ব্যাপক সাড়া ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’-এ! রাজ্যে এক মাসেরও কম সময়ে এক কোটিরও বেশি আবেদন জমা পড়ল
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ আকর্ষণের শীর্ষে মুখ্যমন্ত্রীর লক্ষ্মীর ভাণ্ডার প্রকল্প। এই লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে রাজ্যে এক মাসেরও কম সময়ে এক কোটির বেশি আবেদন পত্র জমা পড়ল দুয়ারে সরকার শিবিরে।
একুশের বিধানসভা নির্বাচনে তৃতীয়বারের জন্য ক্ষমতায় এসে একাধিক জনদরদী প্রকল্পের ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। নির্বাচনী ইস্তাহারেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কথা বলেছিলেন। ক্ষমতায় এলে তিনি সেই সব প্রকল্পের সুচনা করবেন বলে জানিয়েছিলেন। ক্ষমতায় এসে তিনি তাঁর প্রতিশ্রুতি রেখেছেন। ‘দুয়ারে রেশন’, ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’, ‘লক্ষীর ভান্ডার’-সহ একাধিক প্রকল্প জনসাধারণের জন্য ইতিমধ্যেই ঘোষণা করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। জোরকদমে চলছে এই সব প্রকল্পের কাজ। পড়ুয়াদের জন্য ‘স্টুডেন্ট ক্রেডিট কার্ড’-এর পাশাপাশি প্রতিশ্রুতি মতো মহিলাদের জন্য ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের কাজও শুরু করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
ইতিমধ্যেই ব্যাপক সাড়া মিলেছে এই প্রকল্পে। এক মাসেরও কম সময়ে এক কোটিরও বেশি ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডারে’র আবেদন পত্র জমা পড়েছে দুয়ারে সরকার শিবিরে। ইতিমধ্যেই প্রায় দু’কোটি আবেদন জমা পড়েছে এই প্রকল্পের জন্য। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার পর্যন্ত দুয়ারে সরকার শিবিরে এসেছেন প্রায় তিন কোটি মানুষ। বিভিন্ন প্রকল্পের পরিষেবার জন্য আবেদন করার পাশাপাশি শুধুমাত্র ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পে এদিন পর্যন্ত আবেদন জমা পড়ার সংখ্যা ১.০৮ কোটি। গত ১৬ আগস্ট থেকে শুরু হয়েছে দুয়ারে সরকার শিবির। মাত্র ২৩ দিনেই এই বিপুল সংখ্যক আবেদন জমা পড়েছে।
রাজ্যের প্রশাসনিক কর্তাদের পক্ষ থেকে মনে করা হচ্ছে যে, এই ‘লক্ষ্মীর ভাণ্ডার’ প্রকল্পের জন্য রাজ্যের রাজ্যের প্রায় দু’কোটি মহিলা আবেদন জানাতে পারেন। ইতিমধ্যেই দুয়ারে সরকার শিবির থেকে প্রায় ১.৫৬ কোটি মহিলা আবেদনপত্র সংগ্রহ করেছেন। তার মধ্যে এদিন পর্যন্ত প্রায় ১.০৮ কোটি মহিলা তা পূরণ করে জমাও দিয়ে দিয়েছেন।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই প্রকল্পে মহিলারা প্রতিমাসে পাবেন ৫০০ টাকা করে। এসসি, এসটি, ওবিসি মহিলারা পাবেন মাসে ১ হাজার টাকা করে। নবান্ন সূত্রে খবর, বুধবার সন্ধে পর্যন্ত রাজ্যে ৬৫ হাজার ৭১টি শিবির করা হয়েছে। সেই শিবির থেকে প্রায় তিন কোটিরও বেশি মানুষকে বিভিন্ন সরকারি পরিষেবা দেওয়া হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এর আগে, গত বছর দুয়ারে সরকার শিবিরে সরকারে স্বাস্থ্যসাথী কার্ডের জন্য ভিড় ছিল সবথেকে বেশি। এবার মূলত লক্ষীর ভান্ডার প্রকল্পের জন্য আবেদন করছেন রাজ্যের বেশিরভাগ মহিলা। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের একাংশের মতে, তৃতীয়বার বাংলার ক্ষমতায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার আসার পিছনে মূলত বাংলার মা-বোনেদের ভূমিকা ছিল সবচেয়ে বেশি। আর সেই কারণেই সরকারে আসার পর থেকেই মহিলাদের জন্য কার্যত কল্পতরু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।