বৃহস্পতিবার, ২৮ মার্চ, ২০২৪

‘অক্সিজেনের অভাব, রোগী সরিয়ে নিন’, ভুয়ো নোটিশ দেওয়ায় এফআইআর দায়ের লখনউয়ের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

০১:০৮ পিএম, মে ৭, ২০২১

‘অক্সিজেনের অভাব, রোগী সরিয়ে নিন’, ভুয়ো নোটিশ দেওয়ায় এফআইআর দায়ের লখনউয়ের হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে

বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেশ করোনার দ্বিতীয় ঢেউয়ে বিপর্যস্ত। প্রতিদিন ঝড়ের গতিতে বাড়ছে সংক্রমণ। পাল্লা দিয়ে বাড়ছে মৃত্যুর সংখ্যা। প্রতিদিন সংক্রমণ এবং মৃত্যুর নয়া রেকর্ড সৃষ্টি হচ্ছে। সক্রিয় রোগীর সংখ্যা বাড়তে থাকায়, হাসপাতালে বেডের অভাব দেখা দিয়েছে। এর পাশাপাশি দেশব্যাপী অক্সিজেনের অভাব, ওষুধের অভাব তো রয়েইছে। অক্সিজেনের অভাবে প্রতিদিন বহু করোনা আক্রান্তের মৃত্যু হচ্ছে। আবার এর মধ্যেই শুরু হয়েছে অক্সিজেন এবং ওষুধের কালোবাজারি।

দেশের এই জটিল পরিস্থিতিতে বাড়তি মুনাফা লাভের লোভে, অক্সিজেনের অভাব রয়েছে, তাই রোগী সরিয়ে নেওয়ার মিথ্যে নোটিশ দিয়ে, এবার লখনউয়ের এক বেসরকারি হাসপাতাল আইনি সমস্যায় জড়াল। হাসপাতালের বিরুদ্ধে দায়ের হয়েছে এফআইআর। লখনউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে অভিযোগ করা হয়েছে যে, পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন থাকা সত্ত্বেও অক্সিজেনের অভাব দেখিয়ে, ‘আতঙ্কের পরিবেশ’ তৈরি করেছিল উক্ত হাসপাতালটি।

লখনউ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এও জানানো হয়েছে যে, ওই বেসরকারি হাসপাতালটির নাম সান হসপিটাল। এই বেসরকারি হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমাণ অক্সিজেন মজুত ছিল। ওই হাসপাতাল গোপনে অক্সিজেন মজুত করার চেষ্টা করছিল বলেও অভিযোগ করা হয়েছে প্রশাসনের পক্ষ থেকে। স্থানীয় থানায় ওই হাসপাতালের ডিরেক্টরের বিরুদ্ধে একাধিক ধারায় অভিযোগ দায়ের করার পাশাপাশি পুলিশ তাঁকে গ্রেফতারও করেছে।

জানা গিয়েছে যে, চলতি মাসের ৩ তারিখ সান হাসপাতালের পক্ষ থেকে সোশ্যাল মিডিয়ায় একটি নোটিশ দেওয়া হয়। সেখানে বলা হয় যে, হাসপাতালে অক্সিজেনের অভাব রয়েছে। তাই রোগীর পরিজনেদের উদ্দেশে বলা হয়, তাঁরা যেন, তাঁদের রোগীদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যান। এই নোটিশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের তরফে উদিত সিংহল নামে একজনের সাক্ষরও ছিল। উক্ত নোটিশে আরও উল্লেখ করা হয়েছিল যে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ এবং কেন্দ্রীয় সরকারকে বারবার অক্সিজেনের জন্য অনুরোধ করেও পর্যাপ্ত অক্সিজেন পাওয়া যাচ্ছে না।

এই নোটিশের খবর পেয়ে, এবং তা দেখার পর লখনউ শহরে প্রশাসনের তরফে একটি দল পাঠানো হয় ওই হাসপাতালে, পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে। তাঁরা দেখেন হাসপাতালটিতে সেই মুহূর্তে ২৫ জন করোনা রোগী ভর্তি রয়েছেন। যাঁদের মধ্যে ২০ জনের অক্সিজেন সাপোর্ট প্রয়োজন ছিল। আর এই রোগীদের জন্য যে পরিমাণ অক্সিজেন প্রয়োজন ছিল, তা হাসপাতালে সেই মুহূর্তে মজুত ছিল। তাও কেন অক্সিজেন না থাকার নোটিশ জারি করা হল, তার কোনও সদুত্তর দিতে পারেনি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। এর পরই পুলিশে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের হয়।