1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

সংসারে চরম অর্থাভাব, বসবাস ফুটপাতে! পেটের দায়ে বাড়ি বাড়ি সাবান বিক্রি অভিনেত্রীর

চৈত্রী আদক

প্রকাশিত: জুন ২৩, ২০২২, ০৯:৩৫ পিএম

সংসারে চরম অর্থাভাব, বসবাস ফুটপাতে! পেটের দায়ে বাড়ি বাড়ি সাবান বিক্রি অভিনেত্রীর
সংসারে চরম অর্থাভাব, বসবাস ফুটপাতে! পেটের দায়ে বাড়ি বাড়ি সাবান বিক্রি অভিনেত্রীর

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একসময় হাতে ছিল একের পর এক ছবির কাজ। ভাসকরণ মোহনলালের মতো নামকরা অভিনেতাদের সঙ্গেও রুপোলি পর্দা ভাগ করে নিয়েছেন অভিনেত্রী। সিনেমাপ্রেমীদের উপহার দিয়েছেন একের পর এক হিট ছবি। সেই দাপুটে অভিনেত্রীই এখন চরম সংকটে। থাকার জায়গা নেই। অন্নসংস্থানের দায়ে বাড়ি বাড়ি গিয়ে বেচতে হচ্ছে সাবান। ভাগ্যের লিখন সত্যিই বোধহয় কেউ খন্ডাতে পারে না!

সেই দাপুটে অভিনেত্রী আর কেউ নন, ঐশ্বর্য ভাস্করন। বহু তামিল, মালায়ালম ছবি ও ধারাবাহিকে কাজ করেছেন তিনি। ‘সত্যমেব জয়তে’, ‘প্রজা’, ‘দ্য ফায়ার’, ‘নোটবুক’, ‘নক্ষত্রম’, ‘বাটারফ্লাইস’-এর মতো সুপারহিট সিনেমায় অভিনয় করেছেন ঐশ্বর্য। কিন্তু ভাগ্যের ফেরে বড় পর্দা হোক বা ছোট পর্দা, কোথাওই কাজ জোটেনি অভিনেত্রীর। তাই পেটের দায়ে বাড়ি বাড়ি সাবান ফেরি করতে বাধ্য হয়েছেন ঐশ্বর্য।

সম্প্রতি ঐশ্বর্য সংবাদমাধ্যমকে জানিয়েছেন, তাঁর হাতে এখন একটা কাজও নেই। কাজ না থাকায় টাকা-পয়সাও সেভাবে নেই বললেই চলে। সংসারে নেমে এসেছে চরম অর্থাভাব।  মাথার ওপর ছাদটাও চলে গিয়েছে। রাস্তার ফুটপাতই এখন তাঁর ঘর-বাড়ি।

এমনকি কোনও সহৃদয়বান ব্যক্তি যদি তাঁকে কাজ খুঁজে দেন তাহলে তিনি বিশেষ উপকৃত হবে বলে জানিয়েছেন। অভিনয় ছাড়াও যে কোনও কাজ করতে তিনি রাজি। এমনকি টাকা উপার্জনের দায়ে বাথরুম পরিষ্কারও করতে পারেন বলে জানিয়েছেন ঐশ্বর্য।

১৯৯৪ সালে তানভীর আহমেদের সঙ্গে সাত পাকে বাঁধা পড়েছিলেন ঐশ্বর্য। কিন্তু সেই বৈবাহিক বন্ধন বেশি দিন টেকেনি। তিন বছরের মাথাতেই বিচ্ছেদ। তাঁদের একটি সন্তানও ছিল। মেয়ের বয়স যখন দেড় বছর তখনই একে অপরের থেকে আলাদা হয়ে যান ঐশ্বর্য ও তানভীর। সেই সময় থেকেই সিনেমা জগৎ থেকে নিজেকে একেবারে গুটিয়ে নেন ঐশ্বর্য।

অভিনেত্রী এও জানান, নিজে কখনও বিলাসবহুল জীবনযাপনে অভ্যস্ত ছিলেন না। তিন বছরের কেরিয়ারে যেটুকু উপার্জন করেছিলেন তার পুরোটাই পরিবারের জন্য খরচ করেছেন। এখনও তিনি লড়াই করে চলেছেন। একমাত্র মেয়েকে ভালো রাখতে, তাকে মানুষের মতো মানুষ করতে স্বাধীনভাবে কাজ করার চেষ্টা করছেন তিনি। বাড়ি বাড়ি ঘুরে সাবান বিক্রি করে যা রোজগার হয় তা দিয়েই সন্তানকে নিয়ে অতি কষ্টে দিন কাটাচ্ছেন ঐশ্বর্য।

আরও পড়ুন