শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

মুখ্যসচিবের পদ ছেড়ে তড়িঘড়ি আলাপনকে দিল্লিতে তলব কেন্দ্রের

১০:৫৮ পিএম, মে ২৮, ২০২১

মুখ্যসচিবের পদ ছেড়ে তড়িঘড়ি আলাপনকে দিল্লিতে তলব কেন্দ্রের

আলাপন বন্দোপাধ্যায়কে ছেড়ে দেওয়ার জন্য নির্দেশ দিল কেন্দ্রীয় মন্ত্রক। রাজ্যকে নির্দেশ পাঠিয়ে চিঠি দিল কেন্দ্রের কর্মীবর্গ। সোমবার রাজ্যের মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিল্লির নর্থ ব্লকে রিপোর্ট করার নির্দেশ দিয়ে শুক্রবার রাত ৯টা নাগাদ চিঠি দিল কেন্দ্র।

গত ২৪ মে-ই তাঁর চাকরির মেয়াদ ৩ মাসের জন্য বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল। খোদ কেন্দ্রীয় সরকারের এই সিলমোহরের কথা সাংবাদিক বৈঠক করে জানিয়েছিলেন মমতা। কিন্তু, তার এক সপ্তাহের মধ্যেই এই নির্দেশ এল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। যত দ্রুত সম্ভব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের রিলিজ লেটার দিতে বলা হয়েছে রাজ্যকে।

শুক্রবার রাতের এই চিঠিতে আন্ডার সেক্রেটারি অংশুমান মিশ্র জানান, ১৯৫৪ সালের ভারতের অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিস রুল অনুযায়ী পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। ১৯৮৭ সালের ব্যাচের আইএএস অফিসার আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়কে সোমবার সকাল ১০ টার মধ্যে দিল্লিতে নর্থ ব্লকের রিপোর্ট করতে হবে। অর্থাৎ রাজ্যের মুখ্যসচিবের পদ এবার ছাড়তে হবে আলাপন বাবুকে।

পাশাপাশি ওই চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ক্যাবিনেট কমিটি অফ অ্যাপয়েন্টমেন্টের তরফে আলাপন বাবুর কর্মস্থল পরিবর্তনের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত, বর্তমান পরিস্থিতিতে রাজ্যের যেভাবে করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি পাচ্ছে তাতে একজন দক্ষ আমলাকে রাজ্যের খুব প্রয়োজন এই আবেদন করে আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর মেয়াদ বাড়ানোর জন্য কেন্দ্র কে চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এরপরে রাজ্যের সেই আবেদনে মান্যতা দিয়ে ৩১ আগস্ট পর্যন্ত আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়ের মুখ্যসচিব পদের মেয়াদ বাড়িয়ে ছিল কেন্দ্র। কিন্তু দিল্লীর এই পদক্ষেপে যে ফের একবার চওড়া হলো রাজ্য কেন্দ্রের সংঘাত তা বলার অপেক্ষা রাখেনা।

এদিকে তাৎপর্যপূর্ণভাবে আজ ইয়াসের জেরে ক্ষতিগ্রস্ত স্থান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী পর্যালোচনা বৈঠকের একটি পাওয়ার পয়েন্ট প্রেজেন্টেশন দেওয়ার কথা ছিল মুখ্যসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় এর। কিন্তু এই বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় উপস্থিত থাকবেন না বলে আগেই জানিয়েছিলেন। সেই পথ অনুসরণ করে মুখ্যসচিব এই দিনের বৈঠকে গরহাজির ছিলেন। তাই রাজনৈতিক মহলের একাংশের মতে মুখ্যসচিবের এহেন আচরণ দিল্লির তরফের এই কড়া চিঠির অন্যতম কারণ হতে পারে।