বুধবার, ১৭ এপ্রিল, ২০২৪

এবার প্রাথমিক টেটে চাকরি গেল ২৬৯ জন শিক্ষকের! CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২, ০৫:২৭ পিএম | আপডেট: জুন ১৩, ২০২২, ১১:৩৩ পিএম

এবার প্রাথমিক টেটে চাকরি গেল ২৬৯ জন শিক্ষকের! CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের
এবার প্রাথমিক টেটে চাকরি গেল ২৬৯ জন শিক্ষকের! CBI তদন্তের নির্দেশ কলকাতা হাইকোর্টের / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ এবার প্রাথমিক টেটে চাকরি গেল ২৬৯ জনের। ২০১৭ সালের টেট পরীক্ষার দ্বিতীয় নিয়োগ তালিকাও বেআইনি। তার জেরে এবার নিয়োগ দুর্নীতিতে ফের সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। 

এই নিয়োগ দুর্নীতির জেরে আদালতের নির্দেশ অনুযায়ী, ২৬৯ জনের চাকরি বেআইনি বলে বাতিল ঘোষণা করা হল। আদালতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ২৬৯ জন সোমবার থেকেই স্কুলের কোনও কাজে অংশগ্রহণ করতে পারবেন। এমনকি স্কুলে ঢুকতেও পারবেন না তাঁরা। 

২০১৬ সালে প্যানেল প্রকাশ হয়েছিল। তারপর ২০১৭ সালে আরও একটি প্যানেল প্রকাশ করা হয়। ২৬৯ জনের নাম প্যানেলে নাম আসে। সোমবার হাইকোর্ট যে নির্দেশ দিয়েছে, তাতে, সিবিআইয়ের মুখোমুখি হতে হবে প্রাইমারি বোর্ডের সেক্রেটারি রত্না চক্রবর্তী বাগচী এবং সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে। আজই বিকেল সাড়ে ৫ টার মধ্যে সিবিআই-এর মুখোমুখি হওয়ার নির্দেশ দিয়েছে কলকাতা হাইকোর্টের অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সিঙ্গল বেঞ্চ। 

আদালতের পক্ষ থেকে স্পষ্ট বলা হয়েছে, তদন্তে সহযোগিতা না করলে, হেফাজতে নিতে পারবে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। অভিযোগ, রাজ্যে পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিল প্রায় ২৩ লক্ষ। তাঁদের মধ্যে মাত্র ২৬৯ জনকে ১ নম্বর বাড়িয়ে নিয়োগ করে হয়েছে। এমনকি এঁদের মধ্যে অনেকেই পরীক্ষায় পাশ না করলেও, তাঁদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে।  

আদালতের পক্ষ থেকে প্রশ্ন তোলা হয় যে, ২৩ লক্ষ পরীক্ষার্থীর মধ্যে ২৬৯ জনকে কেন নিয়োগ করা হল? এছাড়া যেখানে ফেব্রুয়ারি মাসে বোর্ড জানিয়েছিল শূন্য পদ নেই, সেখানে ২০১৭ সালের ডিসেম্বর মাসে কীভাবে নতুন পদ তৈরি হয়? সেই প্রশ্নও করেছেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এখানেই শেষ নয়, আরও একাধিক বেনিয়মের অভিযোগ উঠেছে। এদিকে, আজকের আদালতের এই রায় নিয়ে রাজ্য সরকারকে আক্রমণ করেছেন বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য। তিনি জানিয়েছেন, এটা ২৬৯ জন নয়, ২০০৬৯ জন হবে। যেখানেই নিয়োগ, সেখানেই নিয়োগ তালিকা প্রশ্ন চিহ্নের মুখে।