বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

রাজ্যপাল নন, এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রস্তাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২, ০৫:০৮ পিএম | আপডেট: মে ২৬, ২০২২, ১১:১২ পিএম

রাজ্যপাল নন, এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রস্তাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার
রাজ্যপাল নন, এবার রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী! প্রস্তাবে অনুমোদন মন্ত্রিসভার

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ে এতদিন আচার্য পদ সামলে এসেছেন রাজ্যপাল স্বয়ং। তবে এবার থেকে রাজ্যপাল নন, আচার্য পদে বসাতে হবে মুখ্যমন্ত্রীকে। সকলের সম্মতি নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে এমনটাই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। রাজ্য শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানিয়েছেন, এই প্রস্তাব কার্যকরী করতে আইনসভার পক্ষ থেকে খুব শীঘ্রই আইনি প্রক্রিয়া শুরু হবে। সংশোধিত আইন কার্যকর হলে রাজ্যের প্রত্যেকটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে জগদীপ ধনখড়ের পরিবর্তে বসবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

বৃহস্পতিবার মন্ত্রিসভার বৈঠকে ব্রাত্য বসু বলেন, বর্তমানে রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য রাজ্যপাল। তবে দ্রুত এই সংক্রান্ত আইন পরিবর্তিত হবে। রাজ্যপালের পরিবর্তে আচার্য হবেন মুখ্যমন্ত্রী। দ্রুত শুরু হবে আইনি প্রক্রিয়া। মন্ত্রিসভায় সর্বসম্মতিক্রমে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করতে চেয়ে বিধানসভায় বিল আনবে সরকার।

প্রসঙ্গত রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত নতুন কিছু নয়। বিভিন্ন ক্ষেত্রে রাজ্যের সঙ্গে রাজ্যপালের সংঘাতের নজির রয়েছে। শিক্ষাক্ষেত্রেও এক একসময় তা চরম আকার ধারণ করেছে। উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্যের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল। এমনকি এও দেখা গিয়েছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যদের সঙ্গে রাজ্যপাল বৈঠক করতে চাইলেও সেই বৈঠকে যোগ দেননি উপাচার্যরা। ফলস্বরূপ একাধিকবার রাজ্যপালের ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দেখা গিয়েছে। সম্প্রতি রাজ্যপালের সঙ্গে কথা বলতে রাজভবনে গিয়েছিলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর সঙ্গে ছিলেন শিক্ষাসচিব মনীশ জৈনও।

এই পরিস্থিতিতে সরকারের অন্দরে বহুদিন থেকেই আচার্য পদ থেকে রাজ্যপালকে সরানোর চিন্তাভাবনা শুরু হয়েছে। এমনকি ২০০৭ সালে বিচারপতি মদনমোহন পুঞ্চির নেতৃত্বে তৈরি ‘পুঞ্চি কমিশন’-এর ২৭৩ টি সুপারিশের মধ্যে একটি ছিল রাজ্যপালের স্থানে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানো। সেই সুপারিশক্রমে রাজ্য সরকার এই সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করল। আগে থেকেই বোঝা গিয়েছিল, বৃহস্পতিবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে গুরুত্বপূর্ণ সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে। অবশেষে সেই বিষয়ে ঘোষণা করলেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু।

এই প্রসঙ্গে উল্লেখ্য, দক্ষিণ ভারতের বেশ কয়েকটি রাজ্যে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর আইনি সংশোধন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে গিয়েছে। তামিলনাড়ু ও কেরলে ইতিমধ্যেই এই সিদ্ধান্তের পক্ষে রয়েছে সরকার। দেশের কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্যপদ সামলান প্রধানমন্ত্রীই। রাজ্যের ক্ষেত্রে সেই দায়িত্ব থাকে রাজ্যপালের ওপর। তবে এই নিয়ম খুব শীঘ্রই বদলাতে চলেছে তামিলনাড়ু ও কেরলে‌। এই দুই রাজ্যের পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গও এবার একই পথে হাঁটল।