বৃহস্পতিবার, ২৫ এপ্রিল, ২০২৪

বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কে ইতি, অবশেষে চোখের জলে বিদায় জানালেন মেসি!

০৫:৪৫ পিএম, আগস্ট ৮, ২০২১

বার্সেলোনার সঙ্গে ২১ বছরের সম্পর্কে ইতি, অবশেষে চোখের জলে বিদায় জানালেন মেসি!

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দীর্ঘ ২১ বছরের সম্পর্ক বার্সেলোনার সঙ্গে ফুটবল তারকা লিওনেল মেসির। আজ সেই দীর্ঘ সম্পর্কে ছেদ পড়ল। অবশেষে বার্সার সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন হল। অবশেষে বিদায় জানালেন মেসি।

রবিবার আনুষ্ঠানিকভাবে ক্লাব ছাড়লেন তিনি। যে ক্লাবে ছোট থেকে বড় হয়ে উঠেছেন, তাকে বিদায় জানানোর সময় ঠিক কী বলবেন তা শোনার জন্য অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছিলেন ক্লাব সদস্য, সতীর্থ থেকে শুরু করে মেসির অসংখ্য ভক্ত। ছ’বার ব্যালন ডি’অর জয়ী মেসি কিছু বলার আগেই আবেগপ্রবণ হয়ে পড়েন, কেঁদেও ফেলেন তিনি। রুমাল বের করে চোখ মুছতে মুছতেই নিজের বক্তব্য রাখলেন। ছোট শিশুর মতো তাঁর কান্নাই যেন প্রমাণ দিচ্ছিল যে, বার্সার জার্সি ছাড়তে তিনি ঠিক কতখানি কষ্ট পেয়েছেন।

আজ একটি সাংবাদিক বৈঠক করে নিজের সিদ্ধান্তের কথা ঘোষণা করলেন লিওনেল মেসি। এই ঘোষণা করার সময় তিনি কেঁদে ফেলেন। সেই সঙ্গে এদিন তিনি প্যারিস সেন্ট জার্মেইনে যোগ দেওয়ারও ইঙ্গিত দিলেন। আজ সাংবাদিক বৈঠকে মেসি বলেন যে, ‘এই সিদ্ধান্তটা যথেষ্ট কঠিন ছিল আমার জন্য। এর জন্য আমি প্রস্তুত ছিলাম না। গত বছর আমি দল ছাড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম, কিন্তু এই মরশুমে আমি এবং আমার পরিবার চেয়েছিলাম এখানেই থেকে যেতে।’

তিনি জানিয়েছেন, ‘আজ আমি বিদায় নিচ্ছি। মাত্র ১৩ বছর বয়সে আমি এখানে এসেছিলাম। তারপর ২১ বছর কাটিয়েছি। অবশেষে স্ত্রী এবং তিন সন্তানকে নিয়ে ক্লাব ছাড়ছি।’ এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘আমি এই শহরে এতদিন ছিলাম। এটাই আমার ঘরবাড়ি হয়ে গিয়েছিল। এই সবকিছুর জন্য আমি চির কৃতজ্ঞ, আমার সতীর্থ এবং আমার পাশে থাকা প্রত্যেককে আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই।’

https://twitter.com/FCBarcelona/status/1424318142063460354

এর সঙ্গে তিনি যোগ করেন, ‘বার্সায় যোগদানের প্রথম দিন থেকে আমি নিজের সবকিছু এই ক্লাবের জন্য উজার করে দিয়েছি। কখনও ভাবিনি যে ক্লাবকে এভাবে বিদায় জানাতে হবে। কারণ এই বিষয়টা নিয়ে আমি কখনও চিন্তাই করিনি। বার্সায় থেকে যাওয়ার জন্য আমি আপ্রাণ চেষ্টা করেছিলাম। কিন্তু, লা লিগার কারণে ক্লাব আমাকে রাখতে পারল না। গত কয়েকদিন ধরে আমাকে নিয়ে অনেক কথাই বলা হচ্ছে। কিন্তু, আমার দিক থেকে যতটা সম্ভব ছিল, করতে পেরেছি। কারণ আমি এই ক্লাবেই থেকে যেতে চেয়েছিলাম। গত মরশুমে আমি থাকতে চাইনি, সেটা স্পষ্ট বলেওছিলাম। এবছর আমি থাকতে চেয়েছিলাম, কিন্তু শেষপর্যন্ত পারলাম না।’

উল্লেখ্য, আর্জেন্টিনার রোজারিওতে জন্মানো মেসির শৈশবে পায়ের সমস্যার জন্য বছরের পর বছর ভুগতে হয়েছে। মাত্র ১১ বছর বয়সে গ্রোথ হরমোন ডেফিসিয়েন্সি ধরা পড়ে। এই জটিল রোগে হরমোনের প্রভাবে শরীরের স্বাভাবিক বৃদ্ধি থেমে যায়। রাতের পর রাত পায়ের মধ্যে সূঁচ ফুটিয়ে চিকিৎসা চলতো। তিন বছর এভাবে চলেছিল। দীর্ঘ চিকিৎসার পর, ছোট্ট মেসি সেরে ওঠেন। আর এরপর তাঁর বাঁ-পায়ের জাদুই তাঁকে গোটা পৃথিবীর কাছে পরিচিত করে তোলে। বাঁ-পায়ের জাদুকরকে গোটা পৃথিবী চিনল লিওনেল মেসি নামেই। সৌজন্যে স্প্যানিশ ক্লাব বার্সেলোনা। সেই বার্সাই ছেড়ে দিলেন মেসি।