শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদ সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীই! বিল পাস বিধানসভায়

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২, ০৬:২৪ পিএম | আপডেট: জুন ১৪, ২০২২, ১২:২৪ এএম

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদ সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীই! বিল পাস বিধানসভায়
রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্যপদ সামলাবেন মুখ্যমন্ত্রীই! বিল পাস বিধানসভায়

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যপাল নয়, মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ই সামলাবেন রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ। বিধানসভায় পাস হল রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিল। সোমবার বিধানসভায় বাদল অধিবেশন শুরু হওয়ার পরই পেশ করা হয় বিলটি। চলে ভোটাভুটি।

এই বিলের পক্ষে ১৮৩ টি ভোট পড়ে এবং বিপক্ষে পড়ে ৪০ টি ভোট। এর ফলে বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য পদের দায়িত্ব মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে আরও এক ধাপ এগোল সরকার। বিলটি আইনে পরিণত হতে কেবল প্রয়োজন রাজ্যপালের স্বাক্ষর। এক্ষেত্রে সরকার অর্ডিন্যান্স জারি করতে পারে বলেও জানা গিয়েছে।

এদিন বিধানসভায় বিরোধীরা প্রশ্ন তোলেন, মুখ্যমন্ত্রীকে কেন বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদে নিযুক্ত করা হচ্ছে? এই প্রসঙ্গে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী বলেন, ইতিমধ্যেই তাঁদের আপত্তি নথিভুক্ত করা হয়েছে। এই বিল শেষমেষ কার্যকরী হবে না। এমনকি আগামী সোমবার রাজ্যপালের কাছে যাওয়ার কথাও বলেছেন শুভেন্দু অধিকারী। বিরোধীদের প্রশ্নে পাল্টা জবাব দেন শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তাঁর বক্তব্য, বিশ্বভারতীর আচার্য যদি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী হতে পারেন তাহলে রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য পদ কেন মুখ্যমন্ত্রী সামলাতে পারবেন না? সেক্ষেত্রে রাজ্যের আপত্তি জানানো একেবারেই অবাস্তব।

বিগত কয়েকদিন ধরেই রাজ্যপালকে সরিয়ে মুখ্যমন্ত্রীকে আচার্য করার প্রস্তুতি নিচ্ছিল সরকার। গত ৬ জুন এই প্রস্তাব পাশ করা হয় মন্ত্রিসভায়। এক্ষেত্রে সমস্ত সরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলির পাশাপাশি সরকারি শিক্ষা, স্বাস্থ্য, কৃষি ও পশু বিশ্ববিদ্যালয়গুলির আচার্য হিসেবেও মুখ্যমন্ত্রীকে নিয়োগ করার প্রস্তাব পাশ হয়। এখনও পর্যন্ত আচার্য হিসেবে নিয়োজিত রয়েছেন রাজ্যপালই। বিলটি আইনে পরিণত হলে তবেই আইনতভাবে আচার্য পদের দায়িত্ব পাবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

এদিন বিধানসভায় রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয় আইন সংশোধনী বিলটি পাশ হওয়ার পর তা যাবে রাজ্যপালের কাছে কাছে। সেই বিলে রাজ্যপাল সই করবেন। এরপর এই বিলটি আইনে পরিণত হবে। অতীতে একাধিক বিল পাশের ক্ষেত্রে সই করতে অসম্মত হয়েছিলেন রাজ্যপাল। এই নিয়ে বহুবার রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে ওঠে। এক্ষেত্রে বিলটি আইনে রূপায়িত করতে রাজ্যপাল সই করেন কিনা সেটাই এখন দেখার।