1. প্রথম পাতা
  2. কলকাতা
  3. রাজ্য
  4. রাজনীতি
  5. অপরাধ
  6. দেশ
  7. আন্তর্জাতিক
  8. খেলা
  9. কর্ম সন্ধান
  10. বিনোদন
  11. ব্যবসা বাণিজ্য
  12. টেক নিউজ
  13. লাইফস্টাইল
  14. ভাইরাল
  15. আবহাওয়া
  16. রাশিফল

বর্ধমানের শিশু হাসপাতালে এক প্রসূতি জন্ম দিলেন ৩ শিশুকন্যার! সুস্থ মা ও সদ্যোজাতরা

আত্রেয়ী সেন

প্রকাশিত: মে ২৬, ২০২২, ১১:১১ পিএম

বর্ধমানের শিশু হাসপাতালে এক প্রসূতি জন্ম দিলেন ৩ শিশুকন্যার! সুস্থ মা ও সদ্যোজাতরা
বর্ধমানের শিশু হাসপাতালে এক প্রসূতি জন্ম দিলেন ৩ শিশুকন্যার! সুস্থ মা ও সদ্যোজাতরা

বংনিউজ২৪x৭ ডিজিটাল ডেস্কঃ একসঙ্গে তিন সন্তানের জন্ম দেওয়ার ঘটনা প্রায়শই শোনা যায় শহরের বড় বড় হাসপাতালে। কিন্তু মফস্বলে এমন ঘটনা  তেমন একটা শোনা যায় না। তবে, এবার এমনই এক ঘটনা ঘটল বর্ধমানে। বর্ধমানের এক শিশু হাসপাতালে এক মহিলা তিন কন্যা সন্তানের জন্ম দিলেন। এই ঘটনা খুবই বিরল। 

তিন সদ্যোজাত অনেক জন্মের পর ঝক্কি সামলে আজ বাড়ি গেছে। জানা গিয়েছে, মা এবং তিন সদ্যোজাতই সুস্থ আছে। কলকাতার বড় সরকারি হাসপাতাল বা বেসরকারি বড় হাসপাতালে এই ধরনের প্রসব সম্ভব। কিন্তু মফস্বলে এই ধরনের প্রসব করানোর ক্ষেত্রে অনেক সীমাবদ্ধতা বা অসুবিধা থাকে। সব থেকে বড় সমস্যা আধুনিক চিকিৎসাপদ্ধতি না থাকা। এইসব ক্ষেত্রে সন্তানের জন্মের পর মা এবং সদ্যোজাতের অনেক সমস্যা দেখা দেয়। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনীয় সব চিকিৎসা ব্যবস্থা উক্ত হাসপাতালে থাকা প্রয়োজন। সেই জন্যই এই ধরনের কেস বেশিরভাগই কলকাতা শহরের বড় সরকারি বা বেসরকারি হাসপাতালে হয়। কিন্তু এবার সেই প্রথা ভাঙল বর্ধমানের এক হাসপাতাল। বর্ধমানের এক ছোট শিশু হাসপাতাল এই অসাধ্য সাধন করে দেখালো। 

ওই হাসপাতালের চিকিৎসক ডাঃ আশরাফুল  মির্জা জানান, গত ১৫ তারিখ এই দম্পতি তাদের কাছে আসেন। তাঁদের চিকিৎসক হঠাৎ বাইরে যাওয়ায় তাঁরা সমস্যায় পড়েন। চিকিৎসক আরও জানিয়েছেন, এই ধরনের শিশুদের ট্রিপলেট বলা হয়। প্রতি দশ হাজারে একটি এমন ঘটনা ঘটে। আবার একসঙ্গে তিনটি কন্যসন্তানের জন্ম একটু বিরল।  

ডাঃ আশরাফুল  মির্জা আরও জানিয়েছেন, তারা দ্রুত সব ব্যবস্থা নেন।  প্রসূতির শ্বাসকষ্ট যাতে না হয়, তার ব্যবস্থা করা হয়। রাত ১০ টার পর পরপর তিন কন্যা সন্তানের জন্ম হয়। জন্মের পর, তাদের শ্বাসকষ্ট শুরু হলে, আধুনিক সি-প্যাপ পদ্ধতি কাজে লাগানো হয়। এরপর শিশুদের জন্ডিস-সহ আরো কিছু সমস্যা দেখা দেয়। আবার প্রত্যেকেরই কম ওজনের থাকায়, দ্রুত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়। এরপর থেকে শিশুরা দ্রুত উন্নতি করেছে। এখন  আর তাদের কোনো সমস্যা নেই। শিশুদের খাওয়াদাওয়া স্বাভাবিক। তারা আজ তাদের বাড়িও ফিরেছে। মা এবং ওই তিন কন্যাসন্তান সুস্থ আছেন।

অন্যদিকে, ওই তিন কন্যা সন্তানের জন্মদাত্রী মা চেতনা মুখার্জি জানিয়েছেন, তিনি এবং তাঁর পরিবার খুব খুশি। তাঁরা কন্যা সন্তান চেয়েছিলেন, বাস্তবে তাঁদের সেই ইচ্ছে পূরণ হয়েছে। ধীরে ধীরে তিনি শারীরিক ধকল কাটিয়ে উঠেছেন। শিশুরাও এখন আগের থেকে অনেকটাই সুস্থ। অন্যদিকে, শিশুদের বাবা সুপ্রিয়বাবু জানিয়েছেন, মফস্বলে যে এই কাজ সম্ভব তা তাঁরা স্বপ্নেও ভাবেননি। তাঁরা প্রথমে খুবই চিন্তায় ছিলেন। এখন অবশ্য সব ভালোয় ভালোয় মিটে যাওয়ায় চিন্তামুক্ত।

 

আরও পড়ুন