1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

'ভরসা রেখো', করোনায় মৃত বাবা-মা'র শেষ কথাই বাড়াল মনোবল! পরীক্ষায় 'টপার' হলেন মেয়ে

০৭:৫৯ পিএম, আগস্ট ৫, ২০২১

'ভরসা রেখো', করোনায় মৃত বাবা-মা'র শেষ কথাই বাড়াল মনোবল! পরীক্ষায় 'টপার' হলেন মেয়ে

দশম শ্রেণীর CBSE পরীক্ষার মাত্র দু'মাস বাকি! এই সময়ই তার জীবনে নেমে এল অন্ধকার। করোনা কেড়ে বাবা-মা'র জীবন। ১০ বছরের ভাই ভিভানকে নিয়ে সম্পূর্ণ একা হয়ে পড়ল মধ্যপ্রদেশের ভোপালের ছাত্রী ভানিশা পাঠক। তবে এত সহজে দমবার পাত্রী সে নয়। মারা যাওয়ার আগে বাবার শেষ কথা ছিল, "ভরসা রেখো"! আর সেই ভরসাই বাড়ালো তার মনোবল। পরীক্ষায় রাজ্যের অন্যতম টপার হলেন ভানিশা।

চলতি বছরের দশম শ্রেণীর CBSE পরীক্ষায় ইংরেজি, সংস্কৃত, বিজ্ঞান ও সামাজিক বিজ্ঞানে ১০০ এবং গণিতে ৯৭ পেয়ে অনন্য কৃতিত্ব অর্জন করেছে বাবা-মা হারা ভানিশা৷ তবে একটা সময় তার মনে হয়েছিল সে হয়তো পরীক্ষাই দিতে পারবে না। মে মাস নাগাদ কোভিডে আক্রান্ত হয়ে পরপর মারা যান বাবা এবং মা। ভানিশার বাবা জিতেন্দ্র কুমার পাঠক ছিলেন একজন আর্থিক উপদেষ্টা। মা ডাঃ সীমা পাঠক ছিলেন একটি সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা। কিন্তু করোনা কেড়ে নেয় দু'জনেরই প্রাণ।

বাবা-মা'কে একসঙ্গে হারিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ভীষণই ভেঙে পড়ে ভানিশা। কিন্তু তখনই তার মনে পড়ে যায় বাবার বলা শেষ কথাটি। মারা যাওয়ার আগে জিতেন্দ্র পাঠক নিজের নেয়ে বলেন, "বেটা হিম্মত রাখনা। নিজের উপর বিশ্বাস রেখো। আমরা শীঘ্রই ফিরে আসব।" যদিও সেই ফেরাটাই আর তাদের হয়নি। কিন্তু সেই শেষ কথায় মনের জোর বাড়ে ভানিশার। ফের কঠোর অধ্যবসায়ে মন দেন তিনি। তার ফল মিলল, পরীক্ষার রেজাল্টেই!

একটি সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে ভানিশা জানিয়েছেন, "বাবা-মা'র স্মৃতিই আমাকে প্রতিনিয়ত উৎসাহ যুগিয়ে যায়। তাঁদের কথা মনে পড়লেই মনের জোর বেড়ে যায়৷ আমার বাবা বরাবর চেয়েছিলেন আমি যেন আইআইটি (ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজিতে)-তে পড়াশোনা করি। কিংবা ইউপিএসসি-তে যোগদান করে মানুষের সেবা করি। তাঁর স্বপ্নই এখন আমার স্বপ্ন। বর্তমানে আমার ভাই ভিভানই আমার মূল শক্তি। ও সবসময় আমার মনোবল বাড়ানোর চেষ্টা করে চলে।"

বাবার স্বপ্ন পূরণ করতেই ভবিষ্যতের পথ চলা শুরু ভানিশার। বর্তমানে সে এবং তার ভাই তাদের মামা-মামির সঙ্গে রয়েছে। ভানিশার মামা ভোপাল কলেজের অধ্যাপক ডাঃ অশোক কুমার শর্মা। মামি ডাঃ ভাবনা শর্মা। তাঁদের দু'জনের কাছেই ভানিশা যেন এক 'যোদ্ধা'! যেন জীবন যুদ্ধে ছোট্ট ছোট্ট পা ফেলে জয়ের লক্ষ্যে এগিয়ে চলেছে সে।