বুধবার, ২৪ এপ্রিল, ২০২৪

‘আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা’! বিস্ফোরক দেবাংশু

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ১০:২৭ এএম | আপডেট: ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২২, ১০:৫৭ এএম

‘আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা’! বিস্ফোরক দেবাংশু
‘আরেকবার ২০১৮ হলে আরেকটা ২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা’! বিস্ফোরক দেবাংশু

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের বকেয়া ১০৮ টি পুরসভায় ভোটের বাকি আর মাত্র কয়েক দিন। এদিকে, তার আগে রাজ্যের শাসকদলের মধ্যে একাধিক বিষয়কে কেন্দ্র করে চাপা উত্তেজনা রয়েছে। আবার এই পরিস্থিতিতেই দলের কর্মীদের একাংশকে ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে সতর্কবার্তা দিলেন তৃণমূলের যুবনেতা দেবাংশু ভট্টাচার্য।  
গতকাল, বৃহস্পতিবার রাতে ফেসবুক পোস্ট করে একাধিক বিষয়ে ইঙ্গিত দিয়েছেন তৃণমূলের এই যুবনেতা। পুর ভোটের আগে দলের অন্দরের অশান্তি রাজ্য রাজনীতিতে আলোচনার বিষয় হয়ে উঠছে ক্রমশ। কখনও কখনও প্রকাশ্যে চলে আসছে দলের অভ্যন্তরের সংঘাতের চিত্র। বিগত কয়েকদিনে তা ভালোই বোঝা গিয়েছে। দেবাংশুর ফেসবুক পোস্ট সেই বিতর্কে নতুন করে ঘৃতাহুতি দিল বলেই মনে করা হচ্ছে। একদিকে যখন তৃণমূল কংগ্রেস বিনা লড়াইয়ে জয়ের আনন্দের আবির খেলায় মেতেছে, ঠিক তখনই তৃণমূলের যুবনেতা মনে করিয়ে দিলেন যে, ‘২০১৯ কিন্তু সময়ের অপেক্ষা’। এখানেই শেষ নয়, তিনি কেন্দ্রীয় বাহিনীর দাবিও জানিয়েছেন। যা দল বিরোধী বলেই দাবি করছে রাজনৈতিক মহল। 

বৃহস্পতিবার সোশ্যাল মিডিয়ায় করা দেবাংশুর পোস্ট ঘিরে চর্চা শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলে। সেখানে তিনি লিখেছেন, ‘প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক।’ উল্লেখ্য কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট করানোর দাবি বারবার জানাচ্ছেন বিরোধীরা। এই দাবি নিয়ে হাইকোর্টেরও দ্বারস্থ হয়েছেন তাঁরা। কিন্তু এরই মধ্যে শাসকদলের একজন অন্যতম মুখ হয়ে, দেবাংশু কীভাবে সেই একই দাবি তুললেন, তা নিয়েই প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে।  উক্ত ফেসবুক পোস্টে দেবাংশু এও জানিয়েছেন যে, দলের মুখে কোনোভাবেই কালি লাগতে দেবেন না। 

উল্লেখ্য, রাজ্যের শাসকদলের যুব নেতৃত্বের অন্যতম প্রধান এবং জনপ্রিয় মুখ দেবাংশু ভট্টাচার্য। শুধু তাই নয়, তিনি দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের খুব কাছের। রাজ্যে তো বটেই, দেবাংশুর মতো তরুণ প্রজন্মের এক দক্ষ নেতাকে ত্রিপুরায় সংগঠনের গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বও দিয়েছে দল। যে দায়িত্ব বেশ ভালভাবেই পালন করছেন দেবাংশু। তাই তাঁর এহেন পোস্টে স্বাভাবিকভাবেই হইচই পরে গিয়েছে।  

বৃহস্পতিবারের ফেসবুক পোস্টে দেবাংশুর লিখেছেন, “ব্যক্তিগত স্বার্থে কিছু মানুষ ভোটে অশান্তি করেন। তাই লোকাল বডির ভোট গুলোতে অশান্তি বেশি হয়। পুলিশকে ১০০% “ফ্রি হ্যান্ড” দিতে হবে। প্রয়োজনে বিধানসভার দ্বিগুণ সংখ্যক কেন্দ্রীয় বাহিনী দিয়ে ভোট হোক…আরেকবার “২০১৮” হলে আরেকটা “২০১৯” কিন্তু সময়ের অপেক্ষা.. বারবার সবটা “২০২১” এর মতন হবে না। আর হাত জোড়া করে বাড়ি বাড়ি ঘুরলেও কিন্তু মানুষ ক্ষমা করবেন না। যারা অশান্তি করেন, ভবিষ্যতে তারা অনায়াসে ক্ষমতাসীন দলের সঙ্গে সেটিং করে নিতে পারবেন। তখন মার খেতে হবে কর্মীদের.. মরতে হবে সাধারণ সদস্যদের। কিছু স্বার্থান্বেষী বদমায়েশের জন্য দলের মুখে কালি লাগতে দেবেন না, একজন অতি সাধারণ কর্মী হিসেবে অনুরোধ রইল।”

ঠিক কাকে উদ্দেশ্য করে দেবাংশু এত কিছু বললেন, তা নিয়েই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে জোর চর্চা।  বিশেষত পোস্টের শেষের অংশ বেশ তাৎপর্যপূর্ণ। সবমিলিয়ে দেবাংশুর এই পোস্ট ঘিরে একাধিক প্রশ্ন উঠছে ইতিমধ্যেই।