ছেলের জামিন করাতে থানায় মা, তাঁকে দিয়েই ম্যাসাজ করাচ্ছেন পুলিশকৰ্মী! ভিডিও ঘিরে বিতর্ক তুঙ্গে

বংনিউজ২৪×৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ ছেলে কারাগারে বন্দি। তাকে ছাড়িয়ে আনতে থানায় গিয়েছিলেন মা। ছেলেকে ছেড়ে দেওয়ার আশ্বাসও দিয়েছিলেন থানার পুলিশ অফিসার। তবে তার পরিবর্তে ওই মহিলার সামনে এক শর্ত রাখেন অফিসার। মহিলাকে দিয়ে ম্যাসাজ করিয়ে নেন তিনি। এই ঘটনার ভিডিও ভাইরাল হতেই সোশ্যাল মিডিয়ায় শোরগোল পড়ে গিয়েছে। পুলিশ অফিসারের নিন্দায় সরব হয়েছেন নেটিজেনরা। জানা গিয়েছে, ওই পুলিশ অফিসারকে ইতিমধ্যেই সাসপেন্ড করা হয়েছে।

সূত্রের খবর, ঘটনাটি বিহারের সহর্সা জেলার। নৌহাট্টা থানার ওই সিনিয়র পুলিশ আধিকারিকের নাম শশীভূষণ সিনহা। কয়েক সেকেন্ডের ভিডিওটিতে দেখা যায়, আউটপোস্টের ভেতরেই রাতারাতি খালি গায়ে বসে রয়েছেন শশীভূষণ। আর ঠিক পেছনে দাঁড়িয়েই তাঁর ঘাড়ে, পিঠে ম্যাসাজ দিচ্ছেন এক মহিলা। ওই মহিলাই ছেলের জামিনের জন্য পুলিশের দ্বারস্থ হয়েছিলেন।

ভিডিওটিতে আরও দেখা যায়, এক আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলছেন ওই পুলিশ আধিকারিক। ফোনে তাঁকে বলতে শোনা যায়, “এই মহিলা খুবই গরিব৷ আপনাকে কত টাকা পাঠাতে হবে খালি বলুন৷ আমি খামে ভরে টাকাটা পাঠিয়ে দেবো৷ দু‍‍` জন মহিলা টাকাটা নিয়ে যাবে, ওনাদের আধার কার্ডও সঙ্গে থাকবে৷ সোমবারই আমি ঠিকানা এবং মোবাইল নম্বর দিয়ে পাঠিয়ে দিচ্ছি। পাপ্পু বাবু, আমি আপনাকে অনুরোধ করছি কিছু করুন।”

এছাড়াও ভিডিওটিতে ওই পুলিশ আধিকারিকের পাশে বসে থাকতে দেখা যায় দুই মহিলাকে। ফোনে সম্ভবত ওই দুই মহিলার হাত দিয়েই টাকা পাঠানোর কথা বলছিলেন শশীভূষণ। ছেলের জন্য জামিন চাইতে গিয়ে পুলিশ অফিসারের শরীর ম্যাসাজ করে দেওয়ার অভিজ্ঞতা ওই মহিলার খুব একটা ভালো ছিল না বলেই বোঝা যাচ্ছে।

ইতিমধ্যেই সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড়ের গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে ভিডিওটি। একজন আইনের রক্ষক হয়ে কীভাবে এক অসহায় মহিলাকে দিয়ে এরকম কাজ তিনি করাতে পারেন! ওই পুলিশ অফিসারের নিন্দায় মুখর হয়েছেন নেটিজেনরা। পুলিশের ভূমিকা কিরে শুরু হয়েছে বিতর্ক। ভিডিওটি প্রকাশ্যে আসতেই শশীভূষণকে সাসপেন্ড করেছে সহর্ষা জেলার পুলিশ সুপার।