্র ছিল কিনা, তা তদন্ত করে দেখার আবেদন জানানো হয়েছিল উক্ত মামলায়। জেড প্লাস নিরাপত্তা থাকা বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর বারবার বিমান বিভ্রাটের এই ঘটনায় ক্ষুব্ধ প্রশাসন। এই ঘটনার বিস্তারিত ব্যাখ্যা চেয়ে এয়ারপোর্ট অথিরিটি অফ ইন্ডিয়াকে চিঠিও পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।