শুক্রবার, ১৯ এপ্রিল, ২০২৪

বিলাসবহুল বাড়ি থেকে লক-আপ, খেতে হচ্ছে কয়েদিদের সাধারণ খাবার! জেলে কেমন কাটছে পার্থর?

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৬, ২০২২, ০৪:০৮ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৬, ২০২২, ১০:০৮ পিএম

বিলাসবহুল বাড়ি থেকে লক-আপ, খেতে হচ্ছে কয়েদিদের সাধারণ খাবার! জেলে কেমন কাটছে পার্থর?
বিলাসবহুল বাড়ি থেকে লক-আপ, খেতে হচ্ছে কয়েদিদের সাধারণ খাবার! জেলে কেমন কাটছে পার্থর?

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ নাকতলার বিলাসবহুল বাড়িতেই দিন কাটত রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের। কিন্তু গত ২৩ জুলাই থেকেই সেই জীবনযাত্রা পাল্টেছে। এসএসসি নিয়োগ দুর্নীতিকাণ্ডে ইডি-র হাতে গ্রেফতার হওয়ার পর পার্থর ঠাঁই হয়েছিল সিজিও কমপ্লেক্সে। এরপর গতকাল অর্থাৎ ৫ আগস্ট ব্যাঙ্কশাল আদালত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দেয়। এরপরই তাঁকে নিয়ে যাওয়া হয় প্রেসিডেন্সি সংশোধনাগারে।

পার্থকে যে প্রেসিডেন্সি জেলে নিয়ে যাওয়া হতে পারে তা আগে থেকেই আন্দাজ করেছিল জেল কর্তৃপক্ষ। তাই শুক্রবার থেকেই পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করে রাখা হয় ২২ নম্বর ব্লকের ২ নম্বর কক্ষ। সেখানেই রয়েছেন পার্থবাবু। শুক্রবার তাঁর রাত কেটেছে অন্যান্য সাধারণ কয়েদিদের মতই। এদিন রাতে তাঁকে দেওয়া হয় ডাল, রুটি ও সব্জি। শনিবার সকালে তিনি চা বিস্কুট খান। আর এদিন দুপুরে তাঁর খাদ্য তালিকায় ছিল ভাত, ডাল ও সবজি।

কারা দফতরের তরফ থেকে আগেই নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল, প্রাক্তন শিক্ষামন্ত্রীর সঙ্গে যেন সাধারণ কয়েদিদের মতোই ব্যবহার করা হয়। সূত্রের খবর, শুক্রবার প্রেসিডেন্সি জেলে পৌঁছানোর পর থেকে কোনও অতিরিক্ত সুবিধা দেওয়া হয়নি পার্থকে। তাঁর এয়ার কন্ডিশনড ঘরে নরম বিছানায় রাত কাটত তাঁকে শুতে হয় জেলের মেঝেতেই। এসির বদলে রাত কাটে কেবল ফ্যানের হাওয়ায়।

এছাড়াও পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে একটি সাধারন চাদরেই শুতে দেওয়া হয়েছিল বলে খবর। তবে রাতে তাঁকে মিনারেল ওয়াটারের বোতল দেওয়া হয়। এছাড়াও শনিবার যদি প্রাক্তন মন্ত্রীর পরিবারের সদস্যরা কেউ দেখা করতে চান তাহলে সেই ব্যবস্থা করা হয়েছে। এমনকি পরিবারের তরফ থেকে যদি কেউ খাবার অথবা জামাকাপড় দিতে চান তাহলে সেটিও দিতে পারেন বলে জানা গিয়েছে।

প্রসঙ্গত, ইডি হেফাজতে থাকাকালীন বিশেষ নজর রাখা হত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের উপর। তাঁর ডায়াবেটিস থাকায় কড়া ডায়েট ছিল ঠিকই, কিন্তু তিন বেলাই তাঁকে ভালো খাবার দেওয়া হত। নিয়ম করে মুরগির মাংসের ঝোল, রুটি, সবজি এবং ফল দেওয়া হত তাঁকে। কিন্তু জেলে এসে সেই সুবিধা পাচ্ছেন না। খেতে হচ্ছে কয়েদিদের খাবারই। জানা গিয়েছে, পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের ব্যবহৃত জামাকাপড় এবং তাঁর ওষুধপত্র জেলে দিয়ে গিয়েছেন ইডির আধিকারিকরা।

পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের পাশাপাশি অর্পিতা মুখোপাধ্যায়কেও ১৪ দিনের জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছে ব্যাঙ্কশাল আদালত। তিনি রয়েছেন আলিপুর মহিলা সংশোধনাগারে। বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত অর্পিতারও রাত কেটেছে সাধারণ কয়েদিদেরই মতো। খাবারের তালিকায় থাকছে সাধারণ ডাল-ভাতই।