বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতারের ৫৮ দিন পরে, আজ চার্জশিট পেশ ED-র

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৩:৪৫ পিএম | আপডেট: সেপ্টেম্বর ১৯, ২০২২, ০৯:৪৫ পিএম

এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতারের ৫৮ দিন পরে, আজ চার্জশিট পেশ ED-র
এসএসসি দুর্নীতি মামলায় পার্থ-অর্পিতাকে গ্রেফতারের ৫৮ দিন পরে, আজ চার্জশিট পেশ ED-র

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ শিক্ষিক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজই চার্জশিট পেশ করতে চলেছে ইডি। এসএসসি দুর্নীতি কাণ্ডের তদন্তে নেমে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে ম্যারাথন জেরার পর তাঁকে গ্রেফতার করেছিল ইডি। এর পাশাপাশি পার্থ- ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়ের দুই ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল কয়েক কোটি টাকা। যে কারণে গ্রেফতার করা হয় অর্পিতাকেও। সেই গ্রেফতারির ৫৮ দিন পর আজ চার্জশিট পেশ করতে চলেছে কেন্দ্রিত তদন্তকারী সংস্থা ইডি। জানা গিয়েছে, ইডি-র চার্জশিটে পার্থ এবং অর্পিতা উভয়েরই নাম রয়েছে। পাশাপাশি আরও কয়েকজনের নাম আছে এই চার্জশিটে। ব্যাঙ্কশাল আদালতে পিএমএলএ আইনে ওই চার্চশিট দেওয়া হচ্ছে।

ইডি সূত্রে খবর, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় আজকেই চার্জশিট জমা করবে ইডি। উল্লেখ্য এই মামলায় গত ২৩ জুলাই ইডি-র হাতে গ্রেফতার হয়েছিলেন রাজ্যের প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং মন্ত্রী ঘনিষ্ঠ অর্পিতা মুখোপাধ্যায়। অর্পিতার টালিগঞ্জ ও বেলঘরিয়ার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয় কোটি কোটি টাকা, সোনা, সম্পত্তির দলিল, কোম্পানির নথি। অর্পিতাকেও গ্রেফতার করে ইডি। এছাড়াও এসএসসি মামলায় পশ্চিম মেদিনীপুরের পিংলায় পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের স্ত্রীর নামাঙ্কিত স্কুলেও হানা দেয় ইডি। জানা যায়, স্কুলের চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের জামাই কল্যাণময় ভট্টাচার্য। 

এখানেই শেষ নয়, প্রকাশ্যে আসে শান্তিনিকেতনে একাধিক বাড়ি, গেস্ট হাউজ আছে বলে। স্থানীয়দের মারফৎ জানা যায় যে, এই বাড়িগুলি পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের নামে। পাশাপাশি এখানেই প্রায়শই নাকি আসতেন তিনি। চার্জশিটে উল্লেখ করা হয়েছে যে, মোট ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে। এই উদ্ধার হওয়া বিপুল পরিমাণ টাকা পার্থ এবং অর্পিতার।

এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইডি বাজেয়াপ্ত করেছে ৪০টি অস্থাবর সম্পত্তি। যার মোট মূল্য ৪৮ কোটি ২২ লাখ। এর মধ্যে রয়েছে ফ্ল্যাট, ফার্ম হাউজ, কলকাতার অভিজাত এলাকায় বাড়ি। এর পাশাপাশি বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে স্থাবর সম্পত্তি। যার মধ্যে একাধিক ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে পাওয়া গিয়েছে ৪০ কোটি ৩৩ লাখ টাকা। মোট ৩৫টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্টের হদিশ পাওয়া গিয়েছে। যেখানে পাওয়া গিয়েছে ৭ কোটি ৮৯ লাখ টাকা। এই বাড়ি, গাড়ি, ব্যাঙ্কের গচ্ছিত টাকা সমস্তটাই পার্থ এবং অর্পিতার নামে। একাধিক ভুয়ো সংস্থা এবং বেনামে এই সম্পত্তিগুলি পাওয়া গিয়েছে। 

এখনও পর্যন্ত কেন্দ্রীয় সংস্থার বাজেয়াপ্ত করা সম্পত্তির মধ্যে রয়েছে নগদ ৪৯ কোটি ৮০ লাখ টাকা। এছাড়াও উদ্ধার হয়েছে ৫ কোটি ৮ হাজার টাকার সোনা। মোট উদ্ধার হওয়া টাকার পরিমাণ ১০৩ কোটি ১০ লাখ টাকা। তদন্ত শুরুর ৫৮ দিনের মাথায় এই চার্জশিট পেশ করেছে ইডি।