1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

১৭ লক্ষ টাকায় বিকোচ্ছে গাধার দুধ! IT-র চাকরি ছেড়ে ফার্ম খুলেই বাজিমাত যুবকের

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: জুন ১৩, ২০২২, ০৮:৩২ পিএম

১৭ লক্ষ টাকায় বিকোচ্ছে গাধার দুধ! IT-র চাকরি ছেড়ে ফার্ম খুলেই বাজিমাত যুবকের
১৭ লক্ষ টাকায় বিকোচ্ছে গাধার দুধ! IT-র চাকরি ছেড়ে ফার্ম খুলেই বাজিমাত যুবকের / প্রতীকী ছবি

গাধার দুধ। তা আবার বিক্রি হচ্ছে ১৭ লক্ষ টাকায়! এমন ব্যাপার শুনলে চোখ কপালে ওঠাই স্বাভাবিক! কিন্তু এমনটাই করে দেখালেন কর্ণাটকের এক যুবক৷ সম্প্রতি তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রের চাকরি ছেড়ে গাধার ফার্ম খুলেছেন বছর ৪২-এর শ্রীনিবাস গৌড়া। আর শুরুতেই বাজিমাত! ইতিমধ্যেই ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি মূল্যের দুধ বিক্রির বরাত পেয়ে গেলেন তিনি।

কর্নাটকের দক্ষিণা জেলার বাসিন্দা শ্রীনিবাস স্নাতক পাশ করে তথ্য প্রযুক্তি ক্ষেত্রে কাজ শুরু করেন। কিন্তু সেই চাকরি ছেড়ে তাঁর ইচ্ছে ছিল গাধার ফার্ম খোলার। তা শুনে শুরুতে সকলেই হাসাহাসি করেছিলেন।গরু-মোষ বা হাঁস-মুরগীর ফার্ম হয়৷ কিন্তু গাধার ফার্ম। এমনটা যে কেউই তেমন শোনেননি।

তবে শ্রীনিবাসের জেদ ছিল তিনি গাধার ফার্মই খুলবেন। আগে ধোপারা গাধা পুষতেন। কিন্তু বর্তমানে লন্ড্রি মেশিন এবং অন্যান্য প্রযুক্তি থাকায় তারা আর গাধা পোষেন না। ফলে গাধারা যেন গুরুত্ব হারাচ্ছে। তাই গাধার ফার্ম খোলার  লক্ষ্যেই স্থির ছিলেন শ্রীনিবাস। এমনকি তথ্যপ্রযুক্তি ক্ষেত্রের চাকরিও ছেড়ে দেন। অবশেষে গত ৮ জুন তাঁর সেই স্বপ্নের গাধার ফার্ম চালু হয়। আর শুরু থেকেই লক্ষ লক্ষ টাকার দুধের বরাত পাচ্ছেন তিনি।

শ্রীনিবাসের এই ফার্মটি কর্নাটকের প্রথম গাধার ফার্ম। দেশের মধ্যে এটি দ্বিতীয়। তবে শুরুতে অবশ্য গাধা দিয়ে শুরু হয়নি ফার্ম। ২০২০ সালে চাকরি ছাড়ার পর দক্ষিণা জেলার ইরা গ্রামে ২.৩ একর জমি কেনেন শ্রীনিবাস। সেখানে সমন্বিতভাবে কৃষি ও পশুপালন, পশুচিকিৎসা পরিষেবা, প্রশিক্ষণ এবং পশুখাদ্য উন্নয়ন কেন্দ্র শুরু করেন। পোষ্যদের মধ্যে ছিল ছাগল, খরগোশ এবং কড়কনাথ মুরগি। পরে ২০টি গাধা দিয়ে শুরু হয় তাঁর গাধার ফার্ম। যা ইতিমধ্যেই বেশ জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে।

আসলে গাধার দুধ বেশ উপাদেয়৷ এই দুধের চিকিৎসাগত গুণ রয়েছে। বিজ্ঞানীদের মতে, প্রোটিনের জন্য গাধার দুধে অ্যান্টিমাইক্রোবায়াল গুণ রয়েছে। বেশ কিছু গবেষণায় এও উঠে এসেছে যে, ভাইরাসঘটিত বা ব্যাকটেরিয়াঘটিত পেটের রোগ সারাতে মাইক্রোবায়াল গুণ সম্পন্ন গাধার দুধ বেশ সাহায্য করে। পাশাপাশি অন্ত্রে ভালো ব্যাকটেরিয়ার সংখ্যাও বৃদ্ধি করে। এছাড়াও গাধার দুধ থেকে নানা দামী বিউটি প্রোডাক্ট যেমন সাবান, লিপ বাম, বডি লোশন ইত্যাদিনতৈরি হয়। ফলে গাধার দুধের চাহিদাও ভালোই।

এইসব কারণের জন্য গাধার দুধের দামও অত্যন্ত বেশি। বাজারে গাধার দুধ বিক্রি হয় লিটার প্রতি ২০০০ থেকে ৭০০০ টাকা পর্যন্ত। ফলে এই দুধের ব্যবসা করাও বেশ লাভজনক। শ্রীনিবাসও ইতিমধ্যেই বেশ ভালো ব্যবসা করে ফেলেছেন। এখনও পর্যন্ত ১৭ লক্ষ টাকারও বেশি টাকার দুধ বিক্রির বরাত পেয়েছেন। শ্রীনিবাস চান, গরুর দুধের মতোই গাধার দুধও প্যাকেটজাত করে বিক্রি করতে। পরিকল্পনা মতো, ৩০ মিলিলিটারের দুধের প্যাকেটের দাম তিনি রাখবেন ১৫০ টাকা। সেই দুধ বিক্রি করেই ব্যবসার শ্রীবৃদ্ধি ঘটাতে চান শ্রীনিবাস।

আরও পড়ুন