1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

Corona Update West Bengal: রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ এর নিচে নামল আক্রান্তের সংখ্যা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ১১, ২০২২, ০৯:০২ পিএম

Corona Update West Bengal: রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ এর নিচে নামল আক্রান্তের সংখ্যা
রাজ্যের করোনা গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত! গত ২৪ ঘণ্টায় ৩০ এর নিচে নামল আক্রান্তের সংখ্যা / প্রতীকী ছবি

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ রাজ্যের করোনা পরিস্থিতি এখনও অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে। রাজ্যের করোনা গ্রাফ এখন স্বস্তি দিচ্ছে। খুলে গেছে সব শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। ফের স্বাভাবিক হচ্ছে জনজীবন। এদিকে, রাজ্যের করোনা গ্রাফ নিয়ন্ত্রণে থাকলেও, গ্রাফে ওঠানামা অব্যাহত রয়েছে। সপ্তাহের প্রথম দিন রাজ্যে ফের কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। আজও মৃত্যুশূন্য বাংলা। টিকাকরণ এবং করোনা বিধিনিষেধের জোরে রাজ্য এখন সুস্থতার পথে এগোচ্ছে ক্রমশ। এদিকে, গত ১ এপ্রিল থেকেই করোনাবিধি উঠে গেছে। যদিও মাস্ক পরা এখনও বাধ্যতামূলক।

রাজ্য স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে নতুন করে করোনা আক্রান্ত হয়েছেন ২৫ জন। গতকালের থেকে ফের কমল করোনা আক্রান্তের সংখ্যা। গতকাল রাজ্যে করোনার দৈনিক আক্রান্তের সংখ্যা ছিল ৪৬ জন। এই মুহূর্তে রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্তের সংখ্যা, ২০ লক্ষ ১৮ হাজার ৬৭১ জন। রাজ্যে এই মুহূর্তে করোনার পজিটিভিটি রেট দাঁড়িয়েছে ০.২৭ শতাংশে।

অন্যদিকে, গতকাল করোনায় রাজ্য মৃত্যুশূন্য ছিল। গত ২৪ ঘণ্টাতেও রাজ্যে করোনায় একজনেরও মৃত্যু হয়নি। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনায় মোট মৃতের সংখ্যা ২১ হাজার ২০৩ জন। এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন ৪৭ জন। এখনও পর্যন্ত রাজ্যে করোনাকে পরাস্ত করে সুস্থ হয়ে ঘরে ফিরেছেন মোট ১৯ লক্ষ ৯৭ হাজার ৭৩ জন। সুস্থতার হার ৯৮.৯৩ শতাংশ। 

করোনার মোকাবিলায় জারি রয়েছে টিকাকরণ। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ১ লক্ষ ৫২ হাজার ৬২৬ জনকে করোনার টিকা দেওয়া হয়েছে। টিকাকরণের পাশাপাশি আগের মতোই চলছে টেস্টিংও। গত ২৪ ঘণ্টায় রাজ্যে ৯ হাজার ৩০৩ জনের করোনা পরীক্ষা হয়েছে। ধীরে ধীরে সুস্থতার পথেই এগোচ্ছে রাজ্য।

দেশের অন্যান্য রাজ্যে বিশেষ করে রাজধানী দিল্লিতে নতুন করে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বাড়লেও, বাংলায় এখনও নিয়ন্ত্রণেই রয়েছে সংক্রমণ। এই পরিস্থিতিতে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী দেশের সার্বিক করোনা পরিস্থিতি ও সংক্রমণ রুখতে প্রস্তুতি সম্পর্কে জানতে সম্প্রতি রাজ্যের সমস্ত মুখ্যমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠকে করেছিলেন। তিনি জানিয়েছেন, টিকাকরণের উপর আরও বেশি করে জোর দিতে হবে।

করোনার বিরুদ্ধে লড়াইয়ে টিকাকরণই একমাত্র উপায়। তাই আগামীদিনে টিকাকরণ এবং বুস্টার ডোজের উপর আরও জোর দিতে হবে। এর পাশাপাশি শিশুদের জন্য স্কুলে স্কুলে বিশেষ টিকাকরণ অভিযানও চালানো হবে। এদিকে, স্বস্তির খবর দিয়েছে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অফ মেডিক্যাল রিসার্চ। ICMR-এর বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন যে, করোনা সংক্রমণ বাড়লেও, এতে ভয়ের বা উদ্বেগের কোনও কারণ নেই। পাশাপাশি কোভিডের চতুর্থ ঢেউয়ের আশঙ্কাও আপাতত নেই বলেই জানিয়েছেন তাঁরা।

এদিকে, এদিন নবান্নে জেলাশাসক, মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠকে বসেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে আলোচনা করেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠকে আলোচনা হয় স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও। এরপরেই সাংবাদিক বৈঠকে উপস্থিত হয়ে মুখ্যমন্ত্রী কড়া বার্তা দেন স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়ে। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন সমস্ত জেলার জেলাশাসক, স্বাস্থ্য আধিকারিক ও মেডিক্যাল কলেজে সুপাররা।

মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, মালদহ, দক্ষিণ ২৪ পরগণা, জলপাইগুড়ি ও ঝাড়গ্রাম জেলায় করোনার টিকাকরণের হার এখনও ৯০ শতাংশের নিচে। তাই এই জেলাগুলিতে টিকাকরণ বাড়ানোর পরামর্শ দেন। মুখ্যমন্ত্রী আরও বলেন যে, জেলা হাসপাতাল থেকে রেফার করার প্রবণতা কমাতে হবে। করোনা রোগী নয়, এমন রোগীদের চিকিৎসায় কোনোরকম গাফিলতি করা যাবে না। মুখ্যমন্ত্রীর কড়া নির্দেশ স্বাস্থ্য কেন্দ্রগুলোর পরিকাঠামো আরও ভাল করতে হবে। 

অন্যদিকে, এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্বাস্থ্যসাথী কার্ড নিয়েও কড়া বার্তা দিয়েছেন। এর আগেও একাধিক বেসরকারি হাসপাতালের বিরুদ্ধে স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফিরিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। এবার তাদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা গ্রহণের হুঁশিয়ারি দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মুখ্যমন্ত্রী এদিন এই প্রসঙ্গে বললেন, ‘স্বাস্থ্যসাথী কার্ড ফেরালে রাফ অ্যান্ড টাফ হবে রাজ্য।’ পাশাপাশি এও পরিষ্কার করে জানিয়ে দিয়েছেন যে, এই কার্ড ফেরালে আইনি পদক্ষেপ নেওয়া হবে উক্ত হাসপাতালের বিরুদ্ধে। প্রয়োজনে বাতিল করাও হতে পারে বেসরকারি হাসপাতালের লাইসেন্সও।

আরও পড়ুন