"আমি রতন টাটা বলছি, তোমার চিঠি পেয়েছি, একবার দেখা করতে পারি?", মাত্র একটা ফোন কল। আর এই ফোনেই বদলে গেল পুণে নিবাসী এক স্টার্টআপ সংস্থার দুই কর্ণধারের ভাগ্য! ওই তরুণ-তরুণীর স্বপ্ন পূরণের কাণ্ডারী হয়ে উঠলেন খোদ রতন টাটা (Ratan Tata)। শুনতে অবিশ্বাস্য লাগলেও এ ঘোর বাস্তব!
দেশের অন্যতম শিল্পপতি রতন টাটার হাত ধরে যে স্টার্টআপটি সাফল্যের উচ্চতায় পৌঁছেছে সেটির নাম রেপোজ এনার্জি (Repos Energy)। পুনে-ভিত্তিক এই স্টার্টআপটি সম্প্রতি ‘মোবাইল ইলেকট্রিক চার্জিং ভেহিক্ল’ চালু করেছে। এই স্টার্টআপের প্রতিষ্ঠাতা অদিতি ভোঁসলে ওয়ালুঞ্জ এবং চেতন ওয়ালুঞ্জ জানিয়েছেন কীভাবে তাঁদের ভাগ্য বদলে দিয়েছিল মাত্র একটা ফোনকল।
চেতন ও অদিতি জানিয়েছেন, তাঁদের স্বপ্ন ছিল রতন টাটা তাঁদের ব্যবসায় ডিরেক্টর হিসেবে থাকবেন। দেশের অন্যতম বড় শিল্পপতি রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছে ছিল তাঁদের। আর অবশেষে সেই স্বপ্নই সত্যি হল৷ একটা ফোন কলেই বদলে গেল স্টার্টআপটির ভবিষ্যৎ। রতন টাটা তাঁদের সঙ্গে সাক্ষাৎ তো করলেনই সঙ্গে সংস্থায় মোটা অঙ্কের বিনিয়োগও করেন।
গোটা ঘটনাটি নিজের Linkdin অ্যাকাউন্টে শেয়ার করেন অদিতি। তিনি লিখেছেন, তিনি এবং চেতন যখন স্টার্টআপ শুরু করেন, রতন টাটাকে মেন্টর হিসেবে পাওয়ার ইচ্ছা ছিল। সবাই তখন বলেছিল, এটা অসম্ভব। কিন্তু স্টার্টআপ থেমে থাকেনি। সংস্থার কাজ ধীরে ধীরে এগোচ্ছিল। এরমধ্যেি রতন টাটার সঙ্গে দেখা করার ইচ্ছা থেকে তাঁরা শিল্পপতিকে চিঠি লেখেন। কিন্তু তাতে উত্তর পাননি। তখন রতন টাটার সঙ্গে দেখা করতে তাঁর বাড়িতে পৌঁছান অদিতি ও চেতন। বাড়ির বাইরে দুজনে প্রায় ১২ ঘন্টা অপেক্ষাও করেন। যদিও তখন তাঁরা শিল্পপতির দেখা পাননি।
তবে হোটেলে ফিরেই চমকে যান দুই কর্ণধার। হোটেলে একটি ফোন আসে অদিতির কাছে। ফোনের ওপ্রান্ত থেকে বলা হয়, "আমি রতন টাটা বলছি, তোমার চিঠি পেয়েছি, একবার দেখা করতে পারি?" তারপর ঠিক তার পরের দিনই ফের রতন টাটার বাড়িতে পৌঁছান অদিতি এবং চেতন। টাটার সঙ্গে সাক্ষাতও করেন। প্রায় তিন ঘণ্টা ধরে চলে মিটিং। যেখানে টাটা নিজের অভিজ্ঞতা শেয়ার করেন, সংস্থার উন্নতির জন্য টিপসও দেন। এরপর ২০১৯ এবং ২০২২ সালেন টাটা গ্রুপ থেকে এই স্টার্টআপটিতে পুঁজিও বিনিয়োগ করা হয়।
আপনার মতামত লিখুন :