চিন্তা বাড়াচ্ছে করোনা! রাজ্যগুলিকে সতর্কবার্তা কেন্দ্রের
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ইতিমধ্যেই দেশের মধ্যে কয়েকটি রাজ্যে করোনা সংক্রমণের ক্রমাগত বৃদ্ধি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। চিন্তা আরও বাড়ছে। এর মধ্যেই কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়েছে, দেশে ফের করোনা সংকটের আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। এই পরিস্থিতিতে স্বাস্থ্য পরিষেবার উপর চাপ সৃষ্টি হতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে। এমনটাও মনে করা হচ্ছে যে, স্বাস্থ্য পরিষেবা ভেঙ্গেও পড়তে পারে এর জেরে।
এই পরিস্থিতিতে, কেন্দ্রের তরফ থেকে রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে অবিলম্বে স্বাস্থ্য পরিষেবা নিয়ে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করতে বলা হয়েছে। বলা হয়েছে, অবিলম্বে যথাযথ ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে, ক্রমাগত করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধি স্বাস্থ্য পরিষেবায় প্রভাব ফেলতে পারে।
দেশের রাজধানী দিল্লিতে অ্যাকটিভ করোনা আক্রান্তর সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৮,০৩২। ফলে দিল্লি দেশের প্রথম ১০ করোনা প্রভাবিত রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলির তালিকায় উঠে এসেছে। করোনা সংক্রমণ বৃদ্ধির তালিকায় আবার সবার প্রথমে রয়েছে মহারাষ্ট্র। এই রাজ্যের আটটি জেলার করোনা পরিস্থিতি অত্যন্ত খারাপ। সেইসঙ্গে ব্যাঙ্গালোর শহরেও করোনা সংক্রমণ বাড়ছে।
নীতি আয়োগের সদস্য (স্বাস্থ্য) ড. ভি কে পল জানিয়েছেন, আগামীতে পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে চলেছে। এটা অবশ্যই উদ্বেগের বিষয়। এই মুহূর্তে যে প্রবণতা দেখা যাচ্ছে, তার থেকে এটা স্পষ্ট বোঝাই যায় যে, এই ভাইরাস এখনও খুবই সক্রিয়।
ক্রমবর্দ্ধমান করোনা আক্রান্তের সংখ্যা এবং সংক্রমণ ছড়িয়ে পড়া গৃহীত পদক্ষেপের ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। যখন ভাবা হচ্ছে যে, করোনা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা গিয়েছে, ঠিক তখনই তা পুনরায় ফিরে আসছে। যা খুবই চিন্তার বিষয়। তাই এ ব্যাপারে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে। ড. ভিকে পল আরও বলেছেন যে, দেশ এখন গুরুতর ও সঙ্গিন পরিস্থিতির সম্মুখীন। সমগ্র দেশই সম্ভাব্য ঝুঁকির মুখে রয়েছে।
এই পরিস্থিতিতে রাজ্যগুলির মুখ্যসচিবদের কাছে চিঠি লিখে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ সমস্ত জেলাগুলিতেই প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের পরামর্শ দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, আক্রান্ত সংখ্যা বাড়ুক বা না বাড়ুক, সংক্রমণ ছড়ানো রুখতে, সমস্ত জেলাগুলিতেই সুষ্পষ্ট সময়সীমা ও দায়িত্বের সঙ্গে জেলা কার্য পরিকল্পনা তৈরি করতে হবে।
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব রাজেশ ভূষণ বলেছেন, আক্রান্তর সংখ্যা বৃদ্ধি খুবই চিন্তার বিষয় এবং তা স্বাস্থ্য পরিষেবার ওপর প্রভাব ফেলতে পারে। ভূষণ তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, করোনা সংক্রমণের বৃদ্ধি রুখতে, কঠোর পদক্ষেপ নেওয়ার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে অবিলম্বে। কেন্দ্র রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে পরীক্ষা বাড়ানোর পরামর্শ দিয়েছে। কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যসচিব বলেছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হল, পরীক্ষা, চিহ্নিতকরণ ও চিকিৎসা।
রাজ্যগুলিকে নজরদারি সংক্রান্ত কাজের ভিত্তিতে সংক্রমণের ঘটনার ম্যাপিংয়ের পরামর্শও দেওয়া হয়েছে। সেইসঙ্গে রাজ্যগুলিকে করোনাবিধি মেনে চলার বিষয়টি নিশ্চিত করারও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। প্রয়োজনে পুলিশি ব্যবস্থাও গ্রহণ করা যেতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।