লখিমপুর খেরি কাণ্ডে নয়া মোড়! স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্ট, শুনানি বৃহস্পতিবার
বংনিউজ ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ লখিমপুর খেরি কাণ্ডে এবার নয়া মোড়! উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর-খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয় রবিবার। এরপরেই এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লখিমপুর খেরি। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। এবার সেই ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত মামলা দায়ের করল সুপ্রিম কোর্ট।
জানা গিয়েছে, সুপ্রিম কোর্টের প্রধান বিচারপতি এন ভি রামনা, বিচারপতি সূর্যকান্ত এবং বিচারপতি হিমা কোহলির নেতৃত্বাধীন ডিভিশন বেঞ্চে এই মামলার শুনানি হবে। বৃহস্পতিবার অর্থাৎ আগামীকালই লখিমপুরের এই মামলার শুনানি হবে শীর্ষ আদালতে। এদিকে, এই ঘটনায় সুপ্রিম কোর্টের হস্তক্ষেপ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করা হচ্ছে।
এদিকে, আজই লখিমপুরে পৌঁছে গিয়েছেন রাহুল এবং প্রিয়াঙ্কা। তাঁরা মৃত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে কথা বলবেন বলেই জানা গিয়েছে। তাঁদের সঙ্গে রয়েছেন ছত্তিশগড়ের মুখ্যমন্ত্রী ভুপেশ বাঘেল ও পাঞ্জাবের মুখ্যমন্ত্রী চরণজিৎ চান্নি। উল্লেখ্য, ঘটনার পর থেকেই সেখানে পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন প্রিয়াঙ্কা গান্ধী। কিন্তু তাঁকে প্রথমে আটক এবং পরে গ্রেফতার করা হয়। প্রাথমিকভাবে রাহুল গান্ধীকেও আটকে দেওয়া হয়েছিল। যদিও শেষপর্যন্ত তাঁদের যাওয়ার অনুমতি মেলে যোগী প্রশাসনের পক্ষ থেকে। শুধু কংগ্রেসই নয়, যে কোনও রাজনৈতিক দলের পাঁচ সদস্যের প্রতিনিধি দল যেতে পারবেন লখিমপুরে। এমনটাই জানানো হয়েছে সরকারি তরফে। তবে, কোনও প্রতিনিধি দলেই পাঁচজনের বেশি সদস্য থাকতে পারবেন না বলেই জানানো হয়েছে।
https://twitter.com/IYC/status/1445765931595042827এদিকে, এদিন লখনউ বিমানবন্দরে পৌঁছে বাঘেল ও চান্নির তরফে ঘোষণা করা হয় তাঁদের রাজ্যের তরফে মৃতদের পরিবারকে ৫০ লক্ষ টাকা করে ক্ষতিপূরণ দেওয়া হবে। বিমানবন্দরে রাহুল ও তাঁর দুই সঙ্গীকে বেরোতে বাধা দেয় পুলিশ। তাঁদের সরকারি গাড়ি দিতে চাইলেও তা নিতে অস্বীকার করেন রাহুল। পরে তাঁরা সীতাপুরে যান। সেখান থেকে প্রিয়াঙ্কাকে সঙ্গে নিয়ে অবশেষে লখিমপুর পৌঁছান কংগ্রেসের চার প্রতিনিধি। নিহত কৃষকদের পরিবারের সঙ্গে দেখা করবেন তাঁরা।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, রবিবার উত্তরপ্রদেশের লখিমপুর-খেরিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের প্রতিমন্ত্রীর ছেলের গাড়ির চাকায় পিষ্ট হয়ে ৪ জন কৃষকের মৃত্যু হয় রবিবার। এরপরেই এই ঘটনাকে ঘিরে রবিবার অগ্নিগর্ভ হয়ে ওঠে লখিমপুর খেরি। অশান্তির মাঝে পড়ে আরও ৪ জনের মৃত্যু হয়। এরপরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্ত থেকে বিরোধী দলের রাজনৈতিক নেতা-নেত্রীরা লখিমপুরের উদ্দেশ্যে রওনা দেন। কিন্তু প্রায় সকলকেই আটকে দেয় উত্তরপ্রদেশ সরকার। জারি করা হয় ১৪৪ ধারা। এর মধ্যে প্রিয়াঙ্কা গান্ধীকে সময় সীতাপুরে আটক করে রাখার পর ১৪৪ ধারা ভঙ্গের অভিযোগে, তাঁকেও গ্রেফতার করা হয়। কংগ্রেস নেতা বাঘেলকে বিমানবন্দরেই আটকে দেওয়া হয়। গ্রেফতার করা হয় সপা নেতা অখিলেশ যাদবকেও।
কিন্তু লখিমপুরের ভিডিও ছড়িয়ে পড়ার পর থেকেই ক্রমশ চাপ বাড়ছিল উত্তরপ্রদেশের যোগী সরকারের উপরে। এদিন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ। পরে উত্তরপ্রদেশের স্বরাষ্ট্র দফতরের পক্ষ থেকে জানিয়ে দেওয়া হয়, রাহুল-প্রিয়াঙ্কা ও আরও তিনজনকে লখিমপুর খেরিতে যাওয়ার অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। শেষ পর্যন্ত বুধবার রাতে লখিমপুরে এসে পৌঁছয় কংগ্রেসের প্রতিনিধি দল।