1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

‘যে দফতরের কাজ পড়ে রয়েছে, তাদের কানমলা খাওয়া উচিত’! বাঁকুড়ায় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ৩১, ২০২২, ০৫:৩৬ পিএম

‘যে দফতরের কাজ পড়ে রয়েছে, তাদের কানমলা খাওয়া উচিত’! বাঁকুড়ায় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর
‘যে দফতরের কাজ পড়ে রয়েছে, তাদের কানমলা খাওয়া উচিত’! বাঁকুড়ায় ধমক মুখ্যমন্ত্রীর

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ পুরুলিয়ার পর এবার বাঁকুড়ায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পুরুলিয়ার প্রশাসনিক সভা থেকে প্রশাসনের অভ্যন্তরের ঘুঘুর বাসা ভাঙার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভা করলেন মুখ্যমন্ত্রী। বাঁকুড়ার প্রশাসনিক সভা থেকেও কড়া বার্তা দিলেন এদিন তিনি। 

কোনও প্রকল্পের কাজ ৫ বছর, কোনটা ৭ আবার কোনওটার কাজ ৮ বছর, শুরু হওয়ার পরেও আটকে রয়েছে। এবার সেইসব কাজের খতিয়ান তুলে ধরে বাঁকুড়ার প্রশাসনিক বৈঠকে কড়া ধমক দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, ‘আপনারা ওয়ার্ক অন প্রগ্রেস বললেই আমি মেনে নেব, সার্ভে করব না, এমনটা নয়। আমি কিন্তু সব নজরে রাখব। এগুলোর আগে কাজ শেষ করুন।’

এদিন বাঁকুড়ায় প্রশাসনিক সভায় বসেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেখানেই তিনি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ বাকি থাকার অভিযোগ পেয়েছিলেন। সেইসবের তালিকা তুলে ধরেন তিনি নিজেই। এর মধ্যেও কোথাও স্টেডিয়ামের কাজ বাকি রয়েছে। আবার কোথাও জমি সংক্রান্ত সমস্যা রয়েছে। এই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই মুখ্যমন্ত্রী সরকারি কর্মচারীদের একাংশের বিরুদ্ধে কাজে গাফিলতির অভিযোগে সরব হন। তাঁর কথায়, ‘৪-৫ বছর অনেক কাজ পড়ে রয়েছে। দ্রুত সেই কাজ শেষ করতে হবে।’

তৃণমূল সুপ্রিমো তথা মুখ্যমন্ত্রীর ক্ষোভ,  ‘সরকারি কর্মচারীদের একাংশ কাজ করবে না, সাধারণ মানুষকে তাঁদের প্রাপ্য সুবিধা থেকে বঞ্চিত করবে। আর বদনাম হবে রাজ্য সরকারের। লোকে বলবে তৃণমূল সরকার কোনও কাজ করছে না। এটা চলবে না।’ 

এদিন মুকুটমণিপুরে কালচারাল ভবন কেন হয়নি, সেই প্রশ্ন তোলেন মুখ্যমন্ত্রী। এই প্রশ্নের উত্তরে প্রথমে জেলাশাসক বলেন, কাজ চারদিন আগে শুরু হয়েছে। এরপর জেলা পরিষদের দফতর থেকে বলা হয় যে, জমির সমস্যা ছিল। এই কথা শুনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পাল্টা বলেন, ‘তোমাদের সব কিছুতেই জমির সমস্যা, ইচ্ছা থাকলেই উপায় হয়।’ মুখ্যমন্ত্রী আলাদা করে বলেন যে, জেলাশাসকের কাছে মোট ৩৪ টি প্রকল্পের তালিকা দেওয়া রইল। পাশাপাশি তিনি এও বলেন যে, ‘দয়া করে জেলা পরিষদ ও পঞ্চায়েত সমিতির হাতে কাজ দেবেন না। আপনারা দফতর থেকে কাজ করুন, ওরা টেন্ডার করতে দেরি করে। ওরা নিজেদের লোকদের ছাড়া টেন্ডার দেয় না। ওদের হাতে কাজ দেবেন না। ওদের ইঞ্জিনিয়ার কম, ওদের লোক সংখ্যা কম, ওদের হাতে কাজ দেবেন না।’

অন্যদিকে, টেন্ডারে গাফিলতির অভিযোগও এদিন মুখ্যমন্ত্রীর সামনে আসে। এই অভিযোগ পাওয়ার পরই মুখ্যমন্ত্রী জানতে চান, ‘টেন্ডার কীভাবে হচ্ছে? সরকারি কাজের টেন্ডার পড়ে রয়েছে কেন?’ এ প্রসঙ্গে কার্যত ধমক দেন র্মাধ্যক্ষকেও। এর পরই তিনি সরাসরি অভিযোগ করেন, ‘টেন্ডারে স্বজনপোষণ চলছে।’ এই বিষয়ে বাঁকুড়ার সভাধিপতির কাছে ৭ দিনের মধ্যে রিপোর্ট তলব করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের স্পষ্ট বার্তা, কোনও কাজ ফেলে রাখা যাবে না।

উল্লেখ্য, এদিন সব মিলিয়ে সরকারি প্রকল্পের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তুলে দেন মমতা। সব স্তরে কাজ সঙ্গে সঙ্গে শেষ করার স্পষ্ট নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। ওয়াটার সাপ্লাই স্কিম, রায়পুর ব্লকের কথা বলেই এই প্রকল্পের বিষয়টি নিয়ে কথা শুরু করেন মুখ্যমন্ত্রী। ২১ কোটি টাকার প্রকল্প, আট বছর ধরে পড়ে আছে কেন? প্রশ্ন করেন মুখ্যমন্ত্রী। উত্তরে জেলাশাসক বলেন, ৮৫ শতাংশ কাজ সম্পূর্ণ হয়ে আছে। সেই কথার উত্তরে পাল্টা মমতা বলেন, ‘না না, ৮৫ শতাংশ ওসব শুনবো না। এ তো কানমলা খাওয়া উচিত সবার কাছে, যে দফতর এগুলো করছে। দায়িত্ব নিয়ে এগুলো করছে। এগুলো দফতরগুলিকে বলা যায় না যে এগুলো এতদিন ধরে পড়ে আছে।’

এরপরই একের পর এক তালিকা ধরে বাকি থাকা প্রকল্পের কথা বলতে থাকেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি এদিন মুখ্যমন্ত্রী পঞ্চায়েত সদস্যদের উদ্দেশে বলেন, ‘এখনও যা কাজ করার করে নিন, তাড়াতাড়ি টেন্ডার ছেড়ে কাজটা শেষ করুন। এরপরে বর্ষাকালে কাজ করতে পারবেন না, তারপর পঞ্চায়েত নির্বাচন চলে আসবে, তখন হাত কামড়ালেও কাজ শেষ করা যাবে না। তাই যত দ্রুত সম্ভব এখন কাজ শেষ করুন।’

আরও পড়ুন