1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

দেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-রিকশা চালানো প্রথম মহিলা! সীমার কাহিনী অনুপ্রেরণা যোগাবে সকলকেই

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: নভেম্বর ৪, ২০২২, ১১:০২ পিএম

দেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-রিকশা চালানো প্রথম মহিলা! সীমার কাহিনী অনুপ্রেরণা যোগাবে সকলকেই
দেশের এই প্রত্যন্ত অঞ্চলে ই-রিকশা চালানো প্রথম মহিলা! সীমার কাহিনী অনুপ্রেরণা যোগাবে সকলকেই

আজকের বিশ্বে, নারীরা সব ক্ষেত্রেই নিজেদের দক্ষতা বুদ্ধিমত্তাকে কাজে লাগিয়ে এগিয়ে চলেছে। পুরুষদের সঙ্গে প্রতিযোগিতায় নিজেদের কৃতিত্ব প্রমাণ করেছে মহিলারা। সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল এই নারীর জীবন সংগ্রামের কাহিনী। যাকে কুর্নিশ জানিয়েছে তামাম ভারতবাসী।  কোভিড কালে ধাক্কা খেয়েছে উপার্জন। স্বামীর পাশাপাশি সংসারের হাল ধরতে নিজেই টোটো নিয়ে নেমে পড়েছেন রাস্তায়। জম্মুর প্রথম মহিলা ই-রিকশা চালক সীমা দেবীর জীবন কাহিনী এখন দাবানলের মতই ছড়িয়ে পড়েছে নেটদুনিয়ায়।

সীমা বলেন, ‘বিশেষ করে ছোট শহরে এবং গ্রামে মেয়েদের নানান কাজকেই সমালোচনার মুখে পড়তে হয়। জম্মুতেও এই ধরনের চিন্তাভাবনা সাধারণ, কিন্তু আমি ই-রিকশা চালানোর কাজকেই বেছে নিয়েছি’। জম্মুর নাগরোটার বাসিন্দা সীমা আজকাল সোশ্যাল মিডিয়ায় খুব জনপ্রিয়।

সীমা বিবাহিত এবং বাড়িতে রয়েছে এক ছেলে দুই মেয়ে। তিনি একটি ই-রিকশা চালান এবং এলাকার প্রথম মহিলা ই-রিকশা চালকের তকমাও জুটেছে সীমার কপালে। এই কাজের জন্য তিনি সোশ্যাল মিডিয়ায় প্রচুর প্রশংসা ও সাধারণ মানুষের ভালবাসা অর্জন করছেন।

সীমা বলেন, “আমার স্বামীও চাকরি করেন, বাজারের যা হাল তাতে একার উপার্জনে সংসারে চালানো দায়। তাই দেখে  আমিও সিদ্ধান্ত নিয়েছি আমার সন্তানদের উচ্চ শিক্ষা ও ভালটুকু দেওয়ার জন্য আমি নিজেও আজ করব। আমি এখন ই-রিকশা চালাই। আমার পছন্দের পেশার জন্য আমার পরিবারের সদস্যরা অনেকেই নানান রকমের কটূক্তি করেছেন যা আমাকে শুনতে হয়েছে। তবে আমার স্বামী সবসময় আমার পাশে থেকেছেন”।

সীমা, মনে করেন যে কোনও কাজই ছোট নয়। তিনি মহিলাদের শুধুমাত্র কয়েকটি কাজের মধ্যে সীমাবদ্ধ রাখার ধারণার সঙ্গে একেবারেই একমত নন। তিনি বলেন, ‘আজ মহিলারা ট্রেন চালায়, বিমান চালায়, তাহলে আমি কেন ই-রিকশা চালাতে পারব না’?, ক্লাস নাইনে পড়াকালীন আমার বিয়ে হয়ে যায়। পড়ার শখ ছিল, পড়াশুনা করতে পারিনি। এখন আমি আমার মেয়েদের উচ্চ শিক্ষা সেই সঙ্গে ভাল জীবন দিতে চাই’।

আরও পড়ুন