1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

‍‍`ওষুধ দিন বা ইঞ্জেকশন‍‍`, জ্বরে কাবু হয়েই মাঠে ব্যাটিং ঝড় তুলে অজি বধ সূর্যকুমারের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: সেপ্টেম্বর ২৬, ২০২২, ১০:৪১ পিএম

‍‍`ওষুধ দিন বা ইঞ্জেকশন‍‍`, জ্বরে কাবু হয়েই মাঠে ব্যাটিং ঝড় তুলে অজি বধ সূর্যকুমারের
‍‍`ওষুধ দিন বা ইঞ্জেকশন‍‍`, জ্বরে কাবু হয়েই মাঠে ব্যাটিং ঝড় তুলে অজি বধ সূর্যকুমারের

রবিবার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের টি-২০ সিরিজের তৃতীয় তথা শেষ ম্যাচে দুরন্ত জয় ছিনিয়ে নিল ভারতীয় দল। ফলে ২-১ ব্যবধানে সিরিজও পকেটে পুরল ভারত৷ আর এই জয়ের পিছনে অন্যতম অবদান যাঁর, তিনি হলেন সূর্যকুমার যাদব। মিডল অর্ডারে বিধ্বংসী এক ইনিংস উপহার দেন তিনি। সূর্য আসতেই হায়দরাবাদের উপ্পল স্টেডিয়ামে কার্যত ঝড় ওঠে।

তবে সূর্যের পক্ষে এই ম্যাচটা খেলা একেবারে সহজ ছিল না। কারণ এই ম্যাচের আগে তিনি প্রবল জ্বরে কাঁপছিলেন। ম্যাচের পরে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে সূর্যকুমার যাদব এবং অক্ষর প্যাটেলের মধ্যে একটি ইন্টারভিউয়ের আয়োজন করা হয়। সেই আলোচনা চলাকালীন সূর্যকুমার যাদব ম্যাচ শুরুর আগে তাঁর অবস্থা যথেষ্ট খারাপ ছিল। কিন্তু, ইঞ্জেকশন নিয়ে এই ম্যাচটা খেলতে নামেন।

ম্যাচ শেষে সেই ইন্টারভিউতে অক্ষর প্যাটেল তাঁকে জিজ্ঞাসা করেন যে, সকালে যখন তিনি ঘুম থেকে উঠেছিলেন, সেইসময় ফিজিয়ো রুমে যথেষ্ট চিৎকার চেঁচামেচি শুনতে পাওয়া গিয়েছিল। এরপর তিনি সূর্যের কাছে কারণটা জানতে চান। জবাবে সূর্যকুমার যাদব বললেন, ‍‍`যেহেতু আবহাওয়া বদলাচ্ছে, আর আমরা ট্রেবলও করছি, তাই পেটে খুব যন্ত্রণা হচ্ছিল। আর সেটা থেকে জ্বরও চলে এসেছিল।‍‍`

সেইসঙ্গে তিনি আরও বললেন, ‍‍`যেহেতু এটা সিরিজের নির্ণায়ক ম্যাচ ছিল, সেকারণেই আমি চিকিৎসকের কাছে গিয়ে বলেছিলাম, বিশ্বকাপের ফাইনাল হলে আমি তো আর শরীর খারাপ নিয়ে চুপ করে বসে থাকতে পারতাম না। আমাকে কোনও ওষুধ কিংবা ইঞ্জেকশন দিন, যাতে আমি ফিট হয়ে উঠতে পারি। এরপর যখন মাঠে নামলাম, তারপর সবকিছু ঠিক হয়ে গিয়েছিল।‍‍`

এদিনের ম্যাচে প্রথমে ব্যাট করে নির্ধারিত ২০ ওভারে সাত উইকেটে ১৮৬ রান তোলেন অজিরা। সেই রান তাড়া করতে নেমে শুরুতে ধাক্কা খেলেও ইনিংসের হাল ধরেন বিরাট কোহলি এবং সূর্যকুমার যাদব। ৬২ বলে ১০৪ রানের পার্টনারশিপ গড়েন দু‍‍`জনে। সূর্য করেন ৩৬ বলে ৬৯ রান। ৪৮ বলে ৬৩ রান করেন বিরাট। সূর্য ও বিরাট আউট হতে দীনেশ কার্তিককে সঙ্গে নিয়ে ম্যাচ জিতিয়ে ফেরেন হার্দিক পান্ডিয়া (১৬ বলে ২৫ নট আউট)। এক বল বাকি থাকতেই ম্যাচ এবং সিরিজ জিতে নেয় ভারত।

আরও পড়ুন