শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল, ২০২৪

প্রবল দাবদাহে শিশুদের সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন কী কী করণীয়

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৩:৫০ পিএম | আপডেট: এপ্রিল ২৮, ২০২২, ০৯:৫০ পিএম

প্রবল দাবদাহে শিশুদের সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন কী কী করণীয়
প্রবল দাবদাহে শিশুদের সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? জেনে নিন কী কী করণীয় / প্রতীকী ছবি

রাজ্যে ক্রমশই চড়ছে তাপমাত্রার পারদ। একাধিক জেলার তাপমাত্রা পৌঁছে গিয়েছে ৪০ ডিগ্রিতে বা তারও বেশি! আবহাওয়া দপ্তরের তরফে ইতিমধ্যেই তীব্র তাপপ্রবাহের সতর্কতা জারি করা হয়েছে। কাঠফাটা রোদে বাইরে বেরোনোই এখন দায়!

প্রবল দাবদাহে ইতিমধ্যেই অসুস্থ হয়ে পড়ছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা। এমনকি গরমের দাপটে একজন স্কুলপড়ুয়া প্রাণ হারিয়েছে বলেও শোনা গিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে বাড়ির শিশুকে সুরক্ষিত রাখবেন কীভাবে? কী কী করণীয় এক্ষেত্রে? জানালেন বিশেষজ্ঞরা।

বিশেষজ্ঞদের মতে, গরমের হাত থেকে শিশুদের সুরক্ষিত রাখার জন্য কয়েকটি বিশেষ পদক্ষেপ নিতে হবে। তার মধ্যে অন্যতম হচ্ছে খুব প্রয়োজন না পড়লে বেলা ১১টা থেকে বিকেল ৪টে পর্যন্ত বাচ্চাদের কোনওভাবেই বাড়ির বাইরে বেরোতে দেওয়া যাবে না। যদি কোনও কারণে বেরোতেই হয় তাহলে যেন চোখে থাকে সানগ্লাস, মাথায় থাকে টুপি। মুখে মাস্ক ব্যবহার করলে বারবার ভিজে রুমাল দিয়ে মুখ মুছতে হবে।

এছাড়া বাচ্চাদের সুতির হালকা পোশাক পরানো আবশ্যক। রোদে বেরোলে বাচ্চাদের সানস্ক্রিন ব্যবহার করতে হবে৷ রোদ থেকে ঘরে আসা মাত্রই বাচ্চারা যাতে ঠাণ্ডা জল না খায় সেদিকেও নজর রাখতে হবে। তেমনই রোদ থেকে বেরিয়ে এসেই এসি-তে ঢোকাও উচিৎ নয়৷

পাশাপাশি গরমের হাত থেকে বাঁচার জন্য চিকিৎসকরা পরামর্শ দিচ্ছেন, বাচ্চাদের ঘন ঘন জল খাওয়াতে হবে। নুন চিনির শরবত বা তা নাহলে ওআরএস খাওয়ানো যেতে পারে। এতে শরীরে সোডিয়াম পটাশিয়ামের ভারসাম্য বজায় থাকবে। এছাড়াও শিশুর খাদ্যতালিকায় প্রচুর পরিমাণে মরশুমি ফল যেন থাকে। বিশেষ করে শসা, তরমুজ, পেঁপে অর্থাৎ ফলে জলের ভাগ বেশি থাকে সেই ফলগুলি দিতে হবে বাচ্চাদের। তবে বাইরের কাটা ফল কিন্তু নৈব নৈব চ!

এছাড়াও এই গরমে শিশুর পাতে টক দই থাকলে ভালো। হালকা, সাধারণ, ঘরোয়া খাবার খাওয়াতে হবে শিশুকে। জাঙ্ক ফুড, তেল, মশলা জাতীয় খাবার যতটা সম্ভব এড়িয়ে যাওয়া যায়, ততই ভালো। পাশাপাশি চিকিৎসা বারবার সতর্ক করেছেন, রাস্তায় বেরিয়ে শিশুরা যাতে কোনওভাবে কনকনে ঠাণ্ডা জল বা কোল্ড ড্রিংস বা রাস্তায় কাটা ফলের জুস যেন না খায়। শিশুদের পাশাপাশি বড়দেরও এই সকল সতর্কতা মেনে চলার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।