1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

‍‍`শিক্ষারত্ন‍‍` সম্মান পেয়েও মেলেনি পেনশন! অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক

মৌসুমী মোদক

প্রকাশিত: আগস্ট ১৭, ২০২২, ০৮:৩৩ পিএম

‍‍`শিক্ষারত্ন‍‍` সম্মান পেয়েও মেলেনি পেনশন! অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক
‍‍`শিক্ষারত্ন‍‍` সম্মান পেয়েও মেলেনি পেনশন! অবসাদে আত্মঘাতী হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক

২০১৯-এ শিক্ষারত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছিলেন তিনি। সেই বছরই অবসর নেন। কিন্তু অবসরের তিন বছর পরেও মেলেনি পেনশন। অবসাদে তাই আত্মহত্যার পথ বেছে নিলেন কলকাতার হেয়ার স্কুলের প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক সুনীলকুমার দাস।

এদিন বর্ধমানের মেমারির দেবীপুর রাজবাগান এলাকায় নিজের বাড়িতে মিলল শিক্ষকের ঝুলন্ত দেহ। তাঁর বয়স হয়েছিল ৬৩ বছর। তার মৃত্যুর খবরে শোকের ছায়া দেবীপুর রাজবাগান এলাকায়। মৃত শিক্ষকের স্ত্রী সাধনা দাসের দাবি পেনশনের জন্য অনেক বার বিকাশ ভবনে গিয়েছিলেন তিনি। কিন্তু তাতেও সুরাহা হয়নি। অবশেষে অবসাদে ভুগে গতকাল বাড়িতেই গলায় দড়ি দিয়ে তিনি আত্মহত্যা করেন ওই শিক্ষক।

পরিবারের তরফে জানানো হয়েছে, ২০১৯ সালে  খোদ মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে শিক্ষারত্ন সম্মান পান তিনি। তার কিছুদিন পরই অবসর গ্রহণ করেন। এর পর থেকে পেনশনের জন্য দীর্ঘ দিন হন্যে হয়ে ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। নিজের পুরনো স্কুলে থেকে বিকাশ ভবনেও গিয়েছেন বার বার। পেনশন না পেয়ে যে তাঁর অসুবিধা হচ্ছে তা-ও জানিয়েছেন। কিন্তু ফল মেলেনি।

মৃত শিক্ষকের পরিবারে স্ত্রী ছাড়াও রয়েছে এক ছেলে। তিনি পিএইচডি সম্পূর্ণ করেছেন। শীঘ্রই শংসাপত্র পেয়ে যাবেন তিনি। এছাড়াও দুই মেয়ের বিয়ের দিয়েছেন ওই শিক্ষক। পেনশন ছাড়াই এতদিন সব একা হাতে সামলেছেন। কিন্তু পেনশন না পাওয়ায় তিনি হতাশায় ভুগছিলেন।কীভাবে সংসার চলবে তা নিয়ে উদ্বেগে ছিলেন সুনীলবাবু৷ যদিও তাঁর মনের কথা কাউকে বুঝতে দেননি৷ এবার সেই হতাশা থেকেই এই চরম সিদ্ধান্ত বেছে নিয়েছেন বলে জানিয়েছেন প্রতিবেশীরা।

হঠাৎ এই মর্মান্তিক ঘটনায় এলাকার সবাই মুষড়ে পড়েছে। এলাকার মানুষেরা জানিয়েছেন, শিক্ষাবিস্তারে সুনীলবাবুর অনেক অবদান ছিল। অনেককে পড়াশোনার ব্যাপারে সাহায্যও করেছেন। তবে বেশ কয়েক দিন ধরেই মনমরা হয় ঘুরছিলেন তিনি। তারপরই এদিন নাইলনের দড়িতে ঝুলন্ত অবস্থায় উদ্ধার হয় শিক্ষকের দেহ। তাঁর এই পরিণতিতে এলাকার সকলেই ভেঙে পড়েছেন।

আরও পড়ুন