শুক্রবার, ২৯ মার্চ, ২০২৪

ভোটে দাঁড়াবেন না জানিয়ে সুদীর্ঘ পোস্ট কুণাল ঘোষের

০৯:০০ এএম, ফেব্রুয়ারি ১৪, ২০২১

ভোটে দাঁড়াবেন না জানিয়ে সুদীর্ঘ পোস্ট কুণাল ঘোষের
রবীরঞ্জন চট্টোপাধ্যায়, পরেশ পাল— দল না ছেড়ে একের পর এক তৃণমূল বিধায়ক জানাচ্ছেন ভোটে প্রার্থী হতে চান না। দলনেত্রীকেও তাঁরা জানিয়েছেন এ কথা। এ নিয়ে কৌতূহল নানা মহলে। এবার ওই তালিকায় যুক্ত হল দলের প্রাক্তন সাংসদ তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষের নাম। শনিবার দুপুরে সুদীর্ঘ একটি ফেসবুক পোস্টে তিনি আসন্ন বিধানসভা নির্বাচনে তাঁর ভোটে না দাঁড়ানোর ইচ্ছে প্রকাশ করলেন। জানালেন, শাসকদল তৃণমূলের একজন 'পুরনো সৈনিক' হিসেবে তিনি শুধু প্রচারে অংশ নিয়েছেন মাত্র। ভবিষ্যতেও একজন 'সাধারণ কর্মী ও প্রচারক' হিসেবেই থাকতে চান। শনিবার সকালে কুণাল ঘোষের ফেসবুক পোস্ট সামনে আসতেই রাজনৈতিক মহলে চাপানউতোর শুরু হয়ে গিয়েছে। সিদ্ধান্তের সঠিক কারণের উল্লেখ না করলেও ক্ষোভের কথা স্বীকার করেছেন। লিখেছেন, আমার ক্ষোভ, অভিমান আছে। প্রতিবাদ আছে। সেটা আমি দলের এবং মমতাদির সঙ্গে বুঝে নেব ভোটের পর, যখন দিদি আবার তৃতীয়বারের জন্য মুখ্যমন্ত্রী হয়ে আসবেন। তার আগে পর্যন্ত আমি দলের সৈনিক হিসেবে শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে কর্তব্য পালন করব। প্রমাণ রাখতে চাই আমি বেইমান, সুবিধাবাদীর তালিকায় পড়ি না। ভোট এলেই দরাদরির রক্ত আমার শরীরে নেই। আমার বাড়িতে কে কে এসেছিলেন বা সংসদে সেন্ট্রাল হলে কে এসে কী বলেছিলেন, সেটা আমার ঘনিষ্ঠ সহকর্মীরাও সাক্ষী। তাঁদেরও আমি ধন্যবাদ জানাই। ব্যক্তিগত সম্পর্ক রাখলেও আমি স্পষ্ট বলেছিলাম, তৃণমূল ছাড়ব না। এখনও তাঁরা আমার উপর আস্থা রেখে আছেন,বুঝি"। কুণাল ঘোষ লিখেছেন, "কিছু কৌতূহল কানে গেছে। সেসব বাড়তে না দিয়ে বলে রাখি- আমি তৃণমূল কংগ্রেসের মঞ্চে প্রচার করছি সম্পূর্ণ নিজের মন থেকে। পুরনো দিনের একজন সৈনিক হিসেবে। আমি চাই সব ষড়যন্ত্রকে পরাজিত করে তৃণমূল জিতুক। আমি সাধারণ কর্মী এবং প্রচারক হিসেবেই থাকব। কোনো বিধানসভা, রাজ্যসভার প্রার্থীপদে আমার আগ্রহ নেই। এই জল্পনা থেকে আমাকে বাদ রাখাই ভালো। নিদেনপক্ষে প্রশাসনিক কোনো কমিটিতেও আমার আগ্রহ ছিল না। আমি এই নির্বাচনটা প্রাণপাত পরিশ্রম করে দেখিয়ে দিতে চাই কুণাল ঘোষ আগেও কঠিন সময়ে ছিল, আজও ধর্মযুদ্ধে দলের মঞ্চে আছে। আমি বিশ্বাসঘাতক নই"। কিন্তু হঠাৎ করেই তৃণমূল মুখপাত্রের এহেন পোষ্টে জল্পনা ছড়িয়েছে রাজনইতিক মহলে।