ভ্যাকসিন এলেও মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক, নয়তো তা ডেকে আনবে নতুন বিপদ- জানাচ্ছেন চিকিৎসকরা
০৬:২৬ পিএম, ফেব্রুয়ারি ৬, ২০২১
ভ্যাকসিন এলেও দেশ থেকে এখনও পুরোপুরি মুছে যায়নি করোনার প্রভাব। টিকাকরণের প্রক্রিয়া শুরু হলেও তার সঙ্গে অবশ্যই মাস্কের ব্যবহারের কথা জানাচ্ছেন চিকিৎসক-বিশেষজ্ঞরা। গড়ে তোলা হচ্ছে সচেতনতা। সকলকে বারবার পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে মাস্ক পরার। কারণ মাস্ক ছাড়া রাস্তাঘাটে বেরোনো ডেকে আনতে পারে সমূহ বিপদ। কিন্তু সাধারণ মানুষ কি আদৌ শুনছেন সে কথা?
রাজ্যের শহর থেকে শহরতলি, যেদিকেই চোখ যায় মাস্ক ছাড়াই অবাধ বিচরণ করছেন মানুষজন। বিভিন্ন স্বাস্থ্য বিধিতে বারবার সচেতন করা সত্ত্বেও কে শোনে কার কথা! মাত্র হাত গোণা কয়েকজনের নাকে-মুখে মাস্ক। বাকিরা মাস্ক ছাড়াই ঘুরে ফিরে বেরাচ্ছেন সবাই। এমনকি এর পিছনে যুক্তিও সাজিয়ে ফেলেছেন তারা। কয়েকজন বলছেন পকেটে রয়েছে মাস্ক। মনের ভুলে পরা হয়নি। আবার কয়েকজনের মতে করোনা বিদায় নিয়েছে, ফলে মাস্ক না পরলেও কিচ্ছু ক্ষতি হবে না।
অনেকে আবার যুক্তি দেখাচ্ছেন সামাজিক দূরত্বের। তাদের দাবী, ট্রেনে বাসে এবং বাজারে দিনের পর দিন ভিড় বেড়েই চলেছে। ন্যূনতম স্বাস্থ্যবিধিও কেউ মানছেন না। তাই মাস্ক পরা সেখানে বিলাসিতা মাত্রই। এমনকি বেশ কিছু সরকারি দফতরেও মাস্ক ছাড়াই মিলছে অবাধ প্রবেশ।
যদিও চিকিৎসক এবং বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন, প্রতিষেধক এলেও আমাদের সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। আরও বেশ কিছু বছর ধরে মাস্ক পরা বাধ্যতামূলক। দরকারে এটিকে অভ্যাসে পরিণত করে ফেলতে হবে। এরই সঙ্গে সামাজিক দূরত্বও বজায় রাখতে হবে। আর যেহেতু এখনও সবাই প্রতিষেধক নেয়নি তাই ঝুঁকি সম্ভাবনাও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না মোটেই। তাই হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহারও ভুললে চলবে না।
তবে পুলিশ প্রশাসনের অবশ্য দাবী, মাস্ক ছাড়া কাউকে দেখলেই সঙ্গে সঙ্গে তার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছেন তারা। করোনা সংক্রান্ত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার ব্যাপারেও কড়া নজরদারি চালানো হচ্ছে। তা সত্ত্বেও এখনও মাস্ক ছাড়া হামেশাই পথে ঘাটে নামছেন বহু মানুষ। যা অচিরেই বাড়াতে পারে বিপদের সম্ভাবনা।