অনুব্রত মণ্ডলের ফাইল দেখে রীতিমতো চক্ষু চড়ক গাছ হল বিচারকের। ফের জেল হেফাজতের মেয়াদ বৃদ্ধি হয়েছে গরু পাচার মামলায় মূল অভিযুক্ত অনুব্রত মণ্ডলের। ২২ ডিসেম্বর পর্যন্ত তার জেলে বাজারের মেয়াদ বৃদ্ধি পেয়েছে। এর মধ্যেই এদিন শুনানি শেষে অনুব্রত মণ্ডলের রিপোর্ট দেখে বেশ অবাক হলেন বিচারক।
এদিন আদালতে জামিনের জন্য আবেদন করা না হলেও বিশেষ অন্য দুটি আবেদন করা হয় অনুব্রত মণ্ডলের আইনজীবীর তরফে। সেখানে জানানো হয়, ভোলে বোম রাইস মিলের যে ব্যাংক অ্যাকাউন্ট বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সেটি যেন অবিলম্বে চালু করে দেওয়া হয়। অন্যদিকে অনুব্রত মণ্ডলের যে ফোন দুটি ফরেন্সিক পরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছে সেগুলি কেও যেন ফিরিয়ে দেওয়া হয়।
এই যাবতীয় আবেদন শোনার পর এবং সিবিআই যে ফাইল আদালতের কাছে পেশ করেছে সেই ফাইল দেখে কার্যত অবাক হয়েছেন বিচারক। ফাইলটি উল্টে পাল্টে দেখার সময়, কপালে ভাঁজ পড়ে তাঁর। চশমা পরে নেন তিনি। পরে সিবিআই-এর তদন্তকারী অফিসার (আইও)-কে ডেকে তিনি বলেন, ‘আমার ২০ বছরের সার্ভিস লাইফে আমি এমন দেখিনি, শোনা তো দূরের কথা’। সিবিআই কী এমন তথ্য পেশ করল, যাতে এমন অবাক হলেন বিচারক, সেটা অবশ্য স্পষ্ট নয়।
গত ১১ অগস্ট তৃণমূলের বীরভূম জেলা সভাপতি অনুব্রতকে গ্রেফতার করেছিল সিবিআই তদন্তকারী আধিকারিকরা। তার পর ৫ দিন সিবিআই-র হেফাজতে ছিলেন তিনি। এর পর থেকে আসানসোল সংশোধনাগারে রয়েছেন অনুব্রত। প্রায় একশো দিন পেরিয়ে গেলেও শ্রীঘর থেকে মুক্তি মেলেনি বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতির।গোরু পাচারকাণ্ডে নেমে ইতিমধ্যেই অনুব্রত মণ্ডলের হিসাব বহির্ভূত বিপুল পরিমাণ সম্পত্তির হদিশ পেয়েছেন তদন্তকারীরা। শান্তিনিকেতনে বিঘার পর বিঘা জমি রয়েছে অনুব্রতর নামে। খুবই কম দামে এই সব জমি নিজের নামে করেছিলেন কেষ্ট বলে অভিযোগ।
আপনার মতামত লিখুন :