কর্মী ছাঁটাইয়ের লক্ষ্যে মেটা টুইটার বিশ্বজুড়ে ত্রাসের সৃষ্টি করেছে।অনেকের ক্ষেত্রেই নাটকীয়ভাবে ছাঁটাই করেছে কর্মীদের।অন্নেকা সদ্য জন্ম দিয়েছে এক সন্তানের। তিনি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে ছিলেন।যদিও মেটা কর্তৃপক্ষের কর্মী কমানো সংক্রান্ত ঘোষণায় কিছুটা ত্রাস তো মনে ছিলই। মা অন্নেকা তার সন্তানকে খাওয়ানোর জন্য সকালে ওঠে। হঠাৎ মনের শঙ্কায় মেল খুলে দেখে সকাল সাড়ে পাঁচটায় অন্নেকাকে কর্মচ্যুত করা হয়েছে।
মেলে পরিষ্কার লেখা মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকার সময়ই তাকে ছাঁটাই করা হল। অন্নেকার মাথায় আকাশ ভেঙে পড়ে। ও কি করবে বুঝে উঠতে পারে না। অন্নেকা বুঝতে পারে সদ্যোজাত সন্তানকে নিয়ে তাকে নতুন লড়াই শুরু করতে হবে।
অথচ বছর দুই আগে করোনা মহামারীর যখন পৃথিবী কাঁপছে তখন প্রায় জোর করেই তাকে কাজে নিযুক্ত করা হয়। সেই ভয়াবহ আপদকালীন পরিস্থিতিতে অন্নেকা কম্পানীকে সঠিক সার্ভিস দিয়েছিল। কিন্তু পরেই ওদের ঘোষণা যে কম্পানি তার নির্দিষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছাতে পারে নি। তাই লোকসংখ্যা কমানো ছাড়া তাদের সামনে কোনো পথ নেই।
মেটার থেকে ভোর সাড়ে পাঁচটায় এই মেলটি আসে।অন্নেকা টুইট করে তা সোশ্যাল মিডিয়াকে জানায়। অন্নেকা জানায় সদ্যোজাত শিশুকে নিয়ে তিনি নিয়মিত কম্পানির জন্য সার্ভিস দিয়ে গেছে। সম্প্রতি মাতৃত্বকালীন ছুটিতে থাকায় তিনি বাড়িতে থেকেই নিয়মিত কাজ করে যাচ্ছিলেন। মাতৃত্বের পরে মায়েদের এমনিতেই নানা সমস্যায় পড়তে হয়। ওই সমস্ত সমস্যাকে নিয়েই অন্নেকা কম্পানির জন্য নিয়মিত সার্ভিস দিয়ে যাচ্ছিলেন।তা সত্ত্বেও এই নির্মম খবর আসে তার মেলে,তাও আবার সকাল সাড়ে পাঁচটায়।
একই অভিজ্ঞতা হয়েছে মেটায় কর্মরত ভারতের বহু নাগরিককে। হিমাংশু ভিও একই অভিজ্ঞতা অর্জন করেছে।ভারত থেকে হিমাংশু কানাডায় ছুটে যান মেটার নিয়োগ পত্র পেয়ে। হিমাংশুর একই অভিজ্ঞতা। সোশ্যাল মিডিয়ায় হিমাংশু লিখেছেন, "মেটা সংস্থায় নিযুক্ত হওয়ার দু`দিনের মাথায় আমার পথ চলা শেষ হয়ে গেল। "এই নিয়ে ইতিমধ্যে মেটা ১৩ শতাংশ কর্মী ছাঁটাই করে ফেলেছে।
ফলে সমস্ত কর্মীদের মধ্যে প্রবল ত্রাস সৃষ্টি হয়েছে। এভাবে বিনা নোটিশে একের পর এক কর্মী ছাঁটাই সম্পূর্ণ আইন বিরুদ্ধ। কিন্তু মেটা কর্তৃপক্ষের কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই।সূত্রের খবর,হিমাংশু ভি কানাডায় গিয়ে মেটায় যোগদানের দুদিনের মধ্যেই তাঁকে বরখাস্ত করা হয়। সোশ্যাল মিডিয়ায় তাঁর প্রোফাইল অনুযায়ী, হিমাংশু ভি খড়গপুর আইআইটির স্নাতক। মেটার আগে তিনি ফ্লিপকার্ট, অ্যাডোবের মতো সংস্থায় কাজ করেছেন।
আপনার মতামত লিখুন :