ওমিক্রন-এর আতঙ্কের মাঝেই দেশে গত ২৪ ঘণ্টায় খানিকটা কমল দৈনিক করোনা আক্রান্তের সংখ্যা
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ দেড় বছরের বেশি সময় কেটে গেলেও, দেশ এখনও করোনার কবল থেকে মুক্ত হতে পারেনি। তার মধ্যেই স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা জারি রয়েছে। আর সেই লক্ষ্য পূরণের জন্য জোর দেওয়া হচ্ছে টিকাকরণের উপর। এদিকে, দেশের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। তবে, ধীরে ধীরে সুস্থতার পথে ফিরছে দেশ। স্বাভাবিক ছন্দে ফেরার চেষ্টা করছে দেশ। এরই মধ্যে করোনার নতুন স্ট্রেন ওমিক্রন ভয় ধরাচ্ছে। ইতিমধ্যেই দেশে প্রবেশ করেছে ওমিক্রন। ৩০ টি দেশে ছড়িয়ে পড়েছে ওমিক্রন। তবে, করোনার এই নয়া স্ট্রেনের মারণক্ষমতা কতটা, তা এখনও স্পষ্ট নয়। ইতিমধ্যে ভারতে ২১ জনের শরীরে এই নয়া প্রজাতির সন্ধান মিলেছে। এদিকে গত ২৪ ঘণ্টায় সংক্রমণ কমেছে।
সপ্তাহের প্রথমদিন, সোমবার সকালে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্য ও পরিবারকল্যাণ মন্ত্রকের দেওয়া পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় দেশে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ৮ হাজার ৩০৬ জন। এই সংখ্যাটা আগের দিনের থেকে খানিকটা কম। গতকাল দেশে আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৮ হাজার ৮৯৫ জন।
এদিকে, দেশে ওমিক্রনের দাপট ক্রমশ বাড়ছে। করোনা মহামারীর তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কা করছে স্বাস্থ্যমহল। ইতিমধ্যে ২১ জনের শরীরে ওমিক্রন স্ট্রেন মিলেছে। দিল্লি, রাজস্থানেও ছড়াচ্ছে নতুন স্ট্রেনটি। তেলেঙ্গানায় ৪৩ জন কোভিড পজিটিভ হওয়ায়, তাঁদের নমুনাও জিনোম সিকোয়েন্সিংয়ের জন্য পাঠানো হয়েছে। কাজেই ওমিক্রন আক্রান্তের সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলেই আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত ২৪ ঘণ্টায় করোনার অ্যাকটিভ কেস কিছুটা কমেছে। স্বাস্থ্যমন্ত্রকের রিপোর্ট বলছে, বর্তমানে দেশে করোনায় চিকিৎসাধীন রোগীর সংখ্যা ৯৮ হাজার ৪১৬ জন। গত ৫৫২ দিনের মধ্যে যা সর্বনিম্ন। করোনা মোকাবিলায় শক্তি জোগাচ্ছেন করোনাজয়ীরা। মধ্যে গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন সুস্থ হয়ে উঠেছেন ৮৮৩৪ জন। দৈনিক আক্রান্তের তুলনায় দৈনিক সুস্থতার সংখ্যা বেশি।
https://twitter.com/ANI/status/1467701253329145857করোনা মোকাবিলায় প্রধান অস্ত্র টিকাকরণ। উৎসবের মরশুমে গতি হারিয়েছিল টিকাকরণ। যা ফের স্বাভাবিক হচ্ছে। জোরকদমে চলছে টিকাকরণের কাজ। ডিসেম্বরের মধ্যে যাতে দেশের সমস্ত মানুষ অন্তত প্রথম ডোজ পান, সেই লক্ষ্যে এগোচ্ছে কেন্দ্র।
টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। এরই মধ্যে ‘ওমিক্রন’ নতুন করে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে। ওমিক্রনের বাড়বাড়ন্তের মাঝেই সোমবার জরুরি বৈঠকে বসছে স্বাস্থ্যমন্ত্রক। বুস্টার ডোজের প্রয়োজনীয়তা এবং ১৮ বছরের কমবয়সিদের করোনা টিকা দেওয়া নিয়ে আলোচনার সম্ভাবনা। জানা গিয়েছে, আলোচনায় মন্ত্রিসভার সবুজ সংকেত মিললে জাইডাস-ক্যাডিলার ভ্যাকসিন জাইকোভ-ডি দিয়ে ছোটদের টিকাকরণ শুরু হতে পারে দ্রুতই।
অন্যদিকে, বিদেশ থেকে বিমান আসাযাওয়া এখনও বন্ধ হয়নি। তাই সংক্রমণ এড়াতে বিমানবন্দরেই যাত্রীদের স্বাস্থ্য পরীক্ষার ব্যবস্থা করা হয়েছে। বিশেষত সংক্রমণের ঝুঁকি রয়েছে, এমন দেশ থেকে আসা যাত্রীদের কোয়ারেন্টাইন বাধ্যতামূলক করা হচ্ছে। জোর দেওয়া হচ্ছে RT-PCR টেস্টে। এ নিয়ে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রী মনসুখ মাণ্ডব্য বারবার পরিস্থিতি পর্যালোচনা করেছেন। সবমিলিয়ে, ওমিক্রনের দাপট সামলাতে অত্যন্ত তৎপর ভারত সরকার।