শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি! আদালত চত্বর থেকে উঠল অবস্থানকারীদের বিক্ষোভ

মৌসুমী

প্রকাশিত: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০১:৪৭ পিএম | আপডেট: জানুয়ারি ১১, ২০২৩, ০৭:৪৭ পিএম

স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি! আদালত চত্বর থেকে উঠল অবস্থানকারীদের বিক্ষোভ
স্বাভাবিকের পথে পরিস্থিতি! আদালত চত্বর থেকে উঠল অবস্থানকারীদের বিক্ষোভ

অবশেষে আদালত অবমাননার রুল জারি হওয়ার পরেই উঠে গেল আইনজীবীদের অবস্থান। বুধবার সকালে অনেকটাই স্বাভাবিক হলো কলকাতা হাইকোর্টের পরিস্থিতি। তবে অবস্থান উঠে গেলেও বেশ কিছু আইনজীবী এখনো বয়কটে অনড় রয়েছেন।

এদিন সকালে ১৩ নম্বর এজলাসে বসেন বিচারপতি রাজশেখর মান্থা। বেশকিছু মামলাও শোনেন তিনি। এরপরেই বার এসোসিয়েশনের সম্পাদক এসে জানান এজ্লাসের সামনে কোন রকম অবস্থান করা যাবে না। এমনকি গত দুদিনের যে পরিস্থিতি তৈরি হয়েছিল তার জন্য ক্ষমাও চেয়ে নেন তিনি।

প্রসঙ্গত দুদিন ধরেই বিচারপতি রাজশেখর মান থাকে এ জেলাতে প্রবেশ করতে বাধা দিয়ে বিক্ষোভ দেখাচ্ছিল আইনজীবীদের একাংশ। এরপরেই বিচার বিভাগীয় কাজে বাধা দান করা হচ্ছে এর বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ করার জন্য মঙ্গলবার লিখিত আবেদন করা হয়, প্রধান বিচারপতির প্রকাশ শ্রীবাস্তবের ডিভিশন বেঞ্চে। তারপরেই প্রধান বিচারপতি জানান বিচারের কাজে বাধা দেওয়া কোনমতেই কাঙ্খিত নয়। এরপর এই জারি করা হয় আদালত অবমাননার রুল।

প্রসঙ্গত এই বিষয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন স্বয়ং রাজ্যপাল সিভি বোস আনন্দ। তিনি দ্রুত বিচারপতির পোস্টার সরিয়ে ফেলার নির্দেশ দিয়েছেন। একই সঙ্গে পুলিশ কমিশনার ও মুখ্য সচিবকেও ডেকে পাঠিয়েছেন বলে সূত্রের খবর।

প্রসঙ্গত, সোমবার এক নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী থাকে কলকাতা হাইকোর্ট চত্বর।আইনজীবীদের হাতাহাতিতে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে আদালত এরিয়া। এদিন বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে প্ল্যাকার্ড হাতে অবস্থান বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীরা। এরপরেই সেই অবস্থান আন্দোলন পৌঁছে যায় হাতাহাতিতে। ভন্ডুল হয় বিচারপ্রক্রিয়া। গোটা বিষয় নিয়ে ক্ষোভপ্রকাশ করেছেন প্রধান বিচারপতি। বিচারপতি রাজাশেখর মান্থার এজলাসের বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আইনজীবীদের একাংশ।  এজলাসের বাইরে গেট আটকে আদালত বয়কট করার চেষ্টা করেন অবস্থানকারী আইনজীবীরা। ব্যাহত হয় বিচারপ্রক্রিয়া। বসে বিশেষ বৈঠকও। শেষে প্রায় ২ ঘণ্টা পর নিয়ন্ত্রণে আসে পরিস্থিতি।