শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

রবিবাসরীয় মেনু থেকে উধাও মাছ-মাংস, এখন কীভাবে দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: আগস্ট ৮, ২০২২, ০২:০০ পিএম | আপডেট: আগস্ট ৮, ২০২২, ০৮:৫৬ পিএম

রবিবাসরীয় মেনু থেকে উধাও মাছ-মাংস, এখন কীভাবে দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?
রবিবাসরীয় মেনু থেকে উধাও মাছ-মাংস, এখন কীভাবে দিন কাটছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের?

শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় ইতিমধ্যেই কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা ইডি-র হাতে বন্দী। রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়। আপাতত তিনি রয়েছেন ইডি হেফাজতেই। জেলেই দিন কাটাচ্ছেন প্রাক্তন মন্ত্রী। ফলে তাঁর রোজকার রুটিনেও এসেছে বড় পরিবর্তন। বদলেছে খাবার-দাবারের তালিকাও।

বাংলার রাজনৈতিক মহলের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ এক পদে থাকার দরুন বেশ রাজকীয় ভাবেই দিন কাটাতেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। প্রতি মাসে নাকি ২.৫ লক্ষ টাকার ফল খেতেন প্রাক্তন মন্ত্রী। পাশাপাশি তাঁর খাবারের মেনুতেও দারুণ সব ব্যবস্থা। বিশেষ করে রবিবার তো রকমারি সব খাবারের  আয়োজন থাকত মন্ত্রীর জন্য।

জানা গিয়েছে, এককালে রবিবার ব্রেকফাস্টে লুচি বা পরোটা আর সাদা আলুর তরকারি মাস্ট ছিল পার্থর। আর রবিবাসরীয় দুপুরেও খাবারের মেনুতে থাকত বিশাল আয়োজন। ভাত, ডাল, একাধিক ভাজা, তরকারি ও নেতাজিনগরের এক হোটেলের মাছের মুড়ো থাকত পার্থর পাতে৷ মাছের সেই মুড়ো ভাজা বা কখনও ঝোলে দিয়ে খেতে ভালোবাসতেন তিনি। এছাড়াও রবিবারের স্পেশ্যাল মেনু হিসেবে মাঝেমধ্যেই থাকত খাসির মাংস বা মাটন।

যদিও রাজনৈতিক জগতে পা দেওয়ার পর খাবারে অনেকটাই বদল আনেন পার্থ চট্টোপাধ্যায়। তৃণমূলের বিধায়ক হওয়ার পর থেকে প্রায়ই বিভিন্ন অনুষ্ঠানে অংশ নিতে হত তাঁকে। ফলে খাবারের রুটিনেও পরিবর্তন আসে। মন্ত্রী হওয়ার পর অনেক রবিবারই দুপুরে তিনি ভাত খেতেন না। সকালে পরোটা-তরকারি খেয়ে বেহালার উদ্দেশে বেরিয়ে যেতেন। লাঞ্চে খেতেন রুটি, মাছের মুড়ো মাটন। বেহালার পার্টি অফিসে চলত খাওয়া দাওয়া। আর সন্ধ্যা হলেই আসত তেলেভাজা, সিঙ্গারা বা জিলিপি।

তবে বর্তমানে এই প্রাক্তন মন্ত্রী জেলে বন্দী। কয়েদী নম্বর ৯৪৩৭৯৯ বলে জেলে পরিচিত তিনি। এখন সব বাহারি খাবার ছাড়তে হয়েছে পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে। মাছ-মাংস সবই বাদ। এখন তাঁকে খেতে হচ্ছে জেলের খাবার। সাধারণ খাবার খেয়েই দিন কাটাতে হচ্ছে প্রাক্তন মন্ত্রীকে।