শনিবার, ২০ এপ্রিল, ২০২৪

শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের ডাক বামপন্থীদের

০৯:৫৫ পিএম, ফেব্রুয়ারি ১১, ২০২১

শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের ডাক বামপন্থীদের
নবান্ন অভিযানে পুলিশি অত্যাচারের অভিযোগ। প্রতিবাদে শুক্রবার ১২ ঘণ্টা বাংলা বন্‌ধের ডাক বামপন্থীদের। রাজ্যের সর্বত্র ধিক্কার দিবস পালিত হবে। বামেদের এই প্রতিবাদ কর্মসূচিকে সমর্থন জানাল কংগ্রেসও। সাধারণ মানুষকে বন্‌ধ সফল করার জন্য আহ্বান জানানো হয়েছে। এদিন সিপিএম নেতা মহম্মদ সেলিম এক সাংবাদিক সম্মেলনে আন্দোলনকারী পড়ুয়াদের উপর পুলিশি নির্যাতনের সমালোচনা করেন। বিকেলে বাম ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে বিমান বসু এক বিবৃতিতে বলেন, "আজকে বামপন্থী ছাত্রযুব সংগঠনগুলি এবং জাতীয় কংগ্রেসের ছাত্রযুব সংগঠনের পক্ষ থেকে শিক্ষার উন্নয়ন ও কাজের দাবিতে যে নবান্ন অভিযানের কর্মসূচী ছিল তাকে চারিদিক থেকে ঘিরে খানিকটা জালিয়ানওয়ালাবাগের মতো অবস্থা তৈরি করে তৃণমূল সরকারের পুলিশবাহিনী যে নির্মম অত্যাচার নামিয়ে এনেছে তাতে দেড়শোর বেশি ছাত্রছাত্রী ও যুবকযুবতী আহত হয়েছেন। অনেকের আঘাত গুরুতর। ইতিপূর্বে মাদ্রাসা শিক্ষক, পার্শ্বশিক্ষক, মহিলাদের শান্তিপূর্ণ অবস্থানের ওপরেও রাজ্যের পুলিশ অত্যাচার করেছে। এই ঘটনার প্রতিবাদে রাজ্য বামফ্রন্ট ও বাম সহযোগী দলসমূহের পক্ষ থেকে শুক্রবার সকাল ৬টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত ১২ ঘন্টার রাজ্যব্যাপী হরতাল ধর্মঘটের আহ্বান জানানো হয়েছে। বাম ও বাম সহযোগী দলসমূহ এবং জাতীয় কংগ্রেসের সঙ্গে এব্যপারে আলোচনা হয়েছে। আগামীকালের হরতাল ধর্মঘটের পক্ষে সর্বত্র প্রচার করার আবেদন করা হচ্ছে। অন্যদিকে, শুক্রবার বাম-কংগ্রেসের ডাকা ১২ ঘন্টার বনধের প্রেক্ষিতে কড়া ব্যবস্থা নিচ্ছে রাজ্য প্রশাসন। বৃহস্পতিবার রাতে নবান্ন থেকে বিজ্ঞপ্তি জারি করে বলা হয়, কাল সরকারি এবং সরকার-পোষিত সব সংস্থা খোলা রাখতে হবে। সেই সঙ্গে ওই সব প্রতিষ্ঠানের সব কর্মীকে অফিসে যাওয়ার নির্দেশ দিল নবান্ন। নির্দেশিকায় জানানো হয়েছে, কাল পুরো দিন বা অর্ধদিবস গড়হাজির থাকলে ক্যাজুয়েল লিভ হিসাবে তা নেওয়া যাবে না। কেবল গুরুতর অসুস্থ, পরিবারের কারও মৃত্যু এবং প্রসবকালীন ছুটি নেওয়া কর্মীদের এই নির্দেশিকায় ছাড় দেওয়া হবে।