শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

আর রাজ্যপাল নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে এবার মুখ্যমন্ত্রী! সিদ্ধন্তে সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভার

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ৬, ২০২২, ০৪:৩৫ পিএম | আপডেট: জুন ৬, ২০২২, ১০:৪৮ পিএম

আর রাজ্যপাল নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে এবার মুখ্যমন্ত্রী! সিদ্ধন্তে সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভার
আর রাজ্যপাল নন, বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে এবার মুখ্যমন্ত্রী! সিদ্ধন্তে সিলমোহর রাজ্য মন্ত্রিসভার

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার আর রাজ্যপাল নন, এখন থেকে রাজ্যের সব সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদে থাকবেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আচার্য পদে রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রক্রিয়ায় আরও একধাপ এগিয়ে গেল রাজ্য সরকার। সোমবার রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে পাশ হয়ে গেল এই প্রস্তাব। পাশাপাশি রাজ্যের বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ভিজিটর পদে রাজ্যের উচ্চ শিক্ষামন্ত্রীকে বসানোর সিদ্ধান্তেও সিলমোহর দিল রাজ্য মন্ত্রিসভা।

জানা গিয়েছে, চলতি মাসের ১৩ জুন শুরু হচ্ছে বিধানসভার বাদল অধিবেশন। সেই অধিবেশনেই বিলটি আনা হবে। এরপরই সেই বিল রাজ্যপালের কাছে পাঠানো হবে অনুমোদনের জন্য। রাজ্যপাল উক্ত বিলে সই করলেই, বিলটি আইনে পরিণত হবে। আরও খবর, শুধুমাত্র রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলিই নয়, জানা গিয়েছে, রাজ্যের সমস্ত সরকারি শিক্ষা, স্বাস্থ্য,পশু, কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়গুলোরও আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসানোর প্রস্তাব পাশ হয়েছে। উল্লেখ্য, এখনও সেই পদে আছেন রাজ্যপাল।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে আচার্য পদে থাকেন দেশের প্রধানমন্ত্রী। রাজ্যের ক্ষেত্রে কিন্তু দায়িত্ব থাকে রাজ্যপালের উপরে। তবে, এবার দক্ষিণের রাজ্য কেরালা ও তামিলনাড়ুর পথে হেঁটে রাজ্যের ক্ষেত্রে সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ে আচার্য পদে মুখ্যমন্ত্রীকে বসাতে চাইছে রাজ্য সরকার। তাই এই বিষয়ে নতুন বিল আনতে চলেছে রাজ্য সরকার। এদিকে, মন্ত্রিসভার এই সিদ্ধান্তের তীব্র বিরোধিতা করেছে বিজেপি। 

রাজ্যের সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের পাশাপাশি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে ভিজিটর পদ থেকেও রাজ্যপালকে সরানোর প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে। জানা গিয়েছে, এবার থেকে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির ক্ষেত্রে ভিজিটর পদে বসবেন রাজ্যর উচ্চ শিক্ষামন্ত্রী। ইতিমধ্যেই এই প্রস্তাবে সায় দিয়েছে নবান্ন।

এদিকে, রাজ্য সরকারের এই সিদ্ধান্তকে কেন্দ্র করে ফের একবার নতুন করে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত চরমে। শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু জানান, ‘কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের পুঞ্চি কমিশন ২০১০ সালে এবিষয়ে সুপারিশ করেছিল। সেই সময় বিরোধীদের পক্ষ থেকে সংসদের স্ট্যান্ডিং কমিটির চেয়ারম্যান রাজনাথ সিং এই সুপারিশ কার্যকর করতে উদ্যোগী হয়েছিলেন।’