শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

১১১ থেকে সোজা ১০৮, মাত্র ১২ দিনেই ৩ কেজি ওজন কমল পার্থর

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৫, ২০২২, ০৪:৩৭ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৫, ২০২২, ১০:৩৭ পিএম

১১১ থেকে সোজা ১০৮, মাত্র ১২ দিনেই ৩ কেজি ওজন কমল পার্থর
১১১ থেকে সোজা ১০৮, মাত্র ১২ দিনেই ৩ কেজি ওজন কমল পার্থর

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ২৪ জুলাই স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য ভুবনেশ্বর এইমসে নিয়ে যাওয়া হয়েছিল পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। সেই রিপোর্ট প্রকাশ্যে আসতেই জানা যায়, পার্থবাবুর ওজন ছিল ১১১ কেজি। এরপর ভুবনেশ্বর থেকে সোজা তাঁকে নিয়ে আসা হয় সল্টলেকের সিজিও কমপ্লেক্সে। সেদিনের পর থেকে টানা ১২ দিন ইডি হেফাজতেই রয়েছেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। ৪৮ ঘন্টা অন্তর অন্তর জোকা ইএসআই হাসপাতালে তাঁর স্বাস্থ্য পরীক্ষাও হচ্ছে।

আজ অর্থাৎ শুক্রবার পুনরায় স্বাস্থ্য পরীক্ষা করানোর জন্য পার্থ চট্টোপাধ্যায় এবং অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কে জোকা ইএসআই হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। হাসপাতাল সূত্রে জানা যায়, পার্থর বর্তমান ওজন এসে দাঁড়িয়েছে ১০৮ কেজি। মাত্র ১২ দিনেই ইডির কড়া ডায়েট মেনে চলে ২ কেজি ৯০০ গ্রাম ওজন ঝরিয়েছেন পার্থবাবু। এমনকি তাঁর এখন বিশেষ শারীরিক সমস্যাও নেই।

পার্থ চট্টোপাধ্যায় বরাবরই খাদ্যরসিক। ভাত খেতে তিনি ভীষণ ভালোবাসেন। এমনকি ইডির হেফাজতে থাকাকালীন তিনি ভাত এবং খাসির মাংস খাওয়ার আবদারও জানিয়েছিলেন। যদিও ইডির তরফ থেকে তাঁর আবদার রাখা হয়নি। পরিবর্তে চিকিৎসকদের পরামর্শ মত তাঁকে দেওয়া হয়েছে, রুটি, সবজি এবং ফল। প্রথমদিকে তিনি এর ঘোর আপত্তি জানালেও পরের দিকে অবশ্য সবটা মেনে নিয়েছেন।

বিগত কয়েক দিন ধরে পর্যাপ্ত ডায়েটে থাকার কারণেই যে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ওজন কমেছে এমনটাই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে চিকিৎসকদের একাংশের মত, শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি কান্ডে গ্রেফতার হওয়া, দীর্ঘক্ষণ জিজ্ঞাসাবাদ, দল থেকে ছাঁটাই হওয়া, এই সব মিলিয়েই প্রবল মানসিক চাপের মধ্যে রয়েছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। আর সেই কারণেও ওজন কমতে পারে বলে ধারণা তাঁদের।

প্রসঙ্গত, বিগত ১৫ বছর ধরেই টাইপ টু ডায়াবেটিসে আক্রান্ত পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এমনকি তাঁর ওজনও স্বাভাবিকের তুলনায় অনেকটাই বেশি। তবে খাওয়া-দাওয়ার বিষয়ে যে তাঁর একেবারেই লাগাম ছিল না একথা প্রাক্তন মন্ত্রীর ঘনিষ্ঠদের অনেকেই জানিয়েছেন। তাই স্বাভাবিকভাবেই এর প্রভাব পড়েছে তাঁর দৈনন্দিন জীবনেও। এমনিতেও তাঁর চলাফেরার ক্ষেত্রেও সে প্রভাব যথেষ্ট চোখে পড়ে। ইডি হেফাজতে আসার পরও এই নিয়ে তাঁর সমস্যা বাড়ে। এমনিতে আগে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে স্নান করিয়ে দেওয়ার জন্য নির্দিষ্ট লোক ছিল। সিজিও কমপ্লেক্সে আসার পর সেই সুবিধা প্রথমে না মেলায় টানা দুদিন স্নান করেননি পার্থ বাবু। পরে অবশ্য তাঁকে স্নান করিয়ে দেওয়ার দায়িত্ব দেওয়া হয় এক কর্মীকে।